ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(ক)
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
وَأَتِمُّوا الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ لِلَّهِ ۚ فَإِنْ أُحْصِرْتُمْ فَمَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الْهَدْيِ ۖ وَلَا تَحْلِقُوا رُءُوسَكُمْ حَتَّىٰ يَبْلُغَ الْهَدْيُ مَحِلَّهُ ۚ فَمَن كَانَ مِنكُم مَّرِيضًا أَوْ بِهِ أَذًى مِّن رَّأْسِهِ فَفِدْيَةٌ مِّن صِيَامٍ أَوْ صَدَقَةٍ أَوْ نُسُكٍ ۚ فَإِذَا أَمِنتُمْ فَمَن تَمَتَّعَ بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ فَمَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الْهَدْيِ ۚ فَمَن لَّمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ فِي الْحَجِّ وَسَبْعَةٍ إِذَا رَجَعْتُمْ ۗ تِلْكَ عَشَرَةٌ كَامِلَةٌ ۗ ذَٰلِكَ لِمَن لَّمْ يَكُنْ أَهْلُهُ حَاضِرِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ
আর তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ্জ্ব ওমরাহ পরিপূর্ণ ভাবে পালন কর। যদি তোমরা বাধা প্রাপ্ত হও, তাহলে কোরবানীর জন্য যাকিছু সহজলভ্য, তাই তোমাদের উপর ধার্য। আর তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত মাথা মুন্ডন করবে না, যতক্ষণ না কোরবাণী যথাস্থানে পৌছে যাবে। যারা তোমাদের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়বে কিংবা মাথায় যদি কোন কষ্ট থাকে, তাহলে তার পরিবর্তে রোজা করবে কিংবা খয়রাত দেবে অথবা কুরবানী করবে। আর তোমাদের মধ্যে যারা হজ্জ্ব ওমরাহ একত্রে একই সাথে পালন করতে চাও, তবে যাকিছু সহজলভ্য, তা দিয়ে কুরবানী করাই তার উপর কর্তব্য। বস্তুতঃ যারা কোরবানীর পশু পাবে না, তারা হজ্জ্বের দিনগুলোর মধ্যে রোজা রাখবে তিনটি আর সাতটি রোযা রাখবে ফিরে যাবার পর। এভাবে দশটি রোযা পূর্ণ হয়ে যাবে। এ নির্দেশটি তাদের জন্য, যাদের পরিবার পরিজন মসজিদুল হারামের আশে-পাশে বসবাস করে না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক। সন্দেহাতীতভাবে জেনো যে, আল্লাহর আযাব বড়ই কঠিন। (সূরা বাকারা-১৯৬)
উক্ত আয়াতে বলা হয়েছে যে, যদি হজ্বের ইহরাম বাধার পর কেউ হজ্বে যেতে না পারে, তাহলে সে হাদিকে তথা একটি কুরবানির জন্তুকে (কাফফারা স্বরুপও বলা যায়) মক্কায় পাঠিয়ে দেবে, তারপর উক্ত হাদি মক্কায় পৌছার পর সে মাথাকে মুন্ড করবে। এবং আগামি বৎসর হজ্বে যাবে। অথবা বলা হচ্ছে, যারা হজ্বে তামাত্ত করবে, তারা যেন আল্লাহর শুকরিয়া আদায় স্বরূপ কুরবানির করে।
(খ)জ্বী, কুরবানি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ব্যতীত অন্য কোনো নিয়ত করা যাবে না। আপনি কি নিয়ত করতে চান সেটা বলেননি?
(গ) কুরআনের বিয়ের কথা এসেছে, বিয়ের পূর্বে কোনো নারীকে নিয়ে ভাবা যাবে না। কল্পনা করা যাবে না। কুরআনে হুরের সমষ্টিগত সে সব বর্ণনা এসেছে, এগুলো নিয়ে ভাবা যাবে। তবে তাদের বিশেষ কোনো অঙ্গ প্রত্যঙ্গ নিয়ে কল্পনা করা ও উপভোগ করা যাবে না।
(ঘ) কুরআন হাদীসে যে সব সমষ্টিগত যৎসামান্য বর্ণনা এসেছে, যেমন বড় বড় চক্ষু বিশিষ্ট হুর। এসব নিয়ে ভাবা যাবে।
(ঙ) উনি কোন যুক্তিতে বললেন, তা আমাদের জানা নেই।
(চ) বাকী ৫০,০০০ হাজার ফিরিয়ে নিলেই হবে।