আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
292 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম।
শায়েখ, একটি বিজনেস পলিসির শরয়ী হুকুম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি।
পোল্ট্রি ফার্মিং করার জন্য একটি কোম্পানির সাথে নিম্নোক্ত পদ্ধতিতে  চুক্তিবদ্ধ হতে হবে।
ওদের সাথে বিজনেস করার জন্য প্রথমে দশ হাজার টাকা জামানত দিতে হবে । ব্যবসার জন্য মুরগীর বাচ্চা এবং খাবার, কোম্পানি টি বাকিতে দিবে, অর্থাৎ টাকার হিসেব করবে একদম লাস্টে, যখন ওদের কাছে মুরগী সেল করা হবে ।

১। ওদের কাছ থেকে মুরগির বাচ্চা কিনতে হবে। অন্য কোনো জায়গা থেকে কিনলে সেই বাচ্চার দাম কম/অথবা ওদের কাছ থেকে নগদে কিনলে সেটার দাম কম, কিন্তু  এই পলিসিতে  মুরগির বাচ্চার দাম বেশি রাখবে ওরা। যেমন  নগদে কিনলে ২৫ টাকা, বাকিতে কিনলে ৪৯ টাকা
২। মুরগির খাবারও ওদের কাছ থেকে কিনতে হবে, সেটার দামও মার্কেট থেকে বেশি রাখবে ওরা৷
৩। মুরগির ঔষধ চাইলে ওদের থেকে নেয়া যাবে অথবা বাহির থেকে।
এই মুরগি গুলো আবার ওদের কাছেই বিক্রি করতে হবে। বাজারে মুরগীর দাম যত কমই থাকুক না কেনো ওরা প্রতি কেজি ১১৫ টাকায় কিনবে।
বাজারে মুরগীর পাইকারি দাম ৯০ টাকা থাকলেও ওরা দিবে ১১৫ টাকা। যদি বাজারে মুরগীর পাইকারি দাম ১১৫ এর চেয়ে বেশি হয়, তাহলে যত টাকা বেশি হবে এর অর্ধেক পাবে কোম্পানি এবং অর্ধেক পাবে খামারী।  যেমম পাইকারি দাম ১২৫ টাকা হলে, খামারী দাম  পাবে (১১৫+৫)= ১২০ টাকা।
মুরগীর বাচ্চার  এবং খাবারের দাম বেশি নিলেও যেহেতু কোম্পানি টি মুরগী কেনার সময় একটু বেশি দামে কিনে এবং সেটা ফিক্সড থাকে সেহেতু খামারীরা এতে আগ্রহী হয়।
আরো একটা বড় কারন হলো খামারীদের প্রতি চালানে কোনো ক্যাশ টাকা দিতে হয়না। মুরগী ডেলিভারি দেয়ার পর টাকার হিসাব হয় এবং লাভ হলে কোম্পানি খামারীকে টাকা দিয়ে দেয়।
মুরগী মারা যাবার কারনে অথবা ওজনে কম আসার কারনে যদি লস হয়, তাহলে কোম্পানি টি পরবর্তী চালান থেকে সেই লসের টাকা আস্তে আস্তে কেটে রাখবে

1 Answer

0 votes
by (713,000 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/12438 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ব্যবসা বানিজ্য সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
( وَأَحَلَّ اللَّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبا )
আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করোছেন এবং সুদকে হারাম করেছেন।(সূরা বাকারা-২৭৫)
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ لاَ تَأْكُلُواْ أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ إِلاَّ أَن تَكُونَ تِجَارَةً عَن تَرَاضٍ مِّنكُمْ وَلاَ تَقْتُلُواْ أَنفُسَكُمْ إِنَّ اللّهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيمًا
হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয়, তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।(সূরা নিসা-২৯)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উক্ত ক্রয়-বিক্রয়ে শরয়ী বিক্রয়নীতির খেলাফ অনেক ধারা-উপধারা রয়েছে,তবে উমুমে বালওয়া তথা সমাজে ব্যাপক প্রচলনের দরুণ তাতে শীতিলতা চলে আসবে,বিধায় এছাড়া আর কোনো ব্যবস্থা না থাকলে উক্ত পদ্ধতিতে ক্রয়-বিক্রয় করা বা লোনদেন করা জায়েয হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (713,000 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...