আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
406 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (65 points)
আসসালামু 'আলাইকুম হযরত।আল্লাহর দয়ায় ভাল আছেন আশা করি। আমার প্রশ্ন

১,বিভিন্ন সময় আমাদের বাবা মা দের দেখা যায় কুর'আন তেলাওয়াত করতে,বিশেষত রমাদান মাসে বেশি।তাদের বয়স ৫০ থেকে ৬০ মধ্যে,এবং দুনিয়াবি জ্ঞানে শিক্ষিত।কিন্তু তাদের তিলাওয়াত এর তাজউইদ শুদ্ধ না পরিপূর্নভাবে,মাখরাজ ও পরিপূর্ণ শুদ্ধ নয়।এমতাবস্থায় তাদেরকে কি নিষেধ করব? আমি একাধিকবার বলেছি তারা বলে আমাদের বয়স হয়েছে তাই যতটুক পারি উচ্চারণ করতে সেটাই সঠিক।আমিও বেশি নিষেধ করিনা কারণ তাতে উনারা কুর'আন তেলাওয়াত ছেড়ে দিতে পারেন,এ অবস্থায় করণীয় কি?

২,অনেক হাফেযে কুর'আন বয়স্ক হয়ে গেলে যখন দাত পড়ে যায় তখন মাখরাজ সঠিক ভাবে আদায় করতে পারেনা,তারা কি তখন তেলাওয়াত ছেড়ে দিবে?

এক জায়গায় শুনলাম ইবনু উসাইমিন রাহিঃ তিলাওয়াতএর শুদ্ধতা নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে  না করেছে।যার যেটুক সাধ্যমত সেটুক মত পড়তে।


উত্তর জানাবেন ইন শা আল্লাহ।

জাযাকাল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (573,660 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান হলো মাখরাজ অনুযায়ী কুরআন তিলাওয়াত জরুরি। 
কেননা মাখরাজ গত ভূল হলে অনেক সময় অন্য অক্ষরের ন্যায় উচ্চারণ হয়ে যায়,যাতে প্রায়ই অর্থ বিকৃত হয়ে যায়।

এতে ছওয়াবের পরিবর্তে গুনাহ হবে।
যাহা কোনোভাবেই অনুমোদিত নয়।   
,
★যাদের জন্য পূর্ণ তাজবিদ সহকারে কুরআন তেলাওয়াত সম্ভব। শুধুমাত্র তাদের জন্যই পূর্ণ তাজবিদ সহকারে কুরআন তেলাওয়াত করা ওয়াজিব।আর যাদের বেলায় সম্ভব নয়, তাদের জন্য পূর্ণ তাজবিদ সহকারে কুরআন তেলাওয়াত করা ওয়াজিব নয়।বরং অর্থে পরিবর্তন আসেনা এমনকরে কুরআন পড়াই তাদের জন্য যথেষ্ট হবে।এমনকি তারা পূর্ণ তাজবিদ সহকারে না পড়লেও তাদের কোনোপ্রকার গোনাহগার হবেন না।(শরহু তাইয়্যিবাতুন-নাশর-৬৩)

বিস্তারিত জানুনঃ 

★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি মদ গুন্নাহ সংক্রান্ত সমস্যা হয়,মাখরাজ গত সমস্যা না হয়,তাহলে তারা এইভাবেই তিলাওয়াত চালিয়ে যেতে পারবে।
কোনো সমস্য নেই।

বরং তাদের এমন কষ্টে তিলাওয়াতের দরুন অনেক ছওয়াব হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، وَهَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم قَالَ " الَّذِي يَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَهُوَ مَاهِرٌ بِهِ مَعَ السَّفَرَةِ الْكِرَامِ الْبَرَرَةِ، وَالَّذِي يَقْرَؤُهُ وَهُوَ يَشْتَدُّ عَلَيْهِ فَلَهُ أَجْرَانِ " . -

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কুরআন পাঠে দক্ষ ব্যক্তি উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন ফিরিশতাদের সঙ্গী হবে। আর যে ব্যক্তি কুরআন পড়ার সময় আটকে যায় এবং কষ্ট করে তিলাওয়াত করে তার জন্য রয়েছে দ্বিগুন সওয়াব।
বুখারী ৪৯৩৭, মুসলিম ৭৯৮, ইবনু মাজাহ ৩৭৭৯, মুসান্নাফ ‘আবদুর রাযযাক্ব ৪১৯৪।

,
★আর যদি মাখরাজ গত সমস্যা হয়,সেক্ষেত্রে তাদের এইভাবে তিলাওয়াত চালিয়ে যাওয়া যাবেনা।
বরং কুরআন শুদ্ধ পড়ার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
কোনো শিক্ষকের কাছ থেকে শুদ্ধ করে নিতে হবে।
এর মাঝে যতটুকু শুদ্ধ তিলাওয়াত করতে পারে,শুধু ততটুকুই তিলাওয়াত করবে।   
,
মাখরাজ সংক্রান্ত সমস্যার ক্ষেত্রে নয়,বরং ইসলামী স্কলারগন মদ গুন্নাহ সংক্রান্ত সমস্যার ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করেননা।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...