জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
رواه البيهقي بإسناده عن أم سلمة الأزدية قالت: رأيت عائشة تقرأ في المصحف فإذا مرت بسجدة قامت فسجدت.
সারমর্মঃ
হযরত আয়েশা রাঃ মাসহাফ থেকে কুরআন তেলাওয়াত করছিলেন,যখন কোনো সেজদার আয়তে পৌছলেন,তখন দাঁড়িয়ে গেলেন,তারপর সেজদাহ করলেন।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
وَمِنْ حُكْمِ هَذِهِ السَّجْدَةِ التَّدَاخُلُ حَتَّى يَكْتَفِيَ فِي حَقِّ التَّالِي بِسَجْدَةٍ وَاحِدَةٍ وَإِنْ اجْتَمَعَ فِي حَقِّهِ التِّلَاوَةُ وَالسَّمَاعُ وَشَرْطُ التَّدَاخُلِ اتِّحَادُ الْآيَةِ وَاتِّحَادُ الْمَجْلِسِ حَتَّى لَوْ اخْتَلَفَ الْمَجْلِسُ وَاتَّحَدَتْ الْآيَةُ أَوْ اتَّحَدَ الْمَجْلِسُ وَاخْتَلَفَتْ الْآيَةُ لَا تَتَدَاخَلُ، كَذَا فِي الْمُحِيطِ.
ভাবার্থঃ-সেজদায়ে তেলাওয়াতের একই আয়াতকে একই মজলিসে কয়েকবার তেলাওয়াত করলে তেলাওয়াতকারী ও শ্রুতা উভয়ের উপর একই সেজদায়ে তেলাওয়াত আসবে।তবে শর্ত হলো,বারংবার তেলাওয়াত একটি আয়াতকে কেন্দ্র করেই হতে হবে।এবং তেলাওয়াতের মজলিস এক হতে হবে।যদি সেজদায়ে তেলাওয়াতের কোনো এক আয়াতকে কয়েক মজলিসে তেলাওয়াত করা হয়,তাহলে মজলিস ভিন্ন হওয়ার ধরুণ কয়েক সেজদা আসবে।আবার একই মজলিসে যদি ভিন্ন ভিন্ন সেজদার আয়াতকে তেলাওয়াত করা হয়,তাহলেও কয়েক সেজদা ওয়াজিব হবে।সুতরাং বারংবার তেলাওয়াত করার পর এক সেজদা ওয়াজিব হওয়ার জন্য শর্ত হলো,একই আয়াতকে বারংবার তেলাওয়াত করা।এবং মজলিস এক হওয়া।নতুবা এক সেজদা ওয়াজিব হবে না।বরং কয়েক সেজদা ওয়াজিব হবে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৩৪)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যদি এক মজলিসে তেলাওয়াতে সেজদার কোনো এক আয়াতকে মুখস্থ করার মানসে বারংবার তেলাওয়াত করেন,তাহলে এক সেজদাই ওয়াজিব হবে।আর যদি কয়েক মজলিসে একই আয়াতকে বারংবার তেলাওয়াত করেন,তাহলে কয়েক সেজদা ওয়াজিব হবে।
,
(০২)
সেজদাহ ওয়াজিব হওয়ার জন্য সেজদার আয়াত তিলাওয়াত করা আবশ্যক।
মনে মনে পড়লে সেজদাহ ওয়াজিব হবেনা।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেজদাহ ওয়াজিব হবেনা।