অনিয়মিত নামাজ আদায় প্রসঙ্গে

Question

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ
আমার খুব কাছের এক বোন একটা বিষয় নিয়ে খুবই বিষন্নতায় ভোগেন। বুঝ হওয়ার পর থেকে চেষ্টা করেন নিয়মিত নামাজ আদায় করতে। কিন্তু মাঝে মাঝে সে নিয়মিত দ্বীনি কাজগুলো থেকে কেমন পিছিয়ে যায়। শুধু তাই নয়, তার কাজ-কর্ম এমন হয় যে দেখে মনে হয়না দুনিয়া-আখিরাত বলে কিছু আছে। নামাজ কালাম, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির সব থেকে সে দূরে সরে যায়। অহেতুক ফোন স্ক্রলিং, ইউটিউবিং এসব করতে থাকে।
এমন নয় যে তার চারিত্রিক কোন দোষ আছে বা হারাম কিছুতে জড়িয়ে আছে। সে যে ভুক করছে সেটাও সে বুঝে। কিন্তু নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়। তার একটা বড় সমস্যা হলো কোন কিছুতে ইস্তিকামাত থাকতে পারে না বেশী দিন। অল্পতে ধৈর্য্য হারা হয়ে যায়।
এমতাবস্থায় নিজের এই খারাপ অবস্থা থেকে সে কিভাবে সারিয়ে উঠতে পারে বলবেন দয়া করে। এমন কোন বিশেষ কারণ যদি থেকে থাকে যেটার কারণে সে এমন পরিস্থিতিতে ভুগছে সেটাও জানাবেন।

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

হজরত জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) ইরশাদ করেন, মুমিন বান্দা ও কুফরীর মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে নামাজ ত্যাগ করা। (বোখারী)

অন্য হাদীসে আছে, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি নামাজ আদায় করে না, দীন ইসলামে তার কোনো অংশ নেই। (বোখারী ও মুসলিম)

বেনামাজি ব্যক্তি কিয়ামতের দিন চরমভাবে লাঞ্ছিত ও অপদস্থ হবে। এ সম্বন্ধে পবিত্র কুরআন মজীদে ইরশাদ রয়েছে, স্মরণ কর, সেই চরম সংকটের দিনের কথা, যেদিন তাদেরকে আহবান করা হবে সিজদা করার জন্য; কিন্তু তারা তা করতে সক্ষম হবে না। তাদের সৃষ্টি অবনত, হীনতা তাদেরকে আচ্ছন্ন করবে। অথচ যখন তারা নিরাপদ ছিল তখন তো তাদেরকে আহবান করা হয়েছিল সিজদা করতে। (সূরা কালাম, ৬৮ : ৪২-৪৩)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

আপনি নিয়মিত ধারাবাহিক আল্লাহর যিকির করতে থাকবেন-দেখবেন মন শান্ত হবে।

الَّذِينَ آمَنُواْ وَتَطْمَئِنُّ قُلُوبُهُم بِذِكْرِ اللّهِ أَلاَ بِذِكْرِ اللّهِ تَطْمَئِنُّ الْقُلُوبُ

যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের অন্তর আল্লাহর যিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে; জেনে রাখ, আল্লাহর যিকির দ্বারাই অন্তর সমূহ শান্তি পায়।(সূরা রা'দ-২৮)

এবং আপনি সর্বদা পবিত্র অবস্থায় থাকবেন, যিকির,ইবাদত, ইত্যাদিতে সর্বদা আপনি লিপ্ত থাকবেন।