জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো কাহারো নামাজের ভিতর অযু ভেঙ্গে গেলে সে তৎক্ষণাৎ অযুর জন্য বের হয়ে যাবে।
অযু করে এসে যেখানে নামাজ রেখে গিয়েছিলো সেখান থেকে আবার আদায় করবে।
আমর ইবনুল হারেস থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নামাজরত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত বের হলে কী করণীয় এ সম্পর্কে উমর ইবনুল খাত্তাব রাযি. বলেন, সে অযুর জন্য বের হয়ে যাবে এবং অযু করে আসবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৫৯৫০)
সালমান ফারসী রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমাদের মধ্যে কারো যদি নামাজে অযু ছুটে যায় তাহলে সে যেন বের হয়ে অযু করে আসে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৫৯৫৪)
,
তবে এক্ষেত্রে পথিমধ্যে বা অযু করা অবস্থায় কারো সাথে বা এমনিতেই কথা বলা যাবেনা।
যদি কথা বলে,তাহলে তাকে আবার পুনরায় নতুন করে নামাজ আদায় করতে হবে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا الْهَيْثَمُ بْنُ خَارِجَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَنْ أَصَابَهُ قَىْءٌ أَوْ رُعَافٌ أَوْ قَلَسٌ أَوْ مَذْىٌ فَلْيَنْصَرِفْ فَلْيَتَوَضَّأْ ثُمَّ لْيَبْنِ عَلَى صَلاَتِهِ وَهُوَ فِي ذَلِكَ لاَ يَتَكَلَّمُ "
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নামাজ রত অবস্থায় কারো বমি হলে, নাক দিয়ে রক্ত বের হলে, খাদ্য বা পানীয় পেট থেকে মুখে চলে এলে অথবা বীর্যরস নির্গত হলে, সে যেন বাইরে এসে অযু করে, অতঃপর পূর্বোক্ত সালাতের অবশিষ্টাংশ পূর্ণ করে, উক্ত অবস্থায় যদি সে কথা না বলে থাকে।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ১২২১.বুলুগুল মারাম ৭৫।)
عَنْ عَائِشَةَ ؛ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ : " إِذَا قَاءَ أَحَدُكُمْ فِي صَلَاتِهِ أَوْ قَلَسَ ، فَلْيَنْصَرِفْ فَلْيَتَوَضَّأْ ، ثُمَّ لْيَبْنِ عَلَى مَا مَضَى مِنْ صَلَاتِهِ ، مَا لَمْ يَتَكَلَّمْ " ، قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ : " فَإِنْ تَكَلَّمَ اسْتَأْنَفَ
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমাদের কেই নামাযরত অবস্থায় বমি করলে অথবা (পেট থেকে) খাদ্য বা পানীয় তার মুখে এসে গেলে সে যেন বের হয়ে গিয়ে উযু করে, তারপর অবশিষ্ট নামায পড়ে, যদি সে কথাবার্তা না বলে থাকে। ইবনে জুরাইজ (রহঃ) বলেন, সে যদি কথা বলে থাকে তাহলে পুনরায় নতুন করে নামায পড়বে।
(সুনানে দারা কুতনি ৫৪১।)
ফাতাওয়ায়ে তাতারখানীয়াতে আছেঃ
رجل دخل في الصلاۃ ثم أحدث حدثا من بول أو ریح لا یتعمد لہ فیتوضأ ویبني علی صلا تہ إن لم یتکلم جاز عندنا استحسانا، وفي القیاس یستقبل الصلاۃ۔ (الفتاوی التاتارخانیۃ ۲؍۳۵۸ رقم: ۲۶۵۸ زکریا)
যার সারমর্ম হলো যদি সে কথাবার্তা না বলে,তাহলে অযু করে এসে যেখানে নামাজ রেখে গিয়েছিলো সেখান থেকে আবার আদায় করবে।
.
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই ,
যদি নামাজে সুরা ফাতেহা/তাশাহুদ পড়ার মাঝে অযু ভেঙ্গে যায়,তাহলে অযু করে আসার পর সুরা ফাতেহা/ তাশাহুদ এর সেই স্থান মনে থাকে,তাহলে উক্ত স্থান থেকেই শুরু করবেন।
,
আর যদি মনে না থাকে,তাহলে সুরা ফাতেহা/তাশাহুদের শুরু থেকে শুরু করবেন।
,
স্বরন থাকা সত্ত্বেও সুরা ফাতেহা/তাশাহুদের শুরু থেকে শুরু করাও ছহীহ আছে।
,
★যদি নামাজে অন্য সুরা পড়ার মাঝে অযু ভেঙ্গে যায়,তাহলে যদি ছোট তিন আয়াত বা বড় এক আয়াত তিলাওয়াত করা হয়ে থাকে,তাহলে অযু করে আসার পর সরাসরি রুকুতে যেতে পারবে।
চাইলে সেই স্থানে রেখে গিয়েছিলেন, উক্ত স্থান থেকেও শুরু করতে পারবেন।
,
চাইলে অন্য সুরাও তিলাওয়াত করতে পারবেন।
সবেরই অনুমোদন রয়েছে।
,
যদি অযু ভেঙ্গে যাওয়ার আগে ছোট তিন আয়াত বা বড় এক আয়াত তিলাওয়াত করা না হয়ে থাকে,তাহলে অবশ্যই সেই সুরা থেকেই হোক,বা অন্য সুরা থেকেই হোক,নামাজের ওয়াজিব পরিমান কিরাআত পূর্ণ করতে হবে।