ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
অবশ্য এককপরিবার ব্যবস্থা হলেও মাতা-পিতা ও মা'যুর ভাই বোনদের লালন-পালন ও বোনকে বিয়ে দেয়ার(বাবার অনুপস্থিতে) দায়িত্ব আপনার উপরই,এবং আপনি ধনী হলে আপনার ভাই-বোনদেরকে পর্যাপ্ত পরিমান সাহায্য-সহযোগিতা করা আপনার একান্ত কর্তব্যও দায়িত্ব।
আশরাফ আলী থানভী(র,) বলেন পুত্রবধুকে আলাদা করে দিন পারিবারিক অশান্তি অনেকটাই কমে যাবে।
(ইরশাদাতে হাকিমূল উম্মতঃ৪০৯)
এমনকি ওয়াজিব খোরপোশের অভিন্ন একটি অংশই হল স্ত্রীকে পৃথক বাসস্থান দেওয়া!তবে স্ত্রী স্বেচ্ছায় একত্রে থাকতে সম্মত হলে ভিন্ন কথা।
(ইসলাহে ইনকিলাবে উম্মতঃ২।১৮৭)
শশুর-শাশুড়ীর খেদমত করতে যে সব স্বামীরা স্ত্রীর উপর আমানবিক নির্যাতন করে,তাদের জেনে রাখা উচিত -একেতো তাদের খেদমত স্ত্রীর উপর ওয়াজিব নয়!দ্বিতীয়ত শশুরের খেদমতে ফিতনার আশংকা আছে! তাই স্বামী নিজে আপন মাতা-পিতার খেদমত করবে অথবা পারিশ্রমিক দিয়ে করাবে।
স্ব ইচ্ছায় শাশুড়ীর খেদমত করা বধুর নৈতিক দায়িত্ব ,কিন্তু এক্ষেত্রে বধুর উপর কোন রকম চাপ প্রয়োগ করা যাবেনা,এবং বধুর খেদমতকে অনুগ্রহ বিবেচনা করাও শ্বাশুড়ীর নৈতিক দায়িত্ব।
মোটকথাঃ-
এককপরিবার ব্যবস্থা ও যৌথপরিবার ব্যবস্থা উভয়ই বৈধ।
আমাদের দেশে যেহেতু পূর্ব থেকেই যৌথপরিবার ব্যবস্থা চলে আসছে, এবং এককপরিবার ব্যবস্থাকে মা-বাবা সহ অনেকেই মেনে নিতে পারেন না।এমনকি অনেকে এককপরিবার ব্যবস্থাকে কটাক্ষ করে ও নিন্দা মনে করে,তাই যৌথপরিবারই আমাদের জন্য আপাতদৃষ্টিতে মাননসই ও গ্রহণযোগ্য হবে,তবে যাতে শরীয়তের কোনো বিধি-বিধান লঙ্ঘন না হয় সেদিকে তীক্ষ্ণদৃষ্টি অত্যান্ত গুরুত্বতার সাথে রাখতে হবে, আল্লাহ না করুক যদি কোনো অঘটন ঘটে যায়,সেক্ষেত্রে সমস্ত দায়-দায়িত্ব কিন্তু আপনার-ই।
যখন আমাদের সমাজ এককপরিবার ব্যবস্থাকে মেনে নিবে তখন সেটাই সবার জন্য মঙ্গলজনক ও নিরাপদ হবে।(শেষ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি নিজে আপনার মায়ের খেদমতে সর্বদা উপস্থিত থেকে অথবা কাজের মানুষ রেখে মায়ের খেদমত করবেন।এবং আপনি আপনার স্ত্রীকে পৃথক করে দিবেন।দেখবেন অশান্তি অনেকটাই কমে যাবে।