আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
95 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (101 points)
আসসালামুআলাইকুম

আমি একজন ছাত্র।করোনা পরিস্থিতিতে প্রায় সব কোচিং ই আমাকে অনলাইনে করতে হয়।তো কয়েকমাস আগে আমি একটি কোচিং এ ভর্তি হই এবং ভর্তি হওয়ায় তারা আমারে তাদের ফেসবুক গ্রুপে যোগ করেন যেই গ্রুপে ক্লাসের পর  রেকর্ডিং দিয়ে দেন।এখন আমি ওই কোচিং টা ছেড়ে দিব ।আমি দুইমাস ওই কোচিংয়ের কোনো ক্লাস করিনি এবং রেকর্ডিং ও দেখিনি । কিন্তু ফেসবুক গ্রুপের সদস্য ছিলাম ।তাহলে গ্রুপের সদস্য হিসেবে থাকার কারণে আমাকে কি ওই দুই মাসের বেতন দিতে হবে? যদিও সেই দুইমাস আমি কোনো ক্লাস করিনি। জাযাকাল্লাহ।

1 Answer

+1 vote
by (671,200 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


ইসলাম মানুষকে যেসব উন্নত চরিত্রের শিক্ষা দেয়, তন্মধ্যে অন্যতম গুণ বা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে অঙ্গীকার, প্রতিশ্রুতি ও চুক্তির বাস্তবায়ন। যেকোনো ভালো কাজের অঙ্গীকার পূরণ করা ওয়াজিব।

 পবিত্র কোরআনে ওয়াদার প্রতি গুরুত্বারোপ করে ইরশাদ হয়েছে, 
يا ايها الذين امنوا اوفوا بالعقود
'হে ইমানদারগণ! তোমরা অঙ্গীকারগুলো পূর্ণ করবে।' (সুরা আল-মায়িদা, আয়াত : ১)
الا الذين عاهدتم من المشركين.....

তবে যেসব মুশরিকের সঙ্গে তোমরা চুক্তি করেছ, পরে তারা চুক্তি রক্ষার ব্যাপারে কোনো ত্রুটি করেনি, আর তারা তোমাদের বিরুদ্ধে কাউকে সাহায্যও করেনি, তাদের সেই চুক্তি তোমরা মেয়াদকাল শেষ হওয়া পর্যন্ত পূর্ণ করবে। অবশ্যই আল্লাহ দায়িত্বনিষ্ঠদের ভালোবাসেন। (সুরা তাওবা, আয়াত ৪)
,
ওয়াদা (চুক্তি) পালনকারীকে আল্লাহ তায়ালা ভালোবাসেন। যেমন তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি তার ওয়াদা পূর্ণ করে এবং তাকওয়া অবলম্বন করে তার জানা উচিত যে, আল্লাহ তায়ালা তাকওয়াবানদের ভালোবাসেন।’ (সূরা আলে ইমরান : ৭৬)। 
.
ইসলামে অমুসলিমদের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি লঙ্ঘন করা থেকেও নিষেধ করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, '(অমুহাজির মুসলমানরা) তোমাদের সাহায্য চাইলে তাদের সাহায্য করা তোমাদের অবশ্যকর্তব্য, তবে সে সাহায্য যদি এমন কোনো (অমুসলিম) সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে হয়, যাদের সঙ্গে তোমাদের কোনো চুক্তি আছে, তবে নয়।' (সুরা আনফাল, আয়াত : ৭২)
.
আরো জানুনঃ  
,
★সুতরাং আপনি যে কদিন/মাসের ক্লাশ করার জন্য তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন,সেটি পূরন করতে হবে।
হ্যাঁ যদি কর্তৃপক্ষের সাথে  আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করে নেন,যে আর আপনি ক্লাশ করবেননা,তাদের সাথে আলোচনা করে কোচিং পুরোপুরি ছেড়ে দেন,  সেক্ষেত্রে আর বেতন দিতে হবেনা।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু কর্তৃপক্ষের সাথে  আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করে নেননি,আপনি এখনো কোচিং ছেড়ে দেননি,তাই আপনাকে উক্ত কোচিং-এর নিয়ম এক্ষেত্রে বেতন চালিয়ে যাওয়া হলে বেতন দিতে হবে।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (101 points)
জাযাকাল্লাহ উত্তর দেয়ার জন্য।কিন্তু যেই দুইমাস ক্লাস করিনি ওই দুইমাস তারা আমাকে বেতন দেয়ার জন্য ফোন দেননি অথচ আগে ক্লাস করতাম যখন তখন মাস শেষ হলেই তারা ফোন দিতেন। তাহলে কি আমি ধরে নিব যে তারা সে বেতনের দাবি রাখেনি? উল্লেখ্য যে আমি কোনো নির্দিষ্ট মেয়াদের চুক্তি করিনি ।কেবল মাসিক পড়ার বিনিময়ে বেতন প্রদানের চুক্তি করেছিলাম। এক্ষেত্রে আমার করণীয় সম্পর্কে জানালে উপকৃত হতাম।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...