আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
656 views
in সালাত(Prayer) by (72 points)
আসসালামুআলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লহি ওয়াবারকাতুহ

শায়খ আমার প্রশ্ন হলো
নামাজে সূরা ফাতিহা বা অন্য সূরার মাঝখানে কোনো আয়াত পড়ার সময় বা বৈঠকে তাশাহহুদ এর মাঝখানে কোনো আয়াতে যদি অজু ভেঙ্গে যায় তাহলে অজু করে এসে কি ওই ভেঙ্গে যাওয়া আয়াত থেকে নামাজ শুরু করবো নাকি সূরার বা তাশাহহুদের শুরু থেকে?

জাযাকাল্লহু খইরন।

................................................................................

1 Answer

+1 vote
by (575,580 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান  হলো কাহারো নামাজের ভিতর অযু ভেঙ্গে  গেলে সে তৎক্ষণাৎ অযুর জন্য বের হয়ে যাবে। 
অযু করে এসে যেখানে নামাজ রেখে গিয়েছিলো সেখান থেকে আবার আদায় করবে।

আমর ইবনুল হারেস থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নামাজরত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত বের হলে কী করণীয় এ সম্পর্কে উমর ইবনুল খাত্তাব রাযি. বলেন, সে অযুর জন্য বের হয়ে যাবে এবং অযু করে আসবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৫৯৫০)

সালমান ফারসী রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমাদের মধ্যে কারো যদি নামাজে অযু ছুটে যায় তাহলে সে যেন বের হয়ে অযু করে আসে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৫৯৫৪)
,
তবে এক্ষেত্রে পথিমধ্যে বা অযু করা অবস্থায় কারো সাথে বা এমনিতেই কথা বলা যাবেনা।
যদি কথা বলে,তাহলে তাকে আবার পুনরায় নতুন করে নামাজ আদায় করতে হবে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ   

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا الْهَيْثَمُ بْنُ خَارِجَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَنْ أَصَابَهُ قَىْءٌ أَوْ رُعَافٌ أَوْ قَلَسٌ أَوْ مَذْىٌ فَلْيَنْصَرِفْ فَلْيَتَوَضَّأْ ثُمَّ لْيَبْنِ عَلَى صَلاَتِهِ وَهُوَ فِي ذَلِكَ لاَ يَتَكَلَّمُ "

আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নামাজ রত অবস্থায় কারো বমি হলে, নাক দিয়ে রক্ত বের হলে, খাদ্য বা পানীয় পেট থেকে মুখে চলে এলে অথবা বীর্যরস নির্গত হলে, সে যেন বাইরে এসে অযু করে, অতঃপর পূর্বোক্ত সালাতের অবশিষ্টাংশ পূর্ণ করে, উক্ত অবস্থায় যদি সে কথা না বলে থাকে।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ১২২১.বুলুগুল মারাম ৭৫।)

عَنْ عَائِشَةَ ؛ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ : " إِذَا قَاءَ أَحَدُكُمْ فِي صَلَاتِهِ أَوْ قَلَسَ ، فَلْيَنْصَرِفْ فَلْيَتَوَضَّأْ ، ثُمَّ لْيَبْنِ عَلَى مَا مَضَى مِنْ صَلَاتِهِ ، مَا لَمْ يَتَكَلَّمْ " ، قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ : " فَإِنْ تَكَلَّمَ اسْتَأْنَفَ

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমাদের কেই নামাযরত অবস্থায় বমি করলে অথবা (পেট থেকে) খাদ্য বা পানীয় তার মুখে এসে গেলে সে যেন বের হয়ে গিয়ে উযু করে, তারপর অবশিষ্ট নামায পড়ে, যদি সে কথাবার্তা না বলে থাকে। ইবনে জুরাইজ (রহঃ) বলেন, সে যদি কথা বলে থাকে তাহলে পুনরায় নতুন করে নামায পড়বে।
(সুনানে দারা কুতনি ৫৪১।)

ফাতাওয়ায়ে তাতারখানীয়াতে আছেঃ   
رجل دخل في الصلاۃ ثم أحدث حدثا من بول أو ریح لا یتعمد لہ فیتوضأ ویبني علی صلا تہ إن لم یتکلم جاز عندنا استحسانا، وفي القیاس یستقبل الصلاۃ۔ (الفتاوی التاتارخانیۃ ۲؍۳۵۸ رقم: ۲۶۵۸ زکریا)
যার সারমর্ম হলো যদি সে কথাবার্তা না বলে,তাহলে   অযু করে এসে যেখানে নামাজ রেখে গিয়েছিলো সেখান থেকে আবার আদায় করবে।
.
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই , 
যদি নামাজে সুরা ফাতেহা/তাশাহুদ পড়ার মাঝে অযু ভেঙ্গে যায়,তাহলে অযু করে আসার পর সুরা ফাতেহা/  তাশাহুদ এর সেই স্থান মনে থাকে,তাহলে উক্ত স্থান থেকেই শুরু করবেন।
,
আর যদি মনে না থাকে,তাহলে সুরা ফাতেহা/তাশাহুদের শুরু থেকে শুরু করবেন।
,
স্বরন থাকা সত্ত্বেও সুরা ফাতেহা/তাশাহুদের শুরু থেকে শুরু করাও ছহীহ আছে।
,
★যদি নামাজে অন্য সুরা পড়ার মাঝে অযু ভেঙ্গে যায়,তাহলে যদি ছোট তিন আয়াত বা বড় এক আয়াত  তিলাওয়াত করা হয়ে থাকে,তাহলে  অযু করে আসার পর সরাসরি রুকুতে যেতে পারবে। 

চাইলে সেই স্থানে রেখে গিয়েছিলেন, উক্ত স্থান থেকেও শুরু করতে পারবেন।
,
চাইলে অন্য সুরাও তিলাওয়াত করতে পারবেন।
সবেরই অনুমোদন রয়েছে।  
,
যদি অযু ভেঙ্গে যাওয়ার আগে ছোট তিন আয়াত বা বড় এক আয়াত  তিলাওয়াত করা না হয়ে থাকে,তাহলে অবশ্যই সেই সুরা থেকেই হোক,বা অন্য সুরা থেকেই হোক,নামাজের ওয়াজিব পরিমান কিরাআত পূর্ণ করতে হবে।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (72 points)
সেক্ষেত্রে অজু করার আগে বিসমিল্লাহ বলা বা অযুর পর কালেমা শাহাদাত পড়া কি যাবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 512 views
0 votes
1 answer 349 views
...