বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
উত্তর-
পবিত্র কুরআনুল কারীম ও বহু হাদিসে ইস্তেগফার করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। হাদীস শরীফে এর বহু ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিনে সত্তর বার কিংবা তার চেয়েও বেশি ইস্তেগফার করতেন।
হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে হযরত আবু হোরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি-
والله اني لاستغفر الله واتوب اليه في اليوم اكثر من سبعين مرة،
'আল্লাহর শপথ আমি দিনে ৭০ বারের অধিক আল্লাহ তাআলার নিকট তওবা করি ও ইস্তেগফার করি।' (সহিহ বুখারী : ৬৩০৭)
কোরআন ও হাদিসে ইস্তিগফারের বিষয়টি ব্যাপক রাখা হয়েছে। সুতরাং প্রত্যেক ভাষাভাষী মানুষ তাদের নিজস্ব ভাষায় যদি আল্লাহ তাআলার নিকট ইস্তেগফার করে, তওবা করে তাহলে তা নিঃসন্দেহে আদায় হবে।
হাদিসে যে সকল ইস্তেগফার বর্ণিত হয়েছে তন্মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হলো 'সাইয়েদুল ইস্তেগফার'।
হাদীসে বর্ণিত হয়েছে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি সাইয়েদুল ইস্তিগফারের কালিমাগুলো দিনের বেলা মন থেকে বলে আর ওইদিন সন্ধ্যার আগে মারা যায় সে জান্নাতীদের শামিল হবে। তেমনিভাবে যে তা রাতের বেলায় মন থেকে বলে আর ভোর হওয়ার আগেই মারা যায় সে জান্নাতীদের শামিল হবে ।' (সহিহ বুখারী : ৬৩০৩, ৬৩২৩)
এছাড়া আপনি যে ইস্তিগফারের কথা উল্লেখ করেছেন সেটিও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। (সুনানে তিরমিজি : ৩৫৭৭)
তবে আমাদের সমাজে প্রচলিত যে ইস্তেগফারের কথা আপনি উল্লেখ করেছেন তা পড়লেও ইস্তিগফার পরিপূর্ণভাবে আদায় হবে ইনশাআল্লাহ। সরাসরি এই শব্দে হাদীসে বর্ণিত না হলেও তার সকল কথা ও মর্মার্থ অন্যান্য হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। তাই এতে দ্বিধাগ্রস্থ হওয়ার কোনো কারণ নেই। যে কোন ব্যক্তি যে কোন ভাষায় ইস্তেগফার করুক তা আল্লাহ তায়ালার দরবারে আদায় হবে ইনশাআল্লাহ যদি তার ইখলাস থাকে।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সঠিকভাবে বুঝে আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন।
উত্তর প্রদান
মুফতি মুহাম্মাদ মাহবুবুল হাসান
ফাতওয়া বিভাগ, IOM