আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
404 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (25 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
সম্মানিত মুফতি সাহেব।
আমি অনেকদিন  আগে এই গ্রুপে আমাদের স্বামী - স্ত্রীর সমস্যা লিখে  পোস্ট  করেছিলাম। উত্তরটা ছিল আমাদের  মাঝে  এক তালাক বায়েন পতিত হয়ে গেছে।
আমি উক্ত  স্বামীর সাথে সংসার করতে চাইলে  আবার নতুন  মোহর, নতুন স্বাক্ষীর সম্মুখে  উক্ত স্বামীকে বিয়ে  করতে হবে।

https://ifatwa.info/13966/?show=14019#a14019

কিন্তুু আমি  অনলাইনে  আরেক  জায়গা থেকে  প্রশ্নটার উত্তর  পাওয়ায় খুব  দ্বিধা- দ্বন্দ্বে পড়ে গেছি।
সেখান থেকে পাওয়া উত্তরটা আমি এখানে সংযোজন  করছি।
নিম্নে সেখান  থেকে পাওয়া উত্তর  দেওয়া হলোঃ

উত্তর

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

কথোপথনের সময় যদি আপনার স্বামী নিয়ত করে থাকে  যে, এখন ফোন মেসেজ দিলে তালাক। তাহলে তৎক্ষণাত না দিয়ে অন্য সময়ে ফোন মেসেজ দিলে তালাক হবে না।

কিন্তু তৎক্ষণাতের নিয়ত ছাড়া এমনিতেই যদি বলে থাকে যে, যখনি ফোন মেসেজ দিবা তখনি তালাক বা বলল আমাকে ফোন বা মেসেজ দিলেই তালাক। তাহলে পরবর্তীতে আপনি তার অনুমতি নিয়ে ফোন মেসেজ দিলেও তালাক পতিত হয়ে গেছে।

প্রথম মেসেজ বা কল দেবার মাধ্যমে এক তালাকে রেজয়ী পতিত হয়ে গেছে।

এরপর যদি রুজু না করে থাকেন, তাহলে তিন হায়েজ শেষ হবার পর আপনাদের মাঝে বিচ্ছেদ হয়ে গেছে।

এখন আবার একত্র হতে চাইলে নতুন করে মোহর ধার্য করে দুইজন সাক্ষির উপস্থিতিতে নতুন করে বিয়ে করতে হবে।

আর যদি রুজু করে থাকেন। তারপর আবার উপরোক্ত পদ্ধতিতে তালাক দিয়ে থাকেন আগের হুকুম আবার আরোপিত হবে। এইভাবে যতবার রুজু করে তালাক দেয়া হয়েছে তত তালাক পতিত হয়েছে। সেই হিসেবে যদি তিনবার রুজু করে তিনবার উপরোক্ত পদ্ধতিতে তালাক হয়ে থাকে, তাহলে তিন তালাক পতিত হয়ে আপনার স্বামী স্ত্রীর বন্ধন শেষ হয়ে গেছে। এখন আর উক্ত স্বামীর সাথে ঘর সংসার করা যাবে না।

তবে আপনার উপরোক্ত বিবরণ অনুপাতে বুঝা যায় যে, আপনাদের প্রথম তালাক হয়ে গেছে। এরপর আর রুজু করা হয়নি। তাই যদি প্রথম তালাকের পর তিন হায়েজ পরিমাণ সময় অতিক্রান্ত না হয়ে থাকে, তাহলে মুখে রুজু করে নিলেই আপনারা আবার স্বামী স্ত্রী হিসেবে বহাল থাকবেন।

আর যদি তিন হায়েজ পরিমাণ সময় অতিক্রান্ত হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে নতুন করে বিয়ে করে নিতে হবে।

উভয় ক্ষেত্রেই ভবিষ্যতে আপনার স্বামী আর দুই তালাকের মালিক থাকবেন।

স্মর্তব্য যে,

তালাক কোন ছেলেখেলা নয়। কথায় কথায় তালাকের কথা বলার বাচ্চাসূলভ মনোবৃত্তি দূর করতে হবে।

شرط للحنث فى قوله إن خرجت مثلا فأنت طالق لمريد الخروج فعليه فورا لأن قصده المنع عن ذلك الفعل عرفا ومدار الأيمان عليه (رد المحتار-5/554)

لو أرادت المرأة الخروج فقال إن خرجت فأنت طالق فجلست ثم خرجت لم يحنث (هداية، كتاب الأيمان-2/486، 2/483)

الصريح كأنت طالق ومطلقة وطلقتك يقع واحدة رجعية (البحر الرائق-3/437)

وإذا أضافه إلى الشرط وقع عقيب الشرط اتفاقا (الفتاوى الهندية، قديم-1/420، جديد-1/488، هداية-2/385)

الصريح كأنت طالق ومطلقة وطلقتك تقع واحدة رجعية (البحر الرائق-3/437)

والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক ও প্রধান মুফতী-তালীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

আমার খটকাগুলো হলোঃ

১)আমরা তো তিনবারের আরও অনেকবেশী বার ঝগড়া  করেছি, আমার স্বামী  আমাকে  বলেছে ফোন- ম্যাসেজ দিলে তালাক । এবং আমি ফোন-ম্যাসেজ দিয়েছি।
প্রত্যেকবারই আমার  স্বামীর মেজাজ  ঠান্ডা  হলেই  সে আমার কাছে মাফ চেয়েছে,বউ ডেকেছে , মানে মৌখিকভাবে রুজু যাকে বোঝায় তা হয়েছে তিনবারের বেশি।
তার মানে  আমাদের  মাঝে কি হলো এক তালাক  বায়েন?
নাকি তিন  তালাক????
২) আমরা কি পুনরায়  আবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ  হলেই  হবে না????
মধ্যে  কি আমার আবার অন্য স্বামীর সাথে সংসার  করে আসতে হবে?

আমি খুব  কনফিউজড  হয়ে গেছি।
দয়া করে যা শরীয়তসম্মত আমাদের  তা বুঝিয়ে দিন।
এবং নতুন  কারোও সাথে  সংসার  করা ছাড়াই আমি আমার  পূর্বের স্বামীকে বিয়ে  করতে পারবো কিনা জানাবেন।

1 Answer

+1 vote
by (590,550 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সহবাসের পূর্বে তালাক দিলে তালাকে বায়েন পতিত হয়,এটা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহিত সিদ্ধান্ত।অথচ আপনি যে ফাতাওয়া নিয়েছেন,তাতে লিখা রয়েছে,তালাকে রাজয়ী পতিত হবে।যা একেবারেই অনুচিত। বরং তালাকে বায়েন পতিত হয়ে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাবে।

ঐ ফাতাওয়ায় যা বলা হয়েছে,কিছুক্ষণ পর ফোন মেসেজ দিলে তালাক হবে।এটা তখনই যখন কতাবার্তা থেকে বর্তমান সময়ের সাথে নির্দিষ্ট মু'আল্লাক তালাক বুঝা যাবে।অথচ আপনার বিবরণ থেকে আমরা বুঝতে পারি যে,আপনার স্বামীর নিয়ত সাময়িক ছিলনা।বরং উনি স্থায়ীভাবে শর্তযুক্ত তালাক প্রদাণ করেছেন। যেমন আপনি বলেছিলেন-

'বিভিন্ন কারনে যখনই আমাদের ঝগড়া  হয়  মাঝেমাঝেই আমার স্বামী আমাকে বলে আমাকে আর ফোন,ম্যাসেজ দিবা না,দিলে তালাক।(প্রত্যেকবারই নিয়ত ছাড়া,না বুঝে,শুধুমাত্র আমাকে ভয় দেখিয়ে  ঝগড়া  থামিয়ে দেওয়ার  জন্য)'

"আর ফোন মেসেজ দিবানা,দিলে তালাক"

এ কথার অর্থ হল, আর কখনো ফোন মেসেজ দিবে না।দিলে তালাক।

সুতরাং আমরা পূর্বে ফাতাওয়ায় যা বলেছি,সেটাই মূলত যৌক্তিক ও দলীল সমৃদ্ধ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (25 points)
জাযাকাল্লাহ। 
আমি অপেক্ষায় থাকবো।
by (25 points)
আসসালামু আলাইকুম। 
সম্মানিত মুফতি সাহেব 
আপনি  আমার  প্রশ্নের  উত্তরটা পরে দিবেন বলেছিলেন।



by (590,550 points)
আপনারা কি কিতাব দেখারও আমাদেরকে সময় দিবেন না।
by (25 points)
আসসালামু আলাইকুম। 
আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। 
আমি বুঝতে  পারি  নাই,যে কিতাব দেখার জন্য  দেরী হচ্ছে। 
আমি ভেবেছি  আপনি  হয়তো ভুলে  গিয়ে  থাকতে পারেন।
সম্মানিত  মুফতি  সাহেব, আপনি  আমাকে  যে ফতোয়াটা দিয়েছেন সেটা  তো হানাফি মাযহাব অনুযায়ী তাই না?
আমরা হানাফি মাযহাব  follow করি তো তাই।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...