ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
মাজমা'উল আনহুর(২/১০৩) কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
(وَلَا) يَجُوزُ لِرَبِّ السَّلَمِ (شِرَاءُ شَيْءٍ مِنْ الْمُسْلَمِ إلَيْهِ بِرَأْسِ الْمَالِ بَعْدَ التَّقَابُلِ) فِي عَقْدِ السَّلَمِ الصَّحِيحِ بَعْدَ وُقُوعِهِ (قَبْلَ قَبْضِهِ) بِحُكْمِ الْإِقَالَةِ اسْتِحْسَانًا لِقَوْلِهِ - عَلَيْهِ السَّلَامُ - «لَا تَأْخُذْ إلَّا سَلَمَك أَوْ رَأْسَ مَالِكِ» أَيْ لَا تَأْخُذْ إلَّا مَا أَسْلَمْتَ فِيهِ حَالَ قِيَامِ الْعَقْدِ أَوْ رَأْسَ مَالِكِ بَعْدَ الِانْفِسَاخِ فَتَرَكْنَا الْقِيَاسَ عَمَلًا بِهِ لِأَنَّ النَّبِيَّ - عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ - جَعَلَ حَقَّ رَبِّ السَّلَمِ أَخْذَ الْمُسْلَمِ فِيهِ قَبْلَ الْإِقَالَةِ، وَأَخْذَ رَأْسِ الْمَالِ بَعْدَهَا، ثُمَّ لَا يَجُوزُ الِاسْتِبْدَالُ قَبْلَ الْإِقَالَةِ بِالْمُسْلَمِ فِيهِ لِئَلَّا يَصِيرَ قَابِضًا حَقَّ غَيْرِهِ فَكَذَا بَعْدَهَا بِرَأْسِ الْمَالِ.
সালাম আকদ অনুষ্টিত হওয়ার পর উক্ত সালামের হস্তান্তরিত মূল্য দ্বারা রাব্বুল মাল ভিন্ন কিছূ সেই ব্যক্তি থেকেও ক্রয় করতে পারবে না, যার সাথে সালাম অনুষ্টিত হয়েছে। কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, হয়তো তুমি তোমার সালাম আকদের মালকে ক্রয় করো অথবা মূল্যকে গ্রহণ করো। অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ সাঃ এর কথার অর্থ হল, সালাম আকদ বাকী থাকাবস্থায় তুমি ঐ পণ্য ব্যতিত অন্য কিছু গ্রহণ করতে পারবেনা। আর সালাম আকদকে বাতিল করা অবস্থায় তুমি মূল্যকে গ্রহণ করতে পারবে। সালাম আকদে উল্লেখিত পণ্য মূল্যকে বদলানো যাবে না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ইভ্যালি থেকে একটি নির্দিষ্ট পণ্য ক্রয় করার পর যদি তারা পণ্য না দিয়ে রিফান্ড দিতে চায়, সেই রিফান্ডে আপনার দেয়া টাকা থেকে অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ করা জায়েয হবে না। আপনি এই অজুহাতেও নিতে পারবেন না, যে আপনি মার্কেট থেকে ঐ মডেলের একটি বাইক ক্রয় করে নিবেন। বরং আপনি হয়তো আপনার পরিশোধকৃত টাকা নিবেন নয়তো আপনি চুক্তিকৃত পণ্য গ্রহণ করবেন।
সুতরাং হয়তো আপনি তাদের নিকট থেকে উক্ত বাইক গ্রহণ করবেন, অথবা আপনি পরিশোধকৃত টাকা গ্রহণ করবেন।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)তাদেরকে টাকা দিলে যেহেতু তারা সেই টাকাকে আবার কোনো হারাম কাজে ব্যবহার করবে, তাই তাদের টাকাকে সদকাহ করে দেওয়াই উত্তম।
(২) গরীব মিসকিন এবং গরীব অসুস্থ ব্যক্তিকে আপনি ঐ টাকা দিতে পারবেন। মসজিদ নির্মাণ কাজে আপনি ঐ টাকাকে ব্যবহার করতে পারবেন না।
(৩) তাদেরকে জানিয়ে দান করার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।