বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(খ) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি থেকে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।
(গ) সরকারের কাছে আমাদের আবেদন যে,দেশের সকল বিভাগে ইসলামিক কালচারকে বাস্তবায়ন করবে।
(ঘ)নামাযের পর সম্মিলিত মুনাজাত সম্পর্কে ফুকাহায়ে কিরামের ভিন্ন রকম পরস্পর বিরোধী মতামত পাওয়া যায়।
অধিকাংশ উলামায়ে কিরাম প্রচলিত পদ্ধতির মুনাজাতকে বিদ'আত আখ্যায়িত করেছেন।
(আহসানুল ফাতাওয়া , ৩য় খন্ড , পৃঃ ৬৯৮)অন্যদিকে কিছুসংখ্যক উলামায়ে কিরাম এটাকে মুস্তাহাব বলেছেন।(ইমদাদুল ফাতাওয়া-১ /৬৪৫ -৬৬৬)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ফরয নামাযের পর সম্মিলিত মুনাজাত বৈধ ও জায়েয।তবে নামাযের অংশ মনে করা বিদআত।সুতরাং আপনার সবগুলি প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন আলহামদুলিল্লাহ।
(ঙ)
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত
عن عائشة، قالت: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا سلم لم يقعد إلا مقدار ما يقول: «اللهم أنت السلام، ومنك السلام، تباركت يا ذا الجلال والإكرام»
তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ সাঃ ফরয নামাযে সালাম ফিরানোর পর 'আল্লাহুম্মা আনতাস-সালাম ওয়া মিনকাস-সালাম তাবারাকতা ইয়া যালজালালি ওয়াল ইকরাম' বলার পরিমাণ সময় ব্যতীত বসতেন না বরং পরবর্তী সুন্নত/নফল নামাযে দাড়িয়ে যেতেন।(যদি সুন্নত নফল থাকতো) (সুনানু ইবনি মা'জা-৯২৪(শামেলা)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি সহীহ মুসলিম শরীফের যে হাদীস উল্লেখ করেছেন,সেই হাদীসের অর্থ হল,ফরয এবং ফরয পরবর্তী সুন্নত নামাযের পর এই সমস্ত তাসবীহাতকে পড়া।
(চ)
শখের বশে প্রাণীর হক আদায় পূর্বক লালন পালনে কোনো বাধা নেই।তবে টাকা কামানোর জন্য প্রাণীর লালন-পালন অনুচিত।
(ছ)
ফরয নামাযে মুক্তাদির জন্য কেরাত পড়া মাকরুহে তাহরিমী।এবং এটাই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
(জ)
আবুয্ যাহিরিয়্যাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي الزَّاهِرِيَّةِ، قَالَ كُنَّا مَعَ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُسْرٍ صَاحِبِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَجَاءَ رَجُلٌ يَتَخَطَّى رِقَابَ النَّاسِ فَقَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ بُسْرٍ جَاءَ رَجُلٌ يَتَخَطَّى رِقَابَ النَّاسِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَالنَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم يَخْطُبُ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم " اجْلِسْ فَقَدْ آذَيْتَ "
তিনি বলেন, একদা জুমু‘আহর দিনে আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবী ‘আবদুল্লাহ ইবনু বুসর (রাঃ) এর সাথে ছিলাম। এমন সময় এক ব্যক্তি এসে লোকদের ঘাড় ডিঙ্গিয়ে সামনে অগ্রসর হচ্ছিল। ‘আবদুল্লাহ ইবনু বুসর (রাঃ) বললেন, একদা জুমু‘আহর দিন এক ব্যক্তি লোকদের ঘাড় ডিঙ্গিয়ে অগ্রসর হচ্ছিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন খুত্ববাহ দিচ্ছিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি বসো, তুমি লোকদের কষ্ট দিয়েছো। (সুনানে আবি-দাউদ-১১১৮)
নাসায়ী (অধ্যায় : জুমু‘আহ, অনুঃ জুমু‘আহর দিন ইমামের মিম্বারে অবস্থানকালে মানুষের ঘার টপকিয়ে যাওয়া নিষেধ, হাঃ ১৩৯৭), আহমাদ (৪/১৮৮)
উক্ত হাদীসে রাসূল সাঃ উক্ত ব্যক্তিকে নামায পড়ার কথা না বলে বরং বসে যাওয়ার কথা বলতেছেন। তাছাড়া বর্ণিত রয়েছে যে,
আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত।
أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا قُلْتَ لِصَاحِبِكَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ أَنْصِتْ وَالْإِمَامُ يَخْطُبُ فَقَدْ لَغَوْتَ
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জুমু‘আহর দিন যখন তোমার পাশের মুসল্লীকে চুপ থাক বলবে, অথচ ইমাম খুৎবাহ দিচ্ছেন, তা হলে তুমি একটি অনর্থক কথা বললে।(সহীহ বুখারী-শামেলা- ৯৩৪)(মুসলিম ৭/৩, হাঃ ৮৫১, আহমাদ ৭৬৯০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৮৮১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৮৮৭)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উপরোক্ত হাদীসের প্রতি লক্ষ্য করলে বুঝা যায় যে, খুতবার সময়ে কথা না বলাই মূল বিধান। তবে এর ব্যতিক্রম কোনো হাদীসে আসলে তখন বাধ্য হয়ে মীমাংসার স্বার্থে বলতে হবে যে, এটা ঐ ব্যক্তির সাথে বিশেষ ভাবে খাস ছিল।
(ঝ) এটা কোনো হাদীসের কথা আপনি বলছেন? আমাদেরকে রেফারেন্স দিয়ে বলতে হবে? তখন আমরা এর ব্যখ্যা খোজার চেষ্টা করবো।