ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হজরত জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) ইরশাদ করেন, মুমিন বান্দা ও কুফরীর মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে নামাজ ত্যাগ করা। (বোখারী)
অন্য হাদীসে আছে, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি নামাজ আদায় করে না, দীন ইসলামে তার কোনো অংশ নেই। (বোখারী ও মুসলিম)
বেনামাজি ব্যক্তি কিয়ামতের দিন চরমভাবে লাঞ্ছিত ও অপদস্থ হবে। এ সম্বন্ধে পবিত্র কুরআন মজীদে ইরশাদ রয়েছে, স্মরণ কর, সেই চরম সংকটের দিনের কথা, যেদিন তাদেরকে আহবান করা হবে সিজদা করার জন্য; কিন্তু তারা তা করতে সক্ষম হবে না। তাদের সৃষ্টি অবনত, হীনতা তাদেরকে আচ্ছন্ন করবে। অথচ যখন তারা নিরাপদ ছিল তখন তো তাদেরকে আহবান করা হয়েছিল সিজদা করতে। (সূরা কালাম, ৬৮ : ৪২-৪৩)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি নিয়মিত ধারাবাহিক আল্লাহর যিকির করতে থাকবেন-দেখবেন মন শান্ত হবে।
الَّذِينَ آمَنُواْ وَتَطْمَئِنُّ قُلُوبُهُم بِذِكْرِ اللّهِ أَلاَ بِذِكْرِ اللّهِ تَطْمَئِنُّ الْقُلُوبُ
যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের অন্তর আল্লাহর যিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে; জেনে রাখ, আল্লাহর যিকির দ্বারাই অন্তর সমূহ শান্তি পায়।(সূরা রা'দ-২৮)
এবং আপনি সর্বদা পবিত্র অবস্থায় থাকবেন, যিকির,ইবাদত, ইত্যাদিতে সর্বদা আপনি লিপ্ত থাকবেন।