আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
311 views
in সালাত(Prayer) by (18 points)
reopened by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।

১. ছোটবেলায় পড়েছিলাম কুরআনে মোট ২৫ জন নবী-রাসুলের কথা উল্লেখ আছে। এরপর বিভিন্ন ইসলামিক অনুষ্ঠান কিংবা লেকচারে আরো কিছু নবী রাসূলগনের নাম শুনতে পাই। কিন্তু তাঁদের অনেকের সম্পর্কে একেবারেই অজ্ঞ। যেমন নবী ইউশা ইবনে নুন এর কথা আগে কখনো শুনি নি। বইয়েও ছিল না কিছু।   
★কুরআন ও হাদিস থেকে আমরা মোট কয়জন নবী-রাসুলের কথা জানতে পারি? দয়া করে তাঁদের নামগুলো উল্লেখ করে দিলে উপকৃত হবো।

২. সকল নবী রাসূলগনের জীবনী একসাথে পাওয়া যাবে এমন কোনো বই সাজেস্ট করুন শায়েখ।

৩. মেয়েরা তাহিয়্যাতুল ওযুর নামাজ কখন এবং কিভাবে পড়বে নিয়মটা জানতে চাই শায়েখ।

৪. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর পাঠ করার জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ দরুদ শরীফ কোনটি?

৫. ইংরেজিতে বিভিন্ন কুরআনের আয়াতের অনুবাদ এবং বিভিন্ন লেখালেখির সময় আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লাকে "HE" দিয়ে সম্বোধন করা হয়। He যেহেতু পুরুষদের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, তাই  আল্লাহর ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা জায়েজ কি?

জাযাকাল্লাহু খইর।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)কুরআনে মোট ২৫ জন নবী-রাসূলের কথা উল্লেখ রয়েছে। তবে হাদীসে বর্ণিত রয়েছে,
আবু যর গেফারী (রাঃ) বর্ণিত হাদীছ থেকে দলীল নিয়েছেন যে, ১ লাখ ২৪ হাযার পয়গাম্বরের মধ্যে ৩১৫ জনের বিরাট সংখ্যা ছিলেন ‘রাসূল’ (তাফসীর কুরতুবী; আহমাদ হা/২২৩৪২; মিশকাত হা/৫৭৩৮; ছহীহাহ হা/২৬৬৮) । 

(২) কাসাসুল আম্বিয়া (লিখক, মাওলানা হিফজুর রহমান) কিতাব খানা পড়তে পারেন। 
 
(৩)https://www.ifatwa.info/1330 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
তাহিয়্যাতুল ওজুঃ-
আদ্দুর্রুল মুখতার(২/২২) গ্রন্থে বর্ণিত রয়েছে,
في الدرالمختار ،ج:٢ ص:٢٢
(وَنُدِبَ رَكْعَتَانِ بَعْدَ الْوُضُوءِ) يَعْنِي قَبْلَ الْجَفَافِ كَمَا فِي الشُّرُنْبُلَالِيَّة عَنْ الْمَوَاهِبِ
ওজুর পর ওজুর পনি শুকানোর পূর্বে দুই রা'কাত নামায পড়া মুস্তাহাব।

সুবহে সাদিকের পর তাহিয়্যাতুল মসজিদ বা তাহিয়্যাতুল ওজুর নামায পড়া জায়েয নয়।সুবহে সাদিকের পর দুই রাকাত সুন্নাতে মু'আক্বাদাহ নামায ব্যতীত অন্য যেকোনো নফল নামায পড়া মাকরুহ।তখন মসজিদে বসে যিকিরে মশগুল থাকলেই তাহিয়্যাতুল ওজু বা তাহিয়্যাতুল মসজিদ এর নামাযের সওয়াব পাওয়া যাবে।
মসজিদের প্রবেশ করার পর ওজুর পানি শুকিয়ে যাওয়ার পূর্বে দু'রাকাত নামায পড়ে নিলে, সে দু রা'কাত নামায তাহিয়্যাতুল ওজু এবং তাহিয়্যাতুল মসজিদ উভয় হিসেবে আদায় হয়ে যাবে।
এমন কি মসজিদে প্রবেশ করার পর যেকোনো নামায পড়ে নিলেই তা তাহিয়্যাতুল মসজিদ হিসেবে আদায় হয়ে যাবে।আর সে নামায যদি ওজুর পানি শুকানোর পূর্বে হয়,তাহলে তাহিয়্যাতুল ওজু হিসেবেও আদায় হবে।(আহসানুল-ফাতাওয়া-৩/৪৮১)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তাহিয়্যাতুল ওজু এবং তাহিয়্যাতুল মসজিদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নামায।এই নামাযদ্বয়কে পড়া আমাদের সবারই দায়িত্ব এবং কর্তব্য। 
ওজু করার পর ওজুর পানি শুকানোর পূর্বেই তাহিয়্যাতুল ওজুকে পড়তে হবে। (আহসানুল ফাতাওয়া-৩/৪৮৩)

(৪) দুরুদে ইবরাহিম। 
(৫) জ্বী, জায়েয। আল্লাহ শব্দও পুঃলিঙ্গ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...