ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)কুরআনে মোট ২৫ জন নবী-রাসূলের কথা উল্লেখ রয়েছে। তবে হাদীসে বর্ণিত রয়েছে,
আবু যর গেফারী (রাঃ) বর্ণিত হাদীছ থেকে দলীল নিয়েছেন যে, ১ লাখ ২৪ হাযার পয়গাম্বরের মধ্যে ৩১৫ জনের বিরাট সংখ্যা ছিলেন ‘রাসূল’ (তাফসীর কুরতুবী; আহমাদ হা/২২৩৪২; মিশকাত হা/৫৭৩৮; ছহীহাহ হা/২৬৬৮) ।
(২) কাসাসুল আম্বিয়া (লিখক, মাওলানা হিফজুর রহমান) কিতাব খানা পড়তে পারেন।
তাহিয়্যাতুল ওজুঃ-
আদ্দুর্রুল মুখতার(২/২২) গ্রন্থে বর্ণিত রয়েছে,
في الدرالمختار ،ج:٢ ص:٢٢
(وَنُدِبَ رَكْعَتَانِ بَعْدَ الْوُضُوءِ) يَعْنِي قَبْلَ الْجَفَافِ كَمَا فِي الشُّرُنْبُلَالِيَّة عَنْ الْمَوَاهِبِ
ওজুর পর ওজুর পনি শুকানোর পূর্বে দুই রা'কাত নামায পড়া মুস্তাহাব।
সুবহে সাদিকের পর তাহিয়্যাতুল মসজিদ বা তাহিয়্যাতুল ওজুর নামায পড়া জায়েয নয়।সুবহে সাদিকের পর দুই রাকাত সুন্নাতে মু'আক্বাদাহ নামায ব্যতীত অন্য যেকোনো নফল নামায পড়া মাকরুহ।তখন মসজিদে বসে যিকিরে মশগুল থাকলেই তাহিয়্যাতুল ওজু বা তাহিয়্যাতুল মসজিদ এর নামাযের সওয়াব পাওয়া যাবে।
মসজিদের প্রবেশ করার পর ওজুর পানি শুকিয়ে যাওয়ার পূর্বে দু'রাকাত নামায পড়ে নিলে, সে দু রা'কাত নামায তাহিয়্যাতুল ওজু এবং তাহিয়্যাতুল মসজিদ উভয় হিসেবে আদায় হয়ে যাবে।
এমন কি মসজিদে প্রবেশ করার পর যেকোনো নামায পড়ে নিলেই তা তাহিয়্যাতুল মসজিদ হিসেবে আদায় হয়ে যাবে।আর সে নামায যদি ওজুর পানি শুকানোর পূর্বে হয়,তাহলে তাহিয়্যাতুল ওজু হিসেবেও আদায় হবে।(আহসানুল-ফাতাওয়া-৩/৪৮১)
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তাহিয়্যাতুল ওজু এবং তাহিয়্যাতুল মসজিদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নামায।এই নামাযদ্বয়কে পড়া আমাদের সবারই দায়িত্ব এবং কর্তব্য।
ওজু করার পর ওজুর পানি শুকানোর পূর্বেই তাহিয়্যাতুল ওজুকে পড়তে হবে। (আহসানুল ফাতাওয়া-৩/৪৮৩)
(৪) দুরুদে ইবরাহিম।
(৫) জ্বী, জায়েয। আল্লাহ শব্দও পুঃলিঙ্গ।