বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ
■ পবিত্র
কুরআনে মহান আল্লাহ বলেন-
فَمَا اسْتَمْتَعْتُم بِهِ مِنْهُنَّ فَآتُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ
فَرِيضَةً ۚ وَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا تَرَاضَيْتُم بِهِ مِن بَعْدِ
الْفَرِيضَةِ ۚ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلِيمًا حَكِيمًا
অতএব তাদের নিকট থেকে তোমরা যে আনন্দ উপভোগ করেছ (সে কারণে) তাদের ধার্যকৃত
মোহর তাদেরকে প্রদান করবে। আর মোহর নির্ধারিত থাকার পরও কোনো বিষয়ে পরস্পর সম্মত
হলে তাতে তোমাদের কোনো অপরাধ হবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। (সূরা নিসা : ২৪)
■ অন্যত্র
তিনি বলেন-
وَآتُوا النِّسَاءَ صَدُقَاتِهِنَّ نِحْلَةً ۚ فَإِن طِبْنَ لَكُمْ
عَن شَيْءٍ مِّنْهُ نَفْسًا فَكُلُوهُ هَنِيئًا مَّرِيئًا
এবং তোমরা নারীদেরকে দাও তাদের মোহর খুশিমনে। এরপর তারা যদি স্বেচ্ছায়
স্বাগ্রহে ছেড়ে দেয় কিছু অংশ তোমাদের জন্য তাহলে তা স্বচ্ছন্দে ভোগ কর।(সূরা
নিসা : ৪)
.
এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে যে,
আয়াতে ‘হষ্টচিত্তে’ প্রদানের শর্ত আরোপ করার পেছনে গভীর তাৎপর্য নিহিত
রয়েছে। কেননা, মাহর
স্ত্রীর অধিকার এবং তার নিজস্ব সম্পদ হৃষ্টচিত্তে যদি সে তা কাউকে না দেয় বা দাবী
ত্যাগ না করে, তবে স্বামী
বা অভিভাবকের পক্ষে সে সম্পদ কোন অবস্থাতেই হালাল হবে না।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক হাদীসে শরীয়তের মূলনীতিরূপে এরশাদ
করেছেনঃ “কারো পক্ষে অন্যের সম্পদ তার আন্তরিক তুষ্টি ব্যতীত গ্রহণ করা হালাল হবে
না।” [মুসনাদে আহমাদঃ ৩/৪২৩]
এ হাদীসটি
এমন একটা মূলনীতির নির্দেশ দেয়,
যা
সর্বপ্রকার প্রাপ্য ও লেন-দেনের ব্যাপারে হালাল এবং হারামের সীমারেখা নির্দেশ করে।
■ সর্বনিম্ন মহর ১০ দিরহাম হতে হবে।
হাদীস শরীফে এসেছে- আলী (রাঃ) থেকে
বর্ণিত, তিনি বলেছেন,
«لَا يَكُونُ الْمَهْرُ أَقَلَّ مِنْ
عَشَرَةِ دَرَاهِمَ».
মোহর
দশ দিরহামের কমে হবে না। (বুলুগুল মারাম, ১০৩৪)
বিবাহের সর্বনিম্ন মহর দশ দিরহাম।
০১ দিরহাম = ৩.০৬১৮ গ্রাম।
১০*৩.০৬১৮ = ৩০.৬১৮ গ্রাম রূপা।
অর্থাৎ দুই তোলা সাড়ে সাত মাশা। যা বর্তমানে প্রতি তোলা রূপার মূল্য ১২০০/- টাকা
হলে ১০ দিরহাম রূপার মূল্য হবে প্রায় ৩ হাজার ৩ শত টাকার মত।
আরো বিস্তারিত জানতে https://ifatwa.info/9646/
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পাত্রপক্ষ ও পাত্রীপক্ষ উভয় পক্ষ
মিলে সমঝোতার ভিত্তিতে মহর নির্ধারণ করবে।
মহর দাতা মূলত পাত্র এবং গ্রহিতা
মূলত পাত্রী। এই দুজনের অনুমতিক্রমে উভয়ের পরিবারের লোকজন মহর নির্ধারণ করবে। মহর
যতটুকু পরিশোধ করা যায়,ততটুকু হওয়াই কাম্য ও উচিৎ। তবে যেন ১০ দিরহাম রূপার মূল্য ( ৩ হাজার ৩
শত টাকার ) থেকে
কম না হয়ে যায়।