আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
317 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
closed by
ক} মুসা আঃ কতবার তুর পাহাড়ে যেয়ে আল্লাহর নুরের তাজাল্লি দেখেছেন? একবার বনি ইসরাইল এর নেতাদের সহ আরেকবার একা একা? দুইভাবেই কুরআনে পেলাম। আরও কি আছে ঘটনা?
খ) জামাতে নামায ধরার জন্য তাড়াতাড়ি হাঁটাও কি যাবেনা? নাকি শুধু দৌড়ে যাওয়া নিষেধ?
গ) হুরদের নিয়ে চিন্তা ভাবনা কতটুকু পর্যন্ত জায়েয? মানে বউ নিয়ে যা ভাবা যায় তাও কি ভাবা যাবে? এই যুগে হুরদের নিয়ে ভাবলে বেগানা নারীদের চিন্তা মাথায় কম আসছে।

ঘ) কি করনীয় এই বেগানা নারীদের চিন্তা কম আনার জন্য?
উল্লেখ্য আমি অবিবাহিত সেভাবেই উপরের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিবেন

ঙ) সালাফিরা কি আশআরি মাতুরিদি এদেরকে ভ্রান্ত বলে?

চ) কাউকে কিছু টাকা দিলাম ব্যবসার জন্য। সে আমাকে প্রতি মাসে ৮০০০টাকা করে লাভ দিলো। আর বলে দিলাম এর বেশি লাভ সে ভোগ করতে পারবে। এইটা কি সুদ?
ছ) ক)আমি একজনকে ব্যবসার জন্য ৩.৫ হাজার টাকা দিয়ে ৪০০০ টাকা নিলাম। কিন্তু পরে জানলাম তার ব্যবসায় লোকসান হয়েছিল। আমি তাকে ৫০০ টাকা ফেরত দেওয়া জরুরী?

 খ) আর সে যদি মাফ করে দেয় যে ৫০০ টাকা দেওয়া লাগবে না। তাও কি আমি গুনাহগার হবো?

জ) কুরবানীতে আল্লাহর উদ্দেশ্যে কুরবানী করা ছাড়া অন্য কোন নিয়ত যেমনঃ মেয়ের বিয়ের এই মাংস কাজে লাগাবো বা অন্য কোন হক নিয়ত করা যাবে?
closed

1 Answer

+1 vote
by (589,140 points)
selected by
 
Best answer
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(ক) জ্বী, আমরাও এই দুই বার সম্পর্কে জানি। 
(খ) তারাতাড়ি হাটা যাবে। তবে দৌড়া যাবে না। 
(গ) হুর এখনো আপনার জন্য বেগানা। তাই হুর আজনবী মহিলার মতই । একজন আজনবী মহিলাকে নিয়ে যেভাবে ভাবা যায় না, সেভাবে একজন হুরকে নিয়েও ভাবা যাবে না। 
(ঘ) বিয়ে করে নিন। অথবা রোযা রাখুন। 
হাদীসে এসেছে,
عن علقمة، قال: كنت مع عبد الله، فلقيه عثمان بمنى، فقال: يا أبا عبد الرحمن إن لي إليك حاجة فخلوا، فقال عثمان: هل لك يا أبا عبد الرحمن في أن نزوجك بكرا، تذكرك ما كنت تعهد؟ فلما رأى عبد الله أن ليس له حاجة إلى هذا أشار إلي، فقال: يا علقمة، فانتهيت إليه وهو يقول: أما لئن قلت ذلك، لقد قال لنا النبي صلى الله عليه وسلم: «يا معشر الشبابمن استطاع منكم الباءة فليتزوج، ومن لم يستطع فعليه بالصوم فإنه له وجاء»
‘আলক্বামাহ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন আমি ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম, ‘উসমান (রাঃ) তাঁর সঙ্গে মিনাতে দেখা করে বলেন, হে আবূ ‘আবদুর রহমান! আপনার সাথে আমার কিছু দরকার আছে। অতঃপর তারা দু’জনে এক পাশে গেলেন। তারপর ‘উসমান (রাঃ) বললেন, হে আবূ ‘আবদুর রহমান! আমি কি আপনার সঙ্গে এমন একটি কুমারী মেয়ের বিয়ে দিব, যে আপনাকে আপনার অতীত কালকে স্মরণ করিয়ে দিবে? ‘আবদুল্লাহ্ যখন দেখলেন, তার এ বিয়ের দরকার নেই তখন তিনি আমাকে ‘হে ‘আলক্বামাহ’ বলে ইঙ্গিত করলেন। আমি তাঁর কাছে গিয়ে বলতে শুনলাম, আপনি আমাকে এ কথা বলছেন (এ ব্যাপারে) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বলেছেন, হে যুবকের দল! তোমাদের মধ্যে যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে, সে যেন বিয়ে করে এবং যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে না, সে যেন ‘সওম’ পালন করে। কেননা, সওম যৌন ক্ষমতাকে দমন করে।(সহীহ বোখারী-৫০৬৫)

(ঙ) জ্বী,সালাফিরা কি আশআরি মাতুরিদি এদেরকে ভ্রান্ত বলে, এমনটাই আমরা শুনেছি । বাকী আল্লাহই ভালো জানেন। 

(চ)
একজনের টাকা এবং অপরজনের শ্রম, এরকম ব্যবসাকে শরীয়তে মুদারাবাহ ব্যবসা বলা হয়। মুদারবাহ ব্যবসা বৈধ। তবে শর্ত হল, পার্সেন্টিস হিসেবে চুক্তি হতে হবে। 

পার্সেন্টিছ হিসেবে উভয় চুক্তিকারী নিজ নিজ হিসসায় যতটুকুর জন্য সম্মত হবে, তারা ততটুকুই মুনাফা পাবে। নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বা বস্তুকে নির্দিষ্ট  করা জায়েয হবে না। 
قال صاحب الهداية: (وَمِنْ شَرْطِهَا أَنْ يَكُونَ الرِّبْحُ بَيْنَهُمَا مُشَاعًا لَا يَسْتَحِقُّ أَحَدُهُمَا دَرَاهِمَ مُسَمَّاةً) مِنْ الرِّبْحِ لِأَنَّ شَرْطَ ذَلِكَ يَقْطَعُ الشَّرِكَةَ بَيْنَهُمَا وَلَا بُدَّ مِنْهَا كَمَا فِي عَقْدِ الشَّرِكَةِ.(الهداية-3/226)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি মুদারাবার শর্ত মতে সে আপনাকে মুনাফা দেয়, তথা আপনার কাছ থেকে টাকা নেয়ার সময় যদি শরীয়তের বিধান মত চুক্তি হয়ে থাকে, তাহলে আপনাকে সে যে মুনাফা দেবে, সেই মুনাফা আপনার জন্য জায়েয হবে। কিন্তু যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণ কোনো অর্থ বা বস্তুর চুক্তি করে থাকেন, তাহলে আপনার জন্য এ মুনাফা জয়েয হবে না। 

(ছ) 
৩,৫০০ টাকা দিয়ে ৪০০০ টাকা গ্রহণ করা স্পষ্টত সুদ। 

(জ) ৫০০ টাকা সুদ , তাই ৫০০ টাকা তাকে ফিরিয়ে দিবেন। 

(ঞ) 
وإن كان كل واحد منهم صبيا أو كان شريك السبع من يريد اللحم أو كان نصرانيا ونحو ذلك لا يجوز للآخرين أيضا كذا في السراجية.
তরজমাঃযদি সাত শরীকের সাতজনই শিশু হয়,বা একজন গোস্তের নিয়তে শরীক হয় বা একজন খৃষ্টান হয়, তাহলে অন্যান্য শরীক(যাদের নিয়্যাত কুরবানি করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন )তাদের কারো কুরবানি সহীহ হবে না, বরং সবার কুরবানি নষ্ট হয়ে যাবে। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া;৫/৩০৪)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কুরবানীতে আল্লাহর উদ্দেশ্যে কুরবানী করা ছাড়া অন্য কোন নিয়ত যেমনঃ মেয়ের বিয়ের এই মাংস কাজে লাগাবো বা অন্য কোন হকের নিয়তে শরীক হওয়া যাবে না। হলে বাদবাকী শরীকদের কুরবানি হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন সংশোধন করা হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...