আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
98 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (45 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।

উপকূলে রোহিঙ্গাদের জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক কিছু ত্রাণ হিসেবে আসে । রোহিঙ্গারা সেগুলি খুব কম মূল্যে বাজারে বিক্রি করে দেয়, যে কারণে ত্রাণের ওই জিনিস গুলি ওই এলাকাগুলোতে অনেক বেশি পাওয়া যায়। রোহিঙ্গারা নিজেরাই সেগলি বিক্রি করে দিতো, সেটা এনে অনেকেই ব্যবসা করত অন্য জেলায়। কিন্তু কিছুদিন আগে আমার কাছে এমন কিছু জিনিস আসে, যেটা দেখে মনে হল এটা রোহিঙ্গাদেরকে বিতরণ করা হয়নি। মানে ত্রাণ আসার পর তাদের হাতে পৌঁছানোর আগেই কেউ একজন বিক্রি করে দিয়েছে। কয়েক হাতবদল হয়ে আমার হাতে এসেছে, কিন্তু আমি এগুলো অনেক আগেই অর্ডার নিয়ে ফেলেছি এবং অন্যদের থেকে টাকা নিয়ে সওদা করে ফেলেছি। কিন্তু হঠাৎ করে আমার কিছু জিনিস দেখে এই সন্দেহটা হলো হয়তো এটা তাদেরকে বিতরণ করা হয়নি। এক্ষেত্রে সবগুলো অর্ডার ক্যানসেল করা আমার জন্য খুবই কষ্টসাধ্য এবং কাস্টমার রা প্রচন্ড হতাশ হবে যদি তাদেরকে এখন না দিতে পারি কারন অনেক আগেই টাকা নিয়েছি। এক্ষেত্রে এখন আমি কি করতে পারি? এই জিনিসগুলো কি আমি বিক্রি করতে পারব? আর এতগুলি মাল কিনেছি। এগুলি ফেরত ও নিবে না বিক্রেতা। কি করবো তাহলে।

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


ত্রান সামগ্রী বিতরন না করে তাহা বিক্রয় করা বা নিজে ব্যবহার করা জায়েজ নেই। 
অন্যায় কাজ যেমন নিজে করা জায়েজ নেই,অন্যকে সহযোগিতা করাও জায়েজ নেই।
,
   
পবিত্র কোরআনে কারীমে আল্লাহ তাআলা  বলেছেন,
وَلاَ تَعَاوَنُواْ عَلَى الإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ (سورة المائدة-2

অনুবাদ-তোমরা গোনাহ ও সীমালংঘনের ক্ষেত্রে কারো সহায়তা করো না।( সুরা মায়িদা-২)

রাসুল স. ইরশাদ করেছেন,

وفى سنن البيهقى الكبرى- عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه و سلم أنه قال : من اشترى سرقة وهو يعلم أنها سرقة فقد اشرك في عارها واثمها ( سنن البيهقى الكبرى-كتاب البيوع، باب كراهية مبايعة من أكثر ماله من الربا أو ثمن المحرم، رقم-৫/৩৩৫

অনুবাদ-আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত যে, নবীজি সা: বলেছেন যে, যে ব্যক্তি কোন চুরির বস্তু চুরির মাল জেনেও ক্রয় করে তবে সেও সেই অপরাধে এবং গোনাহে শরীক হবে।(সুনানে বায়হাকী-৫/৩৩৫)
,
সুতরাং উপরোক্ত আয়াত এবং হাদিস থেকে এটা জানা গেল চুরি হওয়া মালামাল জেনে শুনে ক্রয় করা বৈধ নয়। কেননা এতে করে চোরকে উৎসাহ প্রদান সহযোগিতা করা হয়।
অপরদিকে চোর বা ছিনতাইকারী তথা অপরাধীকে সহায়তা করা সম্পুর্ণরুপে হারাম।

বিস্তারিত জানুনঃ  
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে শুধু সন্দেহের ভিত্তিতে উক্ত মাল ক্রয়/বিক্রিয় আপনার জন্য নাজায়েজ হবেনা।

আপনি যদি নিশ্চিত হোন,তাহলে সেটি ক্রয় বিক্রয় নাজায়েজ হবে।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...