আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
314 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (16 points)
১।অনিচ্ছায় আসা হারাম টাকা যদি মূল মালিকের নিকট ফেরত দেওয়ার পথ থাকে কিন্তু তারপরেও কোনো কারণে ঐ টাকা মূল মালিককে না দিয়ে সওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দেয় তাহলে কি গুনাহ হবে?

২।এমন কোনো গরীব কে যাকাত দেওয়া হলো(যেমনঃবাসা-বাড়িতে কাজ করার জন্য নিয়োজিত করা কাজের লোক)।তাদেরকে যাকাত দেওয়া হলো এবং যদি মনে মনে এই এক্বীন থাকে যে তাকে যাকাতের টাকা দিলে সে হয়তো কাজ আরও ভালো করে করবে,অর্থাৎ নিজের  দুনিয়াবি কোনো স্বার্থ হাসিল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে কি যাকাত আদায় হবে?
৩।একইভাবে সুদের টাকা দিলে কি আদায় হবে?
by (0 points)
Assalamualikum,,, vai 3 নং উত্তর হল,,সুদের টাকা দিয়ে তো যাকাত আদায় হবেই না বরং আরো গুনাহ হবে,, আর তার থেকেও বড় গুনাহ হবে আপনি যদি সুদ খান '''আবূ হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ  বলেছেন,

الرِّبَا سَبْعُونَ حُوبًا أَيْسَرُهَا أَنْ يَنْكِحَ الرَّجُلُ أُمَّهُ

সুদের গুনাহর সত্তরটি স্তর রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্র স্তর হলো আপন মাকে বিবাহ (যেনা) করা। (ইবনু মাজাহ ২২৭৪)

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/1900 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া। নতুবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।
 من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি হারাম টাকার মূল মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়, এবং মালিক সম্পর্কে এ ধারণা থাকে যে, সে ঐ টাকাকে হারাম কাজে ব্যবহার করবে, তাহলে এমতাবস্থায় মূল মালিকের নিকট ফিরিয়ে না দিয়ে সদকাহ করে দেওয়াই উত্তম। বিশেষ যদি সুদের টাকা হয়।আর যদি মালিক দাবী করে বসে যেমন কারো পাওনা টাকা, তাহলে এমতাবস্থায় মালিকের নিকট ফিরিয়ে দিতে হবে। 

(২) যাকাতের টাকা দিলে সে হয়তো কাজ আরও ভালো করে করবে,অর্থাৎ নিজের দুনিয়াবি কোনো স্বার্থ হাসিল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে এমতাবস্থায় যাকাত আদায়ই হবে না। 

(৩) সুদের টাকার বিষয়ে এমন কোনো শর্ত নাই। তবে এভাবে কাউকে না দিয়ে বরং নিঃস্বার্থভাবে কাউকে দিতে হবে। কবুল না হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যেতে পারে এমতাবস্থায়। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...