আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
240 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (31 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১. নাবালেগ মুসলিমের গুনাহ কি লিখা হয়? নাবালেগ অবস্থায় মিথ্যা বলা, গীবত করা, অথবা যুলুম সদৃশ কোন আচরণ হয়ে গেলে তার জন্য কি গুনাহগার হয়ে থাকতে হয় কোন ব্যক্তিকে? বালেগ হবার পর সেসকল গুনাহের কাফফারা আদায় বাধ্যতামূলক?
২. সাধারণ ভাবে আমরা জানি, প্রতিটি কাজের পরিণতি নির্ভর করে কাজটির নিয়্যাতের উপর। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোন ভালো কাজ করলে সেটা ইবাদাত। কোন মুসলিম অপর মুসলিম ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে হাসলেও তা সাদাকা। প্রশ্ন হলো, যদি এইরূপ ভালো কাজগুলো করার সময় প্রতিবারই আলাদা করে কোন নিয়্যাত না করা হয়, অথবা আল্লাহ প্রতিদান দেবেন এমন ভাবনা আলাদা করে না ভেবেই কেউ ভালো মনে অন্যের উপকারে ভালো কাজ করে যেতে থাকে, তবে কি তার নিয়্যাতের অভাবে সাওয়াব লিখা হবে না? নিজের অজান্তেও আনমনে কোন কাজের দ্বারা কারো উপকার হয়ে গেলে তার প্রতিদানও কি পরকালে পাওয়া যাবে? যদিও সচেতনভাবে সাওয়াবের উদ্দেশ্যে তা করা হয়নি।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) আলী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। 
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ عَلِيٍّ عَلَيْهِ السَّلَام، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلَاثَةٍ: عَنِ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ، وَعَنِ الصَّبِيِّ حَتَّى يَحْتَلِمَ، وَعَنِ الْمَجْنُونِ حَتَّى يَعْقِلَ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: رَوَاهُ ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَادَ فِيهِ: وَالْخَرِفِ
  أخرجه الترمذي (1423)، والنسائي في ((السنن الكبرى)) (7346)، وأحمد (956) حسَّنه البخاري كما في ((العلل الكبير)) للترمذي (226)، وقال الترمذي: حسن غريب من هذا الوجه ولا نعرف للحسن سماعا عن علي، وصحح إسناده أحمد شاكر في تحقيق ((المسند)) (2/197)، وصححه الألباني في ((صحيح سنن الترمذي)) (1423) وأخرجه من طريق آخر أبو داود (4403)، والبيهقي (5292)، والخطيب في ((الكفاية)) (ص77) صححه الألباني في ((صحيح سنن أبي داود)) (4403)
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তিন ধরণের লোকের উপর থেকে কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছেঃ (১) ঘুমন্ত ব্যক্তি, যতক্ষণ না জাগ্রত হয়, (২) নাবালেগ, যতক্ষণ না সে বালেগ হয় এবং (৩) পাগল, যতক্ষণ না জ্ঞানসম্পন্ন হয়। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ইবনু জুরাইজ পর্যায়ক্রমে কাসমম ইবনু ইয়াযীদ থেকে আলী (রাঃ) থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সূত্রে এ হাদীস বর্ণনা করেন। তাতে 'বার্ধক্যজনিত কারণে নিস্তেজ বুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তি' কথাটুকু রয়েছে। (সুনানে আবি-দাউদ-৪৪০৩)

 আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। 
وعن عائشة رضي الله عنها عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قال: ((رفع القلم عن ثلاث: عن النائم حتى يستيقظ، وعن الصغير حتى يكبر، وعن المجنون حتى يعقل أو يفيق
أخرجه أبو داود (4398)، والنسائي (3432) واللفظ له، وابن ماجه (2041)، وأحمد (24738) قال البخاري كما في ((العلل الكبير)) للترمذي (225): أرجو أن يكون محفوظاً، وصححه ابن العربي في ((عارضة الأحوذي)) (3/392)، وقال ابن كثير في ((إرشاد الفقيه)) (1/89): إسناده على شرط مسلم، وصححه الألباني في ((صحيح سنن النسائي)) (3432).
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তিন ধরণের লোকের উপর থেকে কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছেঃ (১) নিদ্রিত ব্যক্তি, যতক্ষণ না জাগ্রত হয়, (২) অসুস্থ (পাগল) ব্যক্তি, যতক্ষণ না আরোগ্য লাভ করে এবং (৩) অপ্রাপ্ত বয়স্ক বালক, যতক্ষণ না বালেগ হয়। (সুনানে আবি-দাউদ-৪৩৯৮)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নাবালকের কোনো গোনাহ লিখা হয় না। সন্তান কখন বালেগ হবে? এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/13073

(২)আলক্বামাহ ইবনু ওয়াক্কাস আল-লায়সী (রহ.) হতে বর্ণিত।
قَالَ: أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيُّ، أَنَّهُ سَمِعَ عَلْقَمَةَ بْنَ وَقَّاصٍ اللَّيْثِيَّ، يَقُولُ: سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَلَى المِنْبَرِ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ، وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى، فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى دُنْيَا يُصِيبُهَا، أَوْ إِلَى امْرَأَةٍ يَنْكِحُهَا، فَهِجْرَتُهُ إِلَى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ»
আমি ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-কে মিম্বারের উপর দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছিঃ আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ কাজ (এর প্রাপ্য হবে) নিয়্যাত অনুযায়ী। আর মানুষ তার নিয়্যাত অনুযায়ী প্রতিফল পাবে। তাই যার হিজরাত হবে ইহকাল লাভের অথবা কোন মহিলাকে বিবাহ করার উদ্দেশে- তবে তার হিজরাত সে উদ্দেশেই হবে, যে জন্যে, সে হিজরাত করেছে।(সহীহ বোখারী-১)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ইবাদত একমাত্র আল্লাহর জন্যই হতে হবে।ভিন্ন উদ্দেশ্যে ইবাদত করলে সেই ইবাদতের সওয়াব পাওয়া যাবে না। কেননা প্রত্যেক আ'মলের সওয়াব তার নিয়তের উপর নির্ভরশীল। সুতরাং আপনি আল্লাহকে রাজি এবং খুশি করার জন্য ইবাদত করবেন। যদি কেউ কোনো ইবাদত করার সময় ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য যেমন লোক দেখানো,কিংবা দুনিয়াবী ফায়দা অর্জন তাহলে সে ঐ ইবাদতের পূর্ণ সওয়াব পাবে। যদি প্রতিবার ইবাদত ও ভালো কাজ করার মুহুর্তে আলাদা করে কোন নিয়্যাত করা না হয়, অথবা আল্লাহ প্রতিদান দেবেন এমন ভাবনাকে আলাদা করে না ভেবেই কেউ অন্যের উপকারে ভালো কাজ করে, কিংবা নিজের অজান্তে আনমনে কোন কাজের দ্বারা কারো উপকার হয়ে যায়, তাহলে তার প্রতিদানও পরকালে পাওয়া যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...