আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
459 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
edited by

ফজরের নামাজের সময় উঠার জন্য এলাম দেওয়াফজরের নামাজের সময় উঠার জন্য এলাম দেওয়া যাবে কি?নাকি আল্লাহ উপর ভরসা করে শুয়ে পড়ব।যদি উঠতে না পাড়ি, তাহলে কি গুনা হবে? যাবে কি?নাকি আল্লাহ উপর ভরসা করে শুয়ে পড়ব।যদি উঠতে না পাড়ি, তাহলে কি গুনা হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,470 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


তাওয়াক্কুল হল, মানুষ কল্যাণকর বিষয় অর্জনের জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করবে আর ফলাফলের জন্য আল্লাহর উপর ভরসা করবে এবং তাকদিরের উপর বিশ্বাস রাখবে।

তাওয়াক্কুল অর্থ হল,আল্লাহর উপর ভরসা করা।তাওয়াক্কুলের পদ্ধতি হল,

কাজে নেমে আল্লাহর উপর ভরসা করা যে,আল্লাহ আমাকে এ কাজের মাধ্যমে খাওয়াবেন।

যেমন নদীতে বড়শি ফেলে দিয়ে আল্লাহর উপর ভরসা করা যে,আল্লাহ চাহে তো মাছ ধরবে।

আরো জানুনঃ 

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
    
وَتَوَكَّلْ عَلَى الْعَزِيزِ الرَّحِيمِ
 ‘ভরসা কর পরাক্রমশালী করুণাময়ের উপর।’ (সূরা শুআরা : ২১৭)

وَتَوَكَّلْ عَلَى الْحَيِّ الَّذِي لَا يَمُوتُ

ভরসা কর চিরঞ্জীবের উপর, যার মৃত্যু নেই। (সূরা ফুরকান : ৫৮)

★কোনো উপায় অবলম্বন না করে হাত গুটিয়ে বসে থেকে আল্লাহর উপর ভরসা করা তাওয়াক্কুলের পরিপন্থি, এটি তাওয়াক্কুল নয়।

হযরত ইয়াকুব আ.-এর একটি ঘটনা সূরা ইউসুফে বর্ণিত হয়েছে। চারদিকে দুর্ভিক্ষ। ইয়াকুব আ.-এর সন্তানেরা খাদ্য-শস্য সংগ্রহের জন্য মিসরে যাচ্ছেন। তারা ছিলেন বারো ভাই। ইয়াকুব আ. বললেন, তোমরা যখন শহরে প্রবেশ করবে তো বারো ভাই এক দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে না। কারণ, সবাই তো ইউসুফ আ.-এর ভাই। রূপ-সৌন্দর্যে তাঁর মতো না হলেও কিছু মিল তো থাকবে। এ করকম বারোজন যুবক যদি একসাথে এক দরজা দিয়ে প্রবেশ করে তাহলে মানুষের বদনজর লেগে যেতে পারে। ইয়াকুব আ. বললেন, তোমরা এক দরজা দিয়ে প্রবেশ না করে বিভিন্ন দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে। এই কথাটা আল্লাহ তাআলা কুরআন মজীদে উল্লেখ করেছেন। এটা হচ্ছে সতর্কতা। এ উপায় বাতলে দেওয়ার পর ইয়াকুব আ. একথাও বললেন যে, ‘‘তবে এর দ্বারা আমি আল্লাহর ফয়সালাকে রদ করতে পারব না। আমি তো একটি উপায় নির্দেশ করলাম। কিন্তু আল্লাহ তাআলা যদি তোমাদের তাকদীরে কোনো ক্ষতি লিখে রাখেন তাহলে উপায় অবলম্বন করে সেই ক্ষতি থেকে তোমরা বাঁচতে পারবে না। ফয়সালা তো একমাত্র আল্লাহ তাআলারই। তিনি যার সম্পর্কে ইচ্ছা কল্যাণের ফায়সালা করেন, যার সম্পর্কে ইচ্ছা অকল্যাণের ফায়সালা করেন। তার ফায়সালাকে কেউ কোনোভাবেই রদ করতে পারবে না। এজন্য আমি তার উপরই ভরসা করছি এবং তাওয়াক্কুলকারীদের তার উপরই তাওয়াক্কুল করা উচিত।’’  তো আল্লাহর নবী আলাইহিস সালাম উপায় অবলম্বন করেছেন এবং আল্লাহর উপরে ভরসা করেছেন।

হাসান বসরী (রহ.) বলেন, ‘রিজিক অন্বেষণের ক্ষেত্রে কোনো উপায়-উপকরণ অবলম্বন করা তাওয়াক্কুল পরিপন্থী নয়। যেমন—কোনো যানবাহনে আরোহণ করেই গন্তব্যস্থলে কেউ নিরাপদে পৌঁছে যাবে, তার নিশ্চয়তা নেই; বরং নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছার জন্য আল্লাহর ওপর ভরসা করতে হবে।’

ইবনুল কায়্যিম (রহ.) বলেন, ‘তাওয়াক্কুল হলো ইমানের অর্ধেক। আর দ্বিতীয় অর্ধেক হলো, আল্লাহর দিকে মনোনিবেশ করা। কোনো কিছু পাওয়ার জন্য শরিয়ত সমর্থিত বৈধ উপায়-উপকরণ গ্রহণ করা তাওয়াক্কুল পরিপন্থী নয়।’ তাই জীবনে চলার পথে আমাদের যেমন বৈধ উপায়-উপকরণ অবলম্বন করতে হবে। তেমনি আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থাও রাখতে হবে। এই দুই জিনিসের সংমিশ্রণেই সফলতা অর্জন সম্ভব।
,
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ঘড়িতে/মোবাইলে এলার্ম দিতে হবে।
,
যদি আপনার ফজরের আগে ঘুম থেকে সাধারণত জাগ্রত হওয়ার অভ্যাস না থাকে,তাহলে ঘড়ি/মোবাইল থাকলে সেটিতে এলার্ম দেওয়া আপনার উপর আবশ্যক। 
নতুবা গুনাহ হবে।
এক্ষেত্রে এলার্ম না দিয়ে আল্লাহর উপর ভরসা করা তাওয়াক্কুলের পরিপন্থি, এটি তাওয়াক্কুল নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...