জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
এখানে জান্নাত উদ্দেশ্য।
,
(০২)
পূর্বের এক ফতোয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে এটি আদন শব্দ থেকে।
যেটি জান্নাতের এক নাম।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত উভয় অর্থ এখানে নেওয়া যাবে।
বিস্তারিত জানুনঃ
(০৩)
,
কাবার দিকে ইচ্ছাকৃতভাবে পা দেওয়া মাকরুহ।
অনিচ্ছায় হলে সমস্যা নেই।
কারণ, এতে করে কাবার অসম্মান করা হয়।
وَمَن يُعَظِّمْ شَعَائِرَ اللَّهِ فَإِنَّهَا مِن تَقْوَى الْقُلُوبِ [٢٢:٣٢
কেউ আল্লাহর নামযুক্ত বস্তুসমূহের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করলে তাতো তার হৃদয়ের আল্লাহভীতি প্রসূত। [সূরা হাজ্জ্ব-৩২]
باب كَرَاهِيَةِ اسْتِقْبَالِ الْقِبْلَةِ عِنْدَ قَضَاءِ الْحَاجَةِ
কিবলামুখী হয়ে পেশাব পায়খানা করা মাকরূহ।
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلَانَ، عَنِ الْقَعْقَاعِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّمَا أَنَا لَكُمْ بِمَنْزِلَةِ الْوَالِدِ أُعَلِّمُكُمْ، فَإِذَا أَتَى أَحَدُكُمُ الْغَائِطَ، فَلَا يَسْتَقْبِلِ الْقِبْلَةَ، وَلَا يَسْتَدْبِرْهَا، وَلَا يَسْتَطِبْ بِيَمِينِهِ " . وَكَانَ يَأْمُرُ بِثَلَاثَةِ أَحْجَارٍ، وَيَنْهَى عَنِ الرَّوْثِ وَالرِّمَّةِ . حسن
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি তোমাদের জন্য পিতৃতুল্য, তোমাদেরকে আমি দ্বীন শিক্ষা দিয়ে থাকি। তোমাদের কেউ পায়খানায় গেলে কিবলামুখী হয়ে বসবে না এবং কিবলার দিকে পিঠ দিয়েও বসবে না, আর ডান হাতে শৌচ করবে না। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তিনটি ঢিলা ব্যবহারের নির্দেশ দিতেন এবং গোবর ও হাড্ডি দ্বারা শৌচ করতে নিষেধ করতেন।
মুসলিম (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ পবিত্রতা অর্জন করা) সংক্ষেপে সুহাইল সনদে কা‘কা‘ থেকে। নাসায়ী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ গোবর দিয়ে পবিত্রতা অর্জন করা নিষেধ, হাঃ ৪০,আবু দাউদ ০৮)
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، وَالْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ، قِرَاءَةً عَلَيْهِ وَأَنَا أَسْمَعُ، وَاللَّفْظُ، لَهُ عَنِ ابْنِ الْقَاسِمِ، قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ رَافِعِ بْنِ إِسْحَاقَ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا أَيُّوبَ الأَنْصَارِيَّ، وَهُوَ بِمِصْرَ يَقُولُ وَاللَّهِ مَا أَدْرِي كَيْفَ أَصْنَعُ بِهَذِهِ الْكَرَايِيسِ وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا ذَهَبَ أَحَدُكُمْ إِلَى الْغَائِطِ أَوِ الْبَوْلِ فَلاَ يَسْتَقْبِلِ الْقِبْلَةَ وَلاَ يَسْتَدْبِرْهَا " .
মুহাম্মদ ইবনু সালামা ও হারিস ইবনু মিসকীন (রহঃ) ... রাফি ইবনু ইসহাক (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি আবূ আইয়্যূব আনসারী (রাঃ) এর মিসর অবস্থানকালে তাঁকে বলতে শুনেছেন- আল্লাহর শপথ! আমি জানি না কিভাবে (মিসরের) এই পায়খানা ব্যবহার করবো। অথচ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ যখন মল-মূত্র ত্যাগের উদ্দেশ্যে গমন করবে, তখন সে যেন কিবলামুখী হয়ে ও কিবলাকে পেছনে রেখে না বসে।
(সহীহ, ইবনু মাজাহ হাঃ ৩১৮,নাসায়ী ২০)
এই হাদিস গুলো থেকে বুঝা যায়, এমন কোনো কাজ করা যাবে না, যা কেবলার অসম্মান হয়। তাই কেবলার দিকে পা দিলেও যেহেতু তার অসম্মান বুঝায়, তাই কেবলা তথা পশ্চিম দিকে পা দিয়ে শোয়া মাকরূহ হবে। তবে যদি কোনো ওযর থাকে, তাহলে পা দেওয়ার অনুমতি রয়েছে।
وفى الفتاوى الهندية- ويكره مد الرجلين إلى الكعبة في النوم وغيره عمدا (الفتاوى الهندية، كتاب الكراهية، الباب الخامس في آداب المسجد والقبلة والمصحف-5/319
কাবার দিকে ইচ্ছেকৃত পা লম্বা করা মাকরূহ। ঘুমন্ত বা জাগ্রত অবস্থায়। {ফাতাওয়া হিন্দিয়া-৫/৩১৯, আল মুহিতুল বুরহানী-৮/১০, ফাতওয়ায়ে মাহমুদিয়া-২৯/১৭৪}
,
(০৪)
হ্যাঁ,গুনাহ হবে।
তিনি আপনার জন্য গায়রে মাহরাম মহিলা।
তাই তার সাথে স্পর্শ তো দূরের কথা বিনা প্রয়োজনে কথা বলাও জায়েজ নেই।
সম্পূর্ণ ভাবে পর্দা মেইনটেইন করে চলতে হবে।
,
(০৫)
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ
,
(০৬)
খুতবা শব্দটা আরবি (ﺨﻂﺑﻪ), যার অর্থ ' ভাষণ'।
خُطْبَة ج خُطَب
[খুত্বাহ] শব্দের অর্থঃ
খুতবা,বক্তৃতা,ভাষণ,ওয়াজ।
অর্থগত দিক দিয়ে খুতবা হলোঃ
জুম'আর নামাজের আগে,ঈদের নামাজের পরে মুসলিম দের উদ্দেশ্যে ইমামের দেওয়া বক্তব্য।
,
খুতবা হলো জুমার নামাজের আগে, উভয় ঈদের নামাজের পরে, হজে আরাফার দিনে মসজিদে নামিরাতে, বিয়ের অনুষ্ঠানে ও বিভিন্ন ইসলামি অনুষ্ঠানে খলিফার প্রতিনিধি, দায়িত্বশীল ব্যক্তি বা ইমাম ও খতিব কর্তৃক প্রদত্ত প্রাসঙ্গিক বক্তৃতা বা ভাষণ। যিনি খুতবা দেন তাঁকে ‘খতিব’ বলা হয়।
খুতবা কিছু বিষয় সম্বলিত হতে হবেঃ
সুন্নত হামদ (আল্লাহর প্রশংসা) দ্বারা শুরু করা, ছানাখানি (গুণগান) করা, শাহাদাতাঈন (তওহিদ ও রিসালাতের সাক্ষ্য) পাঠ করা, দরুদ শরিফ পড়া, কোরআনে করিমের প্রাসঙ্গিক আয়াত তিলাওয়াত করা, সংশ্লিষ্ট হাদিস পাঠ করা, প্রয়োজনীয় মাসআলা বর্ণনা করা, ওয়াজ-নসিহত বয়ান করা, উপদেশ দেওয়া, সৎকর্মে উদ্বুদ্ধকরণ ও মন্দ কাজ থেকে নিরুৎসাহিত করা, মুসলমানদের জন্য দোয়া করা।
★নির্ভরযোগ্য মতানুসারে আযানের পর যেই দুটি আরবী খুতবা দেওয়া হয়,সেই আরবী খুতবা শোনা এক্ষেত্রে উদ্দেশ্য।
এটি শ্রবন ওয়াজিব।
আরো জানুনঃ