আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
237 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (35 points)
আসসালামু আ'লাইকুম ওয়া রহ্'মাতুল্লাহ,
১।অনিচ্ছায় সুদের বা হারাম টাকা আসলে তা প্রথমে মূল মালিকের নিকট ফেরত দেওয়া এবং যদি মূল মালিকের নিকট ফেরত দেওয়া সম্ভব না হয় তাহলে তা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দেওয়া।
কিন্তু ব্যাংকের ক্ষেত্রে সেই টাকা ব্যাংকে ফেরত দিলে তা হারাম কাজে ব্যবহার হতে পারে বিধায় ব্যাংকে অতিরিক্ত টাকা রেখে দেওয়া জায়েজ নয়।এমনকি সুদি ব্যাংকে একাউন্ট খোলাও জায়েজ নেই।http://www.ifatwa.info/19384
এই ফতোয়ার ১নং উত্তরে বলা হয়েছে যে ইভ্যালি থেকে অতিরিক্ত টাকা আসলেও তা ইভ্যালিকে ফেরত না দেওয়া, কেননা সেই টাকা হারাম কাজে ব্যবহার হতে পারে।তাহলে সুদি ব্যাংকে একাউন্ট খোলা যেমন জায়েজ নয় তেমনি ইভ্যালি থেকেও কোনো কিছু ক্রয় করা জায়েজ হওয়ার কথা না।

২।http://www.ifatwa.info/19384
ফতোয়ার ১নং উত্তরে বলা হয়েছে যে ইভ্যালি সেই রিফান্ডের অতিরিক্ত টাকা হারাম কাজে ব্যয় করবে।ইভ্যালি টাকা হারাম কাজে ব্যয় করে সে বিষয়ে কি নিশ্চিত হওয়া যায়?

৩।http://www.ifatwa.info/1536
ফতোয়ায় বলা হয়েছে যে বিক্রেতাকে মূল্য দেওয়ার পর সেই টাকা যদি অবৈধ কাজে ব্যয় করা হয় তাহলে মূল্য প্রদানকারীর কোনো গুনাহ হবে না। তাহলে তো রিফান্ডের অতিরিক্ত টাকা ইভ্যালিকেই ফেরত দেওয়া উচিত, যেহেতু অনিচ্ছায় সুদের বা হারাম টাকা আসলে তা প্রথমে মূল মালিকের নিকট ফেরত দেওয়া।
(ইভ্যালির রিফান্ডের অতিরিক্ত টাকা ইভ্যালি কে দিব নাকি দান করব এই নিয়ে বিভ্রান্তিতে আছি।তাই এতগুলো প্রশ্ন করলাম।উত্তর দিলে কৃতজ্ঞ থাকব।ভুল-ত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন)

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আপনার সবগুলি প্রশ্নের একটাই উদ্দেশ্য যে, ইভ্যালি থেকে আসা সুদের টাকার ব্যপারে আপনি কি করবেন। 
https://www.ifatwa.info/1900 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া। নতুবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।
 من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
েইভ্যালির সুদের টাকার ব্যাপারে যে কোনো একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন। আপনি চাইলে ইভ্যালিকে ফেরত দিতে পারেন আবার চাইলে ফকির মিসকিনদের সদকাহ করেও দিতে পারেন। সুদী ব্যাংকে যেভাবে বিনা প্রয়োজনে একাউন্ট খোলা জায়েয নয়, ঠিক সেভাবে বিনা প্রয়োজনে সুদী লেনদেনকারীদের নিকট থেকে ক্রয় বিক্রয় করাও জায়েয নয়। কিন্তু যদি তাদের নিকট কিছূ অতিরিক্ত সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়, তাহলে সুদী লেনদেনকারীদের নিকট ক্রয়-বিক্রয় করা জায়েয হবে। কেননা এখানে অতিরিক্ত সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। উত্তম এটাই যে, ফকির মিসকিনদের দিয়ে দেয়া। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...