আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
281 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।
★নিম্নে বর্ণিত নবী রাসূলগণ কত বছর বেঁচে ছিলেন এই তালিকাটি তথ্যগুলো সঠিক কিনা জানাবেন শায়েখ।

হযরত আদম(আঃ)  ১০০০ অথবা, ৯৬০ বছর

হযরত ইদ্রীস(আঃ) ৮৩  বছর

হযরত নূহ(আ)  ৯৫০ অথবা, কিছু বেশী

হযরত হুদ (আঃ)   ১৫০ বছর

হযরত সালেহ (আঃ)  ৮৫ বছর

হযরত ইব্রাহীম (আঃ)  ১৭৫ বছর

হযরত লুত (আঃ)  ১৭৫ বছর

হযরত  ইসমাইল (আঃ)  ১৪৩ অথবা, ১২০ বছর

হযরত ইসহাক (আঃ) ১৮০ অথবা, ১৭৮ বছর

হযরত ইয়াকূব (আঃ) ১৪৭ বছর

হযরত ইউসুফ (আঃ) ১১০ বছর

হযরত শুয়াইব (আঃ) ১০০ অথবা, কিছু কম

হযরত আইয়্যূব (আঃ) ৯৬ বছর

হযরত যুল-কিফল (আঃ) ৭৫  বছর                                             
হযরত মূসা (আঃ ১২০ বছর

হযরত হারুন (আঃ) ১২২ বছর

হযরত দাউদ (আঃ) ৭০ বছর

হযরত সুলাইমান (আঃ) ৫৩ বছর

হযরত ইলিয়াস (আঃ)  ১০০ অথবা, কিছু কম

হযরত ইয়াসা (আঃ)  ১০০ এর কাছাকাছি

হযরত ইউনুস (আঃ)   ১০০ এর কাছাকাছি

হযরত যাকারিয়া (আঃ) ১২০ বছর                                                         
হযরত ইয়াহ্ইয়া  ৩০ বছর

হযরত ঈসা (আঃ) ৩৩ বছর

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ৬৩ বছর


জাযাকুমুল্লাহ খইর শায়েখ
closed

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
selected by
 
Best answer
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই /বোন,
নবী রাসূলগণ কত বছর বেঁচে ছিলেন?
এই মর্মে উলামায়ে কেরামদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে।
অনেক মত রয়েছে।
প্রশ্নে উল্লেখিত বয়সগুলো সেই একাধিক মত গুলোর  অন্তর্ভুক্ত,তাই এগুলোকে সঠিক তথ্য নয় বলে বলা যাবেনা।
তবে ইহা ছাড়াও আরও মত রয়েছে।

تعدّدت الأقوال في المدّة التي عاشها سيدنا آدم -عليه السّلام-، فقال وهب بن منبّه: إنَّ المدّة التي عاشها سيدنا آدم -عليه السّلام- هيَ ألف سنة (1000)، وقيل: إنَّ المدّة التي عاشها آدم -عليه السّلام- هي تسعمئة وثلاثين سنة (930)، وقد وُجد ذلك مكتوباً في التّوراة،
ابن قتيبة الدينوري (1992)، المعارف (الطبعة الثانية)، القاهرة: الهيئة المصرية العامة للكتاب، صفحة 19. بتصرّف.


وكذلك قال ابن قتيبة، وفي روايةٍ أنَّه عاش ألف سنة إلا أربعين عاماً (960)
ابن الملقن (2008)، التوضيح لشرح الجامع الصحيح (الطبعة الأولى)، دمشق-سوريا: دار النوادر، صفحة 241، جزء 5. بتصرّف.
সারমর্মঃ
আদম আঃ এর বয়স ১০০০ কেহ কেহ বলেছেন ৯৩০.  কেহ কেহ বলেছেন ৯৬০।   

ذكر المؤرخون أنَّ إدريس -عليه السّلام- عاش اثنين وثمانين عاماً (82 عام)

عبد الرحمن الميداني (2009)، العقيدة الإسلامية وأسسها (الطبعة الرابعة عشر)، دمشق: دار القلم، صفحة 367. بتصرّف.
সারমর্মঃ   ইদরিস আঃ ৮২ বছর জীবিত ছিলেন।
 
عاش نوح -عليه السلام- تسعمئة وخمسين سنة كما جاء في سِفر التَّكوين،

رحمت الله الهندي (1989)، إظهار الحق (الطبعة الأولى)، السعودية: الرئاسة العامة لإدارات البحوث العلمية والإفتاء والدعوة والإرشاد، صفحة 267، جزء 2. بتصرّف.

 وقيل إنَّه عاش ألفي وخمسمئة سنة (2500)، قضى منها تسعمئة وخمسين سنة في الدَّعوة إلى الله -تعالى- (950)، فقضى ثمانمئة وخمسين سنة (850) قبل أن يُبعث، وقضى مئتي سنة (200 عام) وهو يصنع السّفينة، وقضى خمسمئة سنة (500) بعدما نزل من السّفينة
সারমর্মঃ নুহ আঃ ৯৫০ বছর জীবিত ছিলেন।
কেহ কেহ বলেছেন ২৫০০ বছর।

هود عليه السلام عاش هود -عليه السلام- أربعمئة وأربعين سنة (440) كما جاء في كتاب أبي حذيفة
সারমর্মঃ হুদ আঃ ৪৪০ বছর জীবিত ছিলেন।

 صالح عليه السلام عاش صالح -عليه السّلام- ثلاثمئة وواحد وعشرين عاماً (321)
সারমর্মঃ ছালেহ আঃ ৩২১ বছর জীবিত ছিলেন।

 إبراهيم عليه السلام عاش إبراهيم -عليه السّلام- مئة وعشرين عاماً (120)، وقيل: إنَّ المدّة بين هبوط آدم -عليه السّلام- ومولد إبراهيم -عليه السّلام- هي ثلاثة آلاف وثلاثمئة وسبع وثلاثين سنة (3337)،
সারমর্মঃ ইবরাহিম আঃ ১২০ বছর জীবিত ছিলেন।,,


لوط عليه السلام عاش لوط -عليه السّلام- مئة وثلاثين عاماً (130)،
সারমর্মঃ লুত আঃ ১৩০ বছর জীবিত ছিলেন।

 إسماعيل عليه السلام عاش إسماعيل -عليه السّلام- مئة وسبعة وثلاثين عاماً (137)،
সারমর্মঃ ইসমাইল  আঃ ১৩৭ বছর জীবিত ছিলেন।

إسحاق عليه السلام عاش إسحاق -عليه السّلام- مئة وثمانين عاماً (180)،
সারমর্মঃ ইসহাক আঃ ১৮০ বছর জীবিত ছিলেন।

 يعقوب عليه السلام عاش يعقوب -عليه السّلام- مئة وسبع وأربعين عاماً (147)،وقيل إنَّه عاش مئة وخمسين عاماً (150)
সারমর্মঃ ইয়াকুব আঃ ১৪৭ বছর জীবিত ছিলেন।
কেহ কেহ বলেছেন ১৫০ বছর।

، يوسف عليه السلام عاش يوسف -عليه السّلام- مئة وعشرين عاماً (120)، وجاء في التّوراة أنَّه عاش مئة وعشرة سنوات (110)،
সারমর্মঃ ইউসুফ আঃ ১২০ বছর জীবিত ছিলেন।
তাওরাত কিতাবে আছে ১১০ বছর।

 وقيل إنَّه عاش مئة وخمسة وعشرين عام (125 عام)، 
কেহ কেহ বলেছেন ১২৫ বছর।
 
وقيل إنَّه عاش أربعمئة عاماً (400)، 
কেহ কেহ বলেছেন ৪০০ বছর।

 أيوب عليه السلام عاش أيوب -عليه السّلام- ثلاثاً وتسعين عاماً (93)،
সারমর্মঃ আইয়ুব  আঃ ৯৩ বছর জীবিত ছিলেন।

 موسى وهارون عليهما السلام عاش موسى -عليه السّلام- مئة وعشرون عاماً (120)، 
সারমর্মঃ মুসা আঃ ১২০ বছর জীবিত ছিলেন।

 داود عليه السلام عاش داود -عليه السّلام- سبعين عاماً (70)، وقد دام مُلكه أربعين سنة، وأوصى بالُملك لابنه سُليمان بعد وفاته، ورُوُيَ أنَّ داود -عليه السّلام- عاش مئة عام (100)،
সারমর্মঃ দাউদ আঃ ৭০ বছর জীবিত ছিলেন।
কেহ কেহ বলেছেন যে ১০০ বছর।   

سليمان عليه السلام عاش سليمان -عليه السلام- اثنين وخمسين عاماً (52)، وقد دام ملكه أربعين سنة، 
সারমর্মঃ সুলাইমান আঃ ৫২ বছর জীবিত ছিলেন।

كان عمر يَحيى -عليه السّلام- عند وفاته ثلاثين عاماً، 
সারমর্মঃ ইয়াহইয়া আঃ ৩০ বছর জীবিত ছিলেন।

 عيسى عليه السلام لم يمُت عيسى -عليه السلام-، بل رفعه الله -تعالى- إليه، وسينزل في آخر الزمان،
ঈসা আঃ মারা যাননি,বরং আল্লাহ তায়ালা তাকে নিজের দিকে উঠিয়ে নিয়েছেন।  

 محمد صلى الله عليه وسلم جاء في صحيح البخاري أنَّ النبيّ محمد -صلى الله عليه وسلم- تُوفّي وعمره ثلاثة وستين عاماً،
সারমর্মঃ মুহাম্মদ সাঃ ৬৩ বছর জীবিত ছিলেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 110 views
...