আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
270 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (29 points)
edited by
১/আদনান নামের অর্থ হলো চিরস্হায়ী বাসস্হান,এবং মনোরম স্হান।

এখন চিরস্হায়ী বাসস্হান জাহান্নাম ও হতে পারে।

এখন এই আদনান নামটি আসলে কাকে স্পষ্টত ভাবে বুঝায়,জান্নাত নাকি জাহান্নাম?

২/আদনান নামের অর্থ কি মনোরম স্হান নাকি চিরস্হায়ী মনোরম স্হান?    কোনটি?

৩/কাবার দিকে পা দিয়ে শোয়া যানে কি?   এর কি কোন ফতোয়া আছে?কোন সহীহ দলিল আছে?

একটি ভিডিও তে দেখলাম,কাবার দিকে পা দেওয়ার বিষয়ে হাদীস পাওয়া না গেলে ও আদবের একটি কারণ আছে,তাই দেওয়া উচিত নয়।

এটা কি সত্য,এবং যুক্তিযুক্তক?

আমি বুঝলাম নাহ্,আদবের বেপার কেমনে আসে এখানে?এখানে কাবার দিকে পা দিলে কেমনে বিয়াদপি হয়?বলুন কিছু!

৪/আমরা পরিবার এক সাথে থাকি,এখন মামী ও থাকে।কোন কিছু আনা দেওয়ার সময় যদি মামীর সাথে হাত লেগে যায় সেটা কি গুণাহ্ হবে?

৫/দারুল ইসলাম কি?

এর তাৎপর্য কি?

৬/খুতবা কাকে বলে?জুমার দিন হুজুর আগে কয়েক মিনিট বাংলায় কিছু কথা বলেন,তার পর আযান দিয়ে আরবীতে কিছু বলেন এর পর একটি বিরতি দিয়ে আবার শুরু করেন আরবী বলা।

এখানে খুতবা কোনটা?কোনটা শুনা ফরজ?

আল্লাহ আপনার সৎ বাসনা কামনা করুক।আমীন।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
এখানে জান্নাত উদ্দেশ্য। 
,
(০২)
পূর্বের এক ফতোয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে এটি আদন শব্দ থেকে।
যেটি জান্নাতের এক নাম।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত উভয় অর্থ এখানে নেওয়া যাবে।      

বিস্তারিত জানুনঃ

(০৩)
,
কাবার দিকে ইচ্ছাকৃতভাবে  পা দেওয়া মাকরুহ।
অনিচ্ছায় হলে সমস্যা নেই।
কারণ, এতে করে কাবার অসম্মান করা হয়। 

 وَمَن يُعَظِّمْ شَعَائِرَ اللَّهِ فَإِنَّهَا مِن تَقْوَى الْقُلُوبِ [٢٢:٣٢
 কেউ আল্লাহর নামযুক্ত বস্তুসমূহের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করলে তাতো তার হৃদয়ের আল্লাহভীতি প্রসূত। [সূরা হাজ্জ্ব-৩২]

باب كَرَاهِيَةِ اسْتِقْبَالِ الْقِبْلَةِ عِنْدَ قَضَاءِ الْحَاجَةِ
কিবলামুখী হয়ে পেশাব পায়খানা করা মাকরূহ।

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلَانَ، عَنِ الْقَعْقَاعِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّمَا أَنَا لَكُمْ بِمَنْزِلَةِ الْوَالِدِ أُعَلِّمُكُمْ، فَإِذَا أَتَى أَحَدُكُمُ الْغَائِطَ، فَلَا يَسْتَقْبِلِ الْقِبْلَةَ، وَلَا يَسْتَدْبِرْهَا، وَلَا يَسْتَطِبْ بِيَمِينِهِ " . وَكَانَ يَأْمُرُ بِثَلَاثَةِ أَحْجَارٍ، وَيَنْهَى عَنِ الرَّوْثِ وَالرِّمَّةِ . حسن

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি তোমাদের জন্য পিতৃতুল্য, তোমাদেরকে আমি দ্বীন শিক্ষা দিয়ে থাকি। তোমাদের কেউ পায়খানায় গেলে কিবলামুখী হয়ে বসবে না এবং কিবলার দিকে পিঠ দিয়েও বসবে না, আর ডান হাতে শৌচ করবে না। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তিনটি ঢিলা ব্যবহারের নির্দেশ দিতেন এবং গোবর ও হাড্ডি দ্বারা শৌচ করতে নিষেধ করতেন।
মুসলিম (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ পবিত্রতা অর্জন করা) সংক্ষেপে সুহাইল সনদে কা‘কা‘ থেকে। নাসায়ী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ গোবর দিয়ে পবিত্রতা অর্জন করা নিষেধ, হাঃ ৪০,আবু দাউদ ০৮) 

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، وَالْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ، قِرَاءَةً عَلَيْهِ وَأَنَا أَسْمَعُ، وَاللَّفْظُ، لَهُ عَنِ ابْنِ الْقَاسِمِ، قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ رَافِعِ بْنِ إِسْحَاقَ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا أَيُّوبَ الأَنْصَارِيَّ، وَهُوَ بِمِصْرَ يَقُولُ وَاللَّهِ مَا أَدْرِي كَيْفَ أَصْنَعُ بِهَذِهِ الْكَرَايِيسِ وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا ذَهَبَ أَحَدُكُمْ إِلَى الْغَائِطِ أَوِ الْبَوْلِ فَلاَ يَسْتَقْبِلِ الْقِبْلَةَ وَلاَ يَسْتَدْبِرْهَا " .
মুহাম্মদ ইবনু সালামা ও হারিস ইবনু মিসকীন (রহঃ) ... রাফি ইবনু ইসহাক (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি আবূ আইয়্যূব আনসারী (রাঃ) এর মিসর অবস্থানকালে তাঁকে বলতে শুনেছেন- আল্লাহর শপথ! আমি জানি না কিভাবে (মিসরের) এই পায়খানা ব্যবহার করবো। অথচ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ যখন মল-মূত্র ত্যাগের উদ্দেশ্যে গমন করবে, তখন সে যেন কিবলামুখী হয়ে ও কিবলাকে পেছনে রেখে না বসে।
(সহীহ, ইবনু মাজাহ হাঃ ৩১৮,নাসায়ী ২০)

এই হাদিস গুলো থেকে বুঝা যায়, এমন কোনো কাজ করা যাবে না, যা কেবলার অসম্মান হয়। তাই কেবলার দিকে পা দিলেও যেহেতু তার অসম্মান বুঝায়, তাই কেবলা তথা পশ্চিম দিকে পা দিয়ে শোয়া মাকরূহ হবে। তবে যদি কোনো ওযর থাকে, তাহলে পা দেওয়ার অনুমতি রয়েছে।

وفى الفتاوى الهندية- ويكره مد الرجلين إلى الكعبة في النوم وغيره عمدا (الفتاوى الهندية، كتاب الكراهية، الباب الخامس في آداب المسجد والقبلة والمصحف-5/319
কাবার দিকে ইচ্ছেকৃত পা লম্বা করা মাকরূহ। ঘুমন্ত বা জাগ্রত অবস্থায়। {ফাতাওয়া হিন্দিয়া-৫/৩১৯, আল মুহিতুল বুরহানী-৮/১০, ফাতওয়ায়ে মাহমুদিয়া-২৯/১৭৪}
,
(০৪)
হ্যাঁ,গুনাহ হবে।
তিনি আপনার জন্য গায়রে মাহরাম মহিলা। 
তাই তার সাথে স্পর্শ তো দূরের কথা বিনা প্রয়োজনে কথা বলাও জায়েজ নেই।
সম্পূর্ণ ভাবে পর্দা মেইনটেইন করে চলতে হবে।
,
(০৫)
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ
,
(০৬)
খুতবা শব্দটা আরবি (ﺨﻂﺑﻪ), যার অর্থ ' ভাষণ'। 
خُطْبَة ج خُطَب
[খুত্বাহ] শব্দের অর্থঃ 
খুতবা,বক্তৃতা,ভাষণ,ওয়াজ।

অর্থগত দিক দিয়ে খুতবা হলোঃ
জুম'আর নামাজের আগে,ঈদের নামাজের পরে মুসলিম দের উদ্দেশ্যে ইমামের দেওয়া বক্তব্য।
,
খুতবা হলো জুমার নামাজের আগে, উভয় ঈদের নামাজের পরে, হজে আরাফার দিনে মসজিদে নামিরাতে, বিয়ের অনুষ্ঠানে ও বিভিন্ন ইসলামি অনুষ্ঠানে খলিফার প্রতিনিধি, দায়িত্বশীল ব্যক্তি বা ইমাম ও খতিব কর্তৃক প্রদত্ত প্রাসঙ্গিক বক্তৃতা বা ভাষণ। যিনি খুতবা দেন তাঁকে ‘খতিব’ বলা হয়।

খুতবা কিছু বিষয় সম্বলিত হতে হবেঃ
 সুন্নত হামদ (আল্লাহর প্রশংসা) দ্বারা শুরু করা, ছানাখানি (গুণগান) করা, শাহাদাতাঈন (তওহিদ ও রিসালাতের সাক্ষ্য) পাঠ করা, দরুদ শরিফ পড়া, কোরআনে করিমের প্রাসঙ্গিক আয়াত তিলাওয়াত করা, সংশ্লিষ্ট হাদিস পাঠ করা, প্রয়োজনীয় মাসআলা বর্ণনা করা, ওয়াজ-নসিহত বয়ান করা, উপদেশ দেওয়া, সৎকর্মে উদ্বুদ্ধকরণ ও মন্দ কাজ থেকে নিরুৎসাহিত করা, মুসলমানদের জন্য দোয়া করা।

★নির্ভরযোগ্য মতানুসারে আযানের পর যেই দুটি আরবী খুতবা দেওয়া হয়,সেই আরবী খুতবা শোনা এক্ষেত্রে উদ্দেশ্য। 
এটি শ্রবন ওয়াজিব।     

আরো জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...