ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
বিশেষ জরুরত ব্যতীত ফটো-ভাস্কর্য তথা স্থীর চিত্র ইসলামে পরিস্কার হারাম।ভিডিও সম্পর্কে মতবিরোধ থাকলেও দ্বীনী জরুরতকে সামনে রেখে সমসাময়িক বিজ্ঞ উলামায়ে কেরামের অনেকেই এর রুখসত দিয়ে থাকেন।ইউটিউবে এডসেন্স ইনকাম সম্পর্কে এতটুকু বলা যায় যে,এখানে হালাল-হারাম সকল প্রকার জিনিষের এড শো হতে পারে,এর সম্ভাবনা রয়েছে।সর্বোচ্ছ ৫০০ ক্যাটাগরি পর্যন্ত এডকে ব্লক করা যায়,এর চেয়ে বেশী ব্লক করার অনুমোদন কর্তৃপক্ষ থেকে নেই।বিধায় তাকওয়ার দাবী হলো,এমন ইনকাম থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা।
https://www.ifatwa.info/1058 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, নারীকন্ঠ যদিও সতরের অন্তর্ভূক্ত নয়, তবে ফিতনার আশংকার দরুণ পর-পুরুষের সামনে নারীদের কন্ঠও পর্দার অন্তর্ভূক্ত। সুতরাং বিনা প্রয়োজনে নারীরা পর-পুরুষের সামনে তাদের কন্ঠকে প্রকাশ করতে পারবে না। ভয়েস চেঞ্জার দ্বারা নারী কন্ঠকে পুরুষ কন্ঠে রূপান্তরিত করা বিষয়টা ব্যখ্যা সাপেক্ষ্য। ভালো নিয়তে হলে হয়তো রুখসত দেয়া যেতে পারে। তবে ধোকা দেওয়ার উদ্দেশ্যে হলে এভাবে ভয়েস চেঞ্জ করা কখনো জায়েয হবে না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন!
আপনি ইউটিউব ইনকামের চিন্তা না করে বরং হালাল কাজের ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। হালাল ত্বরিকায় মানুষকে কাজ করে দিয়ে আপনি উপার্জন করতে পারেন।