জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো মাখরাজ অনুযায়ী কুরআন তিলাওয়াত জরুরি।
কেননা মাখরাজ গত ভূল হলে অনেক সময় অন্য অক্ষরের ন্যায় উচ্চারণ হয়ে যায়,যাতে প্রায়ই অর্থ বিকৃত হয়ে যায়।
এতে ছওয়াবের পরিবর্তে গুনাহ হবে।
যাহা কোনোভাবেই অনুমোদিত নয়।
,
★যাদের জন্য পূর্ণ তাজবিদ সহকারে কুরআন তেলাওয়াত সম্ভব। শুধুমাত্র তাদের জন্যই পূর্ণ তাজবিদ সহকারে কুরআন তেলাওয়াত করা ওয়াজিব।আর যাদের বেলায় সম্ভব নয়, তাদের জন্য পূর্ণ তাজবিদ সহকারে কুরআন তেলাওয়াত করা ওয়াজিব নয়।বরং অর্থে পরিবর্তন আসেনা এমনকরে কুরআন পড়াই তাদের জন্য যথেষ্ট হবে।এমনকি তারা পূর্ণ তাজবিদ সহকারে না পড়লেও তাদের কোনোপ্রকার গোনাহগার হবেন না।(শরহু তাইয়্যিবাতুন-নাশর-৬৩)
বিস্তারিত জানুনঃ
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি মদ গুন্নাহ সংক্রান্ত সমস্যা হয়,মাখরাজ গত সমস্যা না হয়,তাহলে তারা এইভাবেই তিলাওয়াত চালিয়ে যেতে পারবে।
কোনো সমস্য নেই।
বরং তাদের এমন কষ্টে তিলাওয়াতের দরুন অনেক ছওয়াব হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، وَهَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم قَالَ " الَّذِي يَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَهُوَ مَاهِرٌ بِهِ مَعَ السَّفَرَةِ الْكِرَامِ الْبَرَرَةِ، وَالَّذِي يَقْرَؤُهُ وَهُوَ يَشْتَدُّ عَلَيْهِ فَلَهُ أَجْرَانِ " . -
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কুরআন পাঠে দক্ষ ব্যক্তি উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন ফিরিশতাদের সঙ্গী হবে। আর যে ব্যক্তি কুরআন পড়ার সময় আটকে যায় এবং কষ্ট করে তিলাওয়াত করে তার জন্য রয়েছে দ্বিগুন সওয়াব।
বুখারী ৪৯৩৭, মুসলিম ৭৯৮, ইবনু মাজাহ ৩৭৭৯, মুসান্নাফ ‘আবদুর রাযযাক্ব ৪১৯৪।
,
★আর যদি মাখরাজ গত সমস্যা হয়,সেক্ষেত্রে তাদের এইভাবে তিলাওয়াত চালিয়ে যাওয়া যাবেনা।
বরং কুরআন শুদ্ধ পড়ার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
কোনো শিক্ষকের কাছ থেকে শুদ্ধ করে নিতে হবে।
এর মাঝে যতটুকু শুদ্ধ তিলাওয়াত করতে পারে,শুধু ততটুকুই তিলাওয়াত করবে।
,
মাখরাজ সংক্রান্ত সমস্যার ক্ষেত্রে নয়,বরং ইসলামী স্কলারগন মদ গুন্নাহ সংক্রান্ত সমস্যার ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করেননা।