ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কসম সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণনা করা হয় যে,
(أَمَّا تَفْسِيرُهَا شَرْعًا) فَالْيَمِينُ فِي الشَّرِيعَةِ عِبَارَةٌ عَنْ عَقْدٍ قَوِيَ بِهِ عَزْمُ الْحَلِفِ عَلَى الْفِعْلِ أَوْ التَّرْكِ كَذَا فِي الْكِفَايَةِ.
ইয়ামিন বা কসম হল, যে ইবারত বা বাক্যমালার দ্বারা কসমকারী কোনো জিনিষ করা বা না করার শপথ করবে,
وَهِيَ نَوْعَانِ: يَمِينٌ بِاَللَّهِ تَعَالَى، أَوْ صِفَتِهِ، وَيَمِينٌ بِغَيْرِهِ، وَهِيَ تَعْلِيقُ الْجَزَاءِ بِالشَّرْطِ كَذَا فِي الْكَافِي.
(أَمَّا الْيَمِينُ بِغَيْرِ اللَّهِ فَنَوْعَانِ) : أَحَدُهُمَا الْيَمِينُ بِالْآبَاءِ، وَالْأَنْبِيَاءِ، وَالصَّوْمِ، وَالصَّلَاةِ، وَسَائِرِ الشَّرَائِعِ، وَالْكَعْبَةِ، وَالْحَرَمِ، وَزَمْزَمَ، وَنَحْوِ ذَلِكَ، وَلَا يَجُوزُ الْحَلِفُ بِشَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ.
، وَالثَّانِي الشَّرْطُ، وَالْجَزَاءُ، وَهَذَا النَّوْعُ يَنْقَسِمُ إلَى قِسْمَيْنِ: يَمِينٌ بِالْقُرَبِ، وَيَمِينٌ بِغَيْرِ الْقُرْبِ أَمَّا الْيَمِينُ بِالْقُرَبِ فَهُوَ أَنْ يَقُولَ: إنْ فَعَلْت كَذَا فَعَلَيَّ صَوْمٌ، أَوْ صَلَاةٌ، أَوْ حَجَّةٌ، أَوْ عُمْرَةٌ، أَوْ بَدَنَةٌ، أَوْ هَدْيٌ، أَوْ عِتْقُ رَقَبَةٍ، أَوْ صَدَقَةٌ، أَوْ نَحْوُ ذَلِكَ، وَأَمَّا الْيَمِينُ بِغَيْرِ الْقُرَبِ فَهِيَ الْحَلِفُ بِالطَّلَاقِ، وَالْعَتَاقِ هَكَذَا فِي الْبَدَائِعِ.
কসম দুই প্রকারঃ (১) আল্লাহ বা তার সিফাতের উল্লেখপূর্বক কসম করা (২) আল্লাহ ব্যতীত ভিন্ন কিছু দ্বারা কসম করা। আর তা হচ্ছে, শর্ত ও জাযা ।
আল্লাহ ব্যতীত ভিন্ন কিছু দ্বারা কসম করা আবার দুই প্রকার। যথাঃ (১) বাপ,দাদা ও নবী এবং নামায রোযা ইত্যাদির নাম উল্লেখপূর্বক কসম করা। এটা নাজায়েয। (২) শর্ত এবং জাযা উল্লেখপূর্বক কসম করা। তা আবার দুই প্রকার, যথা- (ক) যেখানে জাযা কোনো প্রকার ইবাদত থেকে হবে, যেমন যদি আমি ঐ কাজ করি, তাহলে আমার উপর রোযা ওয়াজিব। (খ) অথবা জাযা ইবাদতের মধ্য থেকে হবে না। যেমন, আমি যদি ঐ কাজ করি তাহলে আমার স্ত্রী তালাক বা আমার গোলাম আযাদ।
(وَأَمَّا رُكْنُ الْيَمِينِ بِاَللَّهِ) فَذِكْرُ اسْمِ اللَّهِ، أَوْ صِفَتِهِ، وَأَمَّا رُكْنُ الْيَمِينِ بِغَيْرِهِ فَذِكْرُ شَرْطٍ صَالِحٍ، وَجَزَاءٍ صَالِحٍ كَذَا فِي الْكَافِي
«الفتاوى الهندية» (2/ 51)
কসমের রুকুন হল, আল্লাহ শব্দ বা আল্লাহর কোনো সিফাত তাতে উল্লেখ থাকা। আর বিশুদ্ধ ও উপযোক্ত শর্ত এবং জাযা উপস্থিত থাকা। ( ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-২/৫১)
مُرَادِفَاتُ الْيَمِينِ:
10 - قَال الْكَمَال: أَسْمَاءُ هَذَا الْمَعْنَى التَّوْكِيدِيِّ سِتَّةٌ: الْحَلِفُ وَالْقَسَمُ وَالْعَهْدُ وَالْمِيثَاقُ وَالإِْيلَاءُ وَالْيَمِينُ (1) .
فَالْيَمِينُ مُرَادِفَةٌ لِلأَْلْفَاظِ الْخَمْسَةِ الَّتِي ذُكِرَتْ مَعَهَا.
وَهُنَاكَ أَلْفَاظٌ أُخْرَى، فَقَدْ أَفَادَ صَاحِبُ الْبَدَائِعِ أَنَّهُ لَوْ قَال إِنْسَانٌ: أَشْهَدُ أَوْ أَعْزِمُ أَوْ شَهِدْتُ أَوْ عَزَمْتُ بِاللَّهِ لأََفْعَلَنَّ كَذَا. كَانَ يَمِينًا؛ لأَِنَّ الْعَزْمَ
مَعْنَاهُ الإِْيجَابُ؛ وَلأَِنَّ الشَّهَادَةَ وَرَدَتْ فِي قَوْله تَعَالَى: {إِذَا جَاءَك الْمُنَافِقُونَ قَالُوا نَشْهَدُ إِنَّك لَرَسُول اللَّهِ وَاللَّهُ يَعْلَمُ إِنَّك لَرَسُولُهُ وَاللَّهُ يَشْهَدُ إِنَّ الْمُنَافِقِينَ لَكَاذِبُونَ اتَّخَذُوا أَيْمَانَهُمْ جُنَّةً فَصَدُّوا عَنْ سَبِيل اللَّهِ إِنَّهُمْ سَاءَ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ} (1) فَالآْيَةُ الثَّانِيَةُ أَفَادَتْ أَنَّ شَهَادَتَهُمْ يَمِينٌ.
وَيُؤْخَذُ مِنْ هَذَا أَنَّ الشَّهَادَةَ وَالْعَزْمَ مِنْ مُرَادِفَاتِ الْيَمِينِ عُرْفًا، وَأَفَادَ أَيْضًا أَنَّ الذِّمَّةَ كَالْعَهْدِ وَالْمِيثَاقِ، فَمَنْ قَال: عَلَيَّ ذِمَّةُ اللَّهِ لأََفْعَلَنَّ كَانَ يَمِينًا.
«الموسوعة الفقهية الكويتية» (7/ 248)
মর্মার্থ- কসমের সমার্থবোধক শব্দ সর্বমোট ছয়টি যথা(১) হালাফ (২) কাসাম (৩) আহদ (৪) মিছাক্ব (৫) ই’লা (৬) ইয়ামিন ( প্রত্যেকটির সুবিস্তারিত ব্যখ্যা ফিকহের কিতাবে বর্ণিত রয়েছে। আল্লাহ কা’সানি রাহ বলেন, যদি কেউ বলে, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি বা আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করতেছি অথবা আমি আল্লাহর নামে সাক্ষ্য দিচ্ছি বা প্রতিজ্ঞা করতেছি যে, ঐ কাজ করবো, তাহলে তা ইয়ামিন হিসেবে গণ্য হবে। ঠিক তেমনি যিম্মাহ মব্দ দ্বারাও কসম সংগঠিত হয়।
وَأَفَادَ ابْنُ عَابِدِينَ أَنَّهُ لَوْ نَذَرَ الإِْنْسَانُ صَوْمًا، كَأَنْ قَال: لِلَّهِ عَلَيَّ أَنْ أَصُومَ، فَإِنْ لَمْ يَنْوِ شَيْئًا، أَوْ نَوَى النَّذْرَ وَلَمْ يَخْطِرِ الْيَمِينُ بِبَالِهِ، أَوْ نَوَى النَّذْرَ وَنَفَى الْيَمِينَ كَانَ نَذْرًا فَقَطْ. وَإِنْ نَوَى الْيَمِينَ وَنَفَى النَّذْرَ كَانَ يَمِينًا فَقَطْ. وَعَلَيْهِ الْكَفَّارَةُ إِنْ أَفْطَرَ. وَإِنْ نَوَاهُمَا مَعًا، أَوْ نَوَى الْيَمِينَ وَلَمْ يَخْطِرْ بِبَالِهِ النَّذْرُ كَانَ نَذْرًا وَيَمِينًا، حَتَّى لَوْ أَفْطَرَ قَضَى وَكَفَّرَ عَنْ يَمِينِهِ.
وَيُؤْخَذُ مِنْ هَذَا أَنَّ صِيغَةَ النَّذْرِ تَكُونُ يَمِينًا بِالنِّيَّةِ عِنْدَ الْحَنَفِيَّةِ، فَتَكُونُ مِنْ قَبِيل الْكِنَايَةِ، بِخِلَافِ الأَْلْفَاظِ السَّابِقَةِ، فَظَاهِرُ كَلَامِهِمْ أَنَّهَا صَرِيحَةٌ عِنْدَهُمْ، وَإِنْ كَانَ بَعْضُهَا كِنَايَةً عِنْدَ غَيْرِهِمْ كَمَا سَيَأْتِي.
«الموسوعة الفقهية الكويتية» (7/ 248)
মর্মার্থ- নযর নিয়ত দ্বারা কসমে পরিণত হয়ে যায়। তবে উপরে বর্ণিত শব্দাবলিতে নিয়তের কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
"ও আল্লাহ, আমি তোমাকে প্রমিজ করছি যে আমি (এই গুনাহ এর কাজটি,,কাজের বর্ণনা করে) আর করব না"।
উক্ত বাক্য দ্বারা কসম হবে। সুতরাং ঐ কাজ করলে কাফফারা দিতে হবে।