আসসালামু আলাইকুম।
শায়েখ, একটি বিজনেস পলিসির শরয়ী হুকুম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি।
পোল্ট্রি ফার্মিং করার জন্য একটি কোম্পানির সাথে নিম্নোক্ত পদ্ধতিতে চুক্তিবদ্ধ হতে হবে।
ওদের সাথে বিজনেস করার জন্য প্রথমে দশ হাজার টাকা জামানত দিতে হবে । ব্যবসার জন্য মুরগীর বাচ্চা এবং খাবার, কোম্পানি টি বাকিতে দিবে, অর্থাৎ টাকার হিসেব করবে একদম লাস্টে, যখন ওদের কাছে মুরগী সেল করা হবে ।
১। ওদের কাছ থেকে মুরগির বাচ্চা কিনতে হবে। অন্য কোনো জায়গা থেকে কিনলে সেই বাচ্চার দাম কম/অথবা ওদের কাছ থেকে নগদে কিনলে সেটার দাম কম, কিন্তু এই পলিসিতে মুরগির বাচ্চার দাম বেশি রাখবে ওরা। যেমন নগদে কিনলে ২৫ টাকা, বাকিতে কিনলে ৪৯ টাকা
২। মুরগির খাবারও ওদের কাছ থেকে কিনতে হবে, সেটার দামও মার্কেট থেকে বেশি রাখবে ওরা৷
৩। মুরগির ঔষধ চাইলে ওদের থেকে নেয়া যাবে অথবা বাহির থেকে।
এই মুরগি গুলো আবার ওদের কাছেই বিক্রি করতে হবে। বাজারে মুরগীর দাম যত কমই থাকুক না কেনো ওরা প্রতি কেজি ১১৫ টাকায় কিনবে।
বাজারে মুরগীর পাইকারি দাম ৯০ টাকা থাকলেও ওরা দিবে ১১৫ টাকা। যদি বাজারে মুরগীর পাইকারি দাম ১১৫ এর চেয়ে বেশি হয়, তাহলে যত টাকা বেশি হবে এর অর্ধেক পাবে কোম্পানি এবং অর্ধেক পাবে খামারী। যেমম পাইকারি দাম ১২৫ টাকা হলে, খামারী দাম পাবে (১১৫+৫)= ১২০ টাকা।
মুরগীর বাচ্চার এবং খাবারের দাম বেশি নিলেও যেহেতু কোম্পানি টি মুরগী কেনার সময় একটু বেশি দামে কিনে এবং সেটা ফিক্সড থাকে সেহেতু খামারীরা এতে আগ্রহী হয়।
আরো একটা বড় কারন হলো খামারীদের প্রতি চালানে কোনো ক্যাশ টাকা দিতে হয়না। মুরগী ডেলিভারি দেয়ার পর টাকার হিসাব হয় এবং লাভ হলে কোম্পানি খামারীকে টাকা দিয়ে দেয়।
মুরগী মারা যাবার কারনে অথবা ওজনে কম আসার কারনে যদি লস হয়, তাহলে কোম্পানি টি পরবর্তী চালান থেকে সেই লসের টাকা আস্তে আস্তে কেটে রাখবে