আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
18,362 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (12 points)
হযরত...

আসসালামু আলাইকুম,

 অনেকেই বলে থাকেন যে, "আস্তাগফিরুল্লাহ রাব্বি মিন কুল্লি জাম্বিউ ওয়া আতুবু   ......  আলিঈল আযিম" সহীহ হাদীস বা কুরআন বর্নিত কোন তওবার দোয়া নয়।

বরং "আস্তাগফিরুল্লাহ  হাল আযীমাল্লায.... আতুব ইলাইহি" এটা সহীহ সুন্নাহ সম্মত।

যা আমাকে দ্বিধাগ্রস্ত করে ফেলে।

তাই প্রথম দোয়াটির সহিহ সনদ দয়া করে জানাবেন কি?

জাজাকাল্লাহ খায়রান।
by
ইস্তেগফারঃ সহী হাদিস বনাম প্রচলন

হাদিসের ইস্তেগফারঃ
"আস্তাগফিরুল্লহাল্লাজী লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুমু ওয়াআতুবু ইলাইহ"

উক্ত দোয়া বা ইস্তেগফারের ফজিলত এমন যে, কেউ যদি তা পাঠ করে, তাহলে জিহাদের ময়দান থেকে পলায়ন করার পাপ ও তার ক্ষমা করে দেয়া হবে।-- সহী হাদিস, সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং- ১৫১৭, আল- হাদিস এপস।

প্রচলিত ইস্তেগফারঃ
"আস্তাগফিরুল্লাহা রাব্বি মিন কুল্লি জাম্বিও ওয়া আতুবু ইলাইহী ওয়া লাহাওলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিউল আযীম ।"

এই ইস্তেগফার বা দোয়ার কোন বিশেষ ফজিলত কুরআন বা হাদিসে নাই।

আর এর কোন কুরআন বা হাদিসের সূত্র ও নাই। এর সূত্র হলো প্রচলন। আমাদের দেশের অনেক আলেম ওলামাদের মুখ হলো এর সূত্র।

নিজেকে একটু প্রশ্ন করি। কোন ইস্তেগফারটি উত্তম?   রাসূল সাঃ এর শেখানো ইস্তেগফার নাকি আমাদের অনেক আলেম ওলামা যা শিখাচ্ছেন?  

কোন ইস্তেগফারটি উত্তম?  যেটার সাথে ক্ষমার গ্যারান্টির ফজিলত আছে নাকি যেটার কোন ফজিলত নাই? 

কোনটি উত্তম? একটি সুন্নত পালন নাকি যা সুন্নত না তা পালন?

তার পরেও যদি আমাদের দ্বিতীয় ইস্তেগফারটিই ভালো লাগে, তাহলে এর কারন যেন কোন মতেই নিম্নোক্ত কারণগুলো না হয় সেটার ব্যাপারে অনেক সচেতন হতে হবেঃ
১. গোয়ার্তমি 
২. অন্ধ অনুস্মরণ 
৩. হাদিস অবজ্ঞা।

আল্লাহ আমাদের সকল কে সঠিক বুঝ দান করুক।  আমিন

1 Answer

0 votes
by (660 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

উত্তর-

পবিত্র কুরআনুল কারীম ও বহু হাদিসে ইস্তেগফার করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। হাদীস শরীফে এর বহু ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিনে সত্তর বার কিংবা তার চেয়েও বেশি ইস্তেগফার করতেন।

হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে হযরত আবু হোরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি-

والله اني لاستغفر الله واتوب اليه في اليوم اكثر من سبعين مرة،

'আল্লাহর শপথ আমি দিনে ৭০ বারের অধিক আল্লাহ তাআলার নিকট তওবা করি ও ইস্তেগফার করি।' (সহিহ বুখারী : ৬৩০৭)

কোরআন ও হাদিসে ইস্তিগফারের বিষয়টি ব্যাপক রাখা হয়েছে। সুতরাং প্রত্যেক ভাষাভাষী মানুষ তাদের নিজস্ব ভাষায় যদি আল্লাহ তাআলার নিকট ইস্তেগফার করে, তওবা করে তাহলে তা নিঃসন্দেহে আদায় হবে।

হাদিসে যে সকল ইস্তেগফার বর্ণিত হয়েছে তন্মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হলো 'সাইয়েদুল ইস্তেগফার'।

হাদীসে বর্ণিত হয়েছে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি সাইয়েদুল ইস্তিগফারের কালিমাগুলো দিনের বেলা মন থেকে বলে আর ওইদিন সন্ধ্যার আগে মারা যায় সে জান্নাতীদের শামিল হবে। তেমনিভাবে যে তা রাতের বেলায় মন থেকে বলে আর ভোর হওয়ার আগেই মারা যায় সে জান্নাতীদের শামিল হবে ।' (সহিহ বুখারী : ৬৩০৩, ৬৩২৩)

এছাড়া আপনি যে ইস্তিগফারের কথা উল্লেখ করেছেন সেটিও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। (সুনানে তিরমিজি : ৩৫৭৭)

তবে আমাদের সমাজে প্রচলিত যে ইস্তেগফারের কথা আপনি উল্লেখ করেছেন তা পড়লেও ইস্তিগফার পরিপূর্ণভাবে আদায় হবে ইনশাআল্লাহ। সরাসরি এই শব্দে হাদীসে বর্ণিত না হলেও তার সকল কথা ও মর্মার্থ অন্যান্য হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। তাই এতে দ্বিধাগ্রস্থ হওয়ার কোনো কারণ নেই। যে কোন ব্যক্তি যে কোন ভাষায় ইস্তেগফার করুক তা আল্লাহ তায়ালার দরবারে আদায় হবে ইনশাআল্লাহ যদি তার ইখলাস থাকে।

আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সঠিকভাবে বুঝে আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন।

উত্তর প্রদান

মুফতি মুহাম্মাদ মাহবুবুল হাসান

ফাতওয়া বিভাগ, IOM

by
আসসালামু আলাইকুম 

শায়েখ, আল্লাহ কে ভয় করেন। আপনার ফতোয়া বা উত্তর প্রশ্নদাতার মুল প্রশ্ন এবং এর স্পিরিট এড়িয়ে গেছে, জানিনা ভুলে না সজ্ঞানে,  আল্লাহ ই ভালো জানেন।  

প্রশ্নদাতা আমাদের প্রচলিত ইস্তেগফারের সাথে সহীহ হাদিসের তুলনামূলক একটি প্রশ্ন করেছেন।  এর উত্তর তো স্বাভাবিকভাবেই হওয়া উচিৎ ছিল যে যেকোন আমল রাসূল সাঃ এর শিখানো বাক্য দিয়ে করা অনেক বেশী উত্তম।  আর প্রচলিত ইস্তেগফার দিয়েও হবে ইন-শা-আল্লাহ।  

তবে আমাদের উচিৎ সুনতি দোয়া ইস্তেগফার এগুলো শেখা।

আল্লাহ আমাদের কে গোড়ামী থেকে হেফাজত করুন।  এবং সঠিক ইলম দান করুক।  আমিন
by
অসংখ্যা ধন্যবাদ

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...