আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
241 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (44 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।

১)একজন মেয়ে কি তার মাহরামের মাধ্যমে একজন ছেলেকে বিয়ের জন্য প্রস্তাব দিতে পারে?

২)সার্বিক দিক বিবেচনায় প্রাথমিকভাবে আমার একজন ছেলেকে বিয়ের জন্য পছন্দ।যদি বাবাকে ওই ছেলের ব্যাপারে কথা আগানোর জন্য বলার আগে আমি আমার নিজের ছোট (মাহরাম) ভাই এর মাধ্যমে ছেলেটির সম্মতি আছে কি না তা জেনে নেই।তা কি জায়েজ হবে?আমার ধারণা বাবার দ্বারা প্রস্তাব পাঠানোতে যদি সে না করে, এতে বাবা লজ্জিত হতে পারে (সাথে আমিও) কিংবা বাবা নিজে থেকে কথা নাও আগাতে পারে।

উল্লেখ্য আমার বয়স ২০+।আমার ভাই এর বয়স ১৮+।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) জ্বী, একজন মেয়ে বিয়ের জন্য তার মাহরামের মাধ্যমে একজন ছেলেকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে পারবে।
https://www.ifatwa.info/19956 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
বিয়ের প্রস্তাব নারী পুরুষ যে কেউ দিতে পারবে।পাত্র-পাত্রী তাদের যে কেউ বিয়ের প্রস্তাব দিতে পারবে।তারা অভিবাবকের মাধ্যমে বা সরাসরি একে অন্যকে বিয়ের প্র্রস্তাব দিতে পারবে।বিয়ের প্রস্তাব প্রদাণের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ নিয়ে কোনো ভেদাভেদ নাই। পাত্র পক্ষ বা পাত্রী পক্ষ যে কেউ বিয়ের প্রস্তাব দিতে পারবে।পুরুষ সে তার পছন্দ-অপছন্দকে প্রকাশ করতে পারে,ঠিকতেমনি নারীও তার পছন্দ-অপছন্দকে প্রকাশ করতে পারবে।এবং বিয়ের প্রস্তাবও দিতে পারবে।

নারী নিজের পছন্দ অপছন্দ কে সে প্রকাশ করতে পারবে।
হজরত মুসা আলাইহিস সালাম যখন মাদাইয়ানে গেলেন তখন দুই নারীর পশু জন্তুকে পানি খাইয়ে দিয়েছিলেন। পরহেজগার দুই মেয়ের একজন নিজ থেকেই পিতার কাছে হজরত মুসা আলাইহিস সালামকে বিয়ে করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। আল্লাহ তাআলা সুরা কাসাসে তা এভাবে তুলে ধরেছেন-

فَجَاءتْهُ إِحْدَاهُمَا تَمْشِي عَلَى اسْتِحْيَاء قَالَتْ إِنَّ أَبِي يَدْعُوكَ لِيَجْزِيَكَ أَجْرَ مَا سَقَيْتَ لَنَا فَلَمَّا جَاءهُ وَقَصَّ عَلَيْهِ الْقَصَصَ قَالَ لَا تَخَفْ نَجَوْتَ مِنَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
অতঃপর বালিকাদ্বয়ের একজন লজ্জাজড়িত পদক্ষেপে তাঁর কাছে আগমন করল। বলল, আমার পিতা আপনাকে ডাকছেন, যাতে আপনি যে আমাদেরকে পানি পান করিয়েছেন, তার বিনিময়ে পুরস্কার প্রদান করেন। অতঃপর মূসা যখন তাঁর কাছে গেলেন এবং সমস্ত বৃত্তান্ত বর্ণনা করলেন, তখন তিনি বললেন, ভয় করো না, তুমি জালেম সম্প্রদায়ের কবল থেকে রক্ষা পেয়েছ।(সুরা কাসাস : আয়াত ২৫)

(২) জ্বী, আপনি আপনার ছোট ভাইয়ের মাধ্যমে তার সম্মতি সম্পর্কে জানতে পারেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...