বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
উত্তর
আল্লাহ তাআলা আপনার হৃদয় বিগলিত করে দিন। অন্তরে প্রশান্তি দান করুন। আমিন।
আপনি আত্মিক প্রশান্তির জন্য কয়েকটি আমল করতে পারেন। ইনশাআল্লাহ এর মাধ্যমে উপকার
হবে বলে আশা করি।
১/ পবিত্র কুরআনুল কারীম বেশী বেশী তিলাওয়াত করুন। কুরআন
তিলাওয়াতের মাধ্যমে হৃদয়ে প্রশান্তি আসে। কুরআন মাজিদ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
<!--[endif]-->
وَنُنَزِّلُ
مِنَ الْقُرْآَنِ مَا هُوَ شِفَاءٌ وَرَحْمَةٌ لِلْمُؤْمِنِينَ
‘আমি কোরআন নাজিল করেছি, যা মুমিনের
জন্য রোগের আরোগ্য ও রহমতস্বরূপ।’ (সুরা বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৮২)
২/ নামাজ আদায় করুন। নামাজ আদায়ের
মাধ্যমে মানুষের অন্তরে প্রশান্তি আসে। নামাজ আদায়কারী মানসিক অশান্তি থেকে নিরাপদ
থাকে। এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
إِنَّ
الْإِنْسَانَ خُلِقَ هَلُوعًا إِذَا مَسَّهُ
الشَّرُّ جَزُوعًا . وَإِذَا
مَسَّهُ الْخَيْرُ مَنُوعًا . إِلَّا
الْمُصَلِّينَ . الَّذِينَ
هُمْ عَلَى صَلَاتِهِمْ دَائِمُونَ
‘মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে ভীরু হিসেবে। যখন
তাকে অনিষ্ট স্পর্শ করে, তখন সে হা-হুতাশ করে। আর যখন কল্যাণপ্রাপ্ত হয়, তখন কৃপণ হয়ে যায়। তবে তারা ব্যতীত, যারা নামাজ
আদায়কারী। যারা তাদের নামাজে সার্বক্ষণিক কায়েম থাকে।’ (সুরা
মায়ারিজ, আয়াত : ১৮-২৩)
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে- রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতেন
বেলাল (রা.)-কে বলতেন, ‘নামাজের ইকামত দাও, এর মাধ্যমে আমাকে প্রশান্তি দাও।’ (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ৪৯৮৫)
অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন চিন্তিত হতেন নামাজে দাঁড়িয়ে যেতেন। (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস :
১৩১৯)
৩/ আল্লাহর জিকির করুন। অধিক পরিমাণে জিকির করুন। পরিপূর্ণ মানসিক প্রশান্তি লাভ ও সব রকম মানসিক উৎকণ্ঠা থেকে মুক্তির অন্যতম
উপায় আল্লাহ তাআলার স্মরণ বা জিকির। জিকিরের মাধ্যমে হৃদয় বিগলিত হয়।
অন্তর-মন প্রশান্তি লাভ করে। মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন-
الَّذِينَ
آَمَنُوا وَتَطْمَئِنُّ قُلُوبُهُمْ بِذِكْرِ اللَّهِ أَلَا بِذِكْرِ اللَّهِ
تَطْمَئِنُّ الْقُلُوبُ
‘যারা
ঈমান আনে, আল্লাহর স্মরণে তাদের অন্তর প্রশান্ত হয়। জেনে
রেখো, আল্লাহর স্মরণেই শুধু হৃদয় প্রশান্ত হয়।’ (সুরা রাদ, আয়াত : ২৮
সময়ে বরকত লাভ করার জন্য দুই রাকাআত সালাতুল হাজাত পড়ে
দৈনন্দিন রুটিন করুন। এবং সেই অনুযায়ী ইবাদাত, অধ্যয়ন, ইলম অর্জন ও দাওয়াহর মাঝে
সময় কাটান। আল্লাহ চাহেন তো বারাকাহ আসবে।
আল্লাহ তাআলা ভালো জানেন।
উত্তর প্রদান
মুফতী মুহাম্মাদ মাহবুবুল হাসান
ফাতওয়া বিভাগ, IOM