বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
অমুসলিমদের ধর্মীয় জিনিষপত্র বা বিজাতীয় সংস্কৃতির জিনিষপত্র এবং বিভিন্ন শরীয়ত বিরোধী কাজ সমূহে ব্যবহৃত জিনিষপত্রর ক্রয়-বিক্রয় সম্পর্কে বলা যায় যে,এতে মতপার্থক্য বিদ্যমান রয়েছে-
একদল উলামায়ে কেরাম এ ক্রয়-বিক্রয় কে স্পষ্টত নাজায়েয বলেন,
অন্যদিকে উলামায়ে কেরামের বিরাট একটি অংশ বলেন,
সুদ,মদ,শুকুর ব্যতীত অন্যান্য বিষয়ে মূল কাজ বৈধ হলে তা করা যাবে।যেমন গির্জায় ঝাড়ু দেওয়া, ইত্যাদি। কেননা শুধুমাত্র ঝাড়ু দানের কাজ অবৈধ নয়।তাই উক্ত ঝাড়ু দানের কাজ অবৈধ হবে না,চায় তা কোনো গির্জা বা অনৈসলামিক স্থানেই হোক না কেন?
(২)
আপনি তাকে জিজ্ঞাসা করে নিবেন যে,তা কোন কাজে ব্যবহার করা হবে। যদি সে হারাম কাজে ব্যবহার করার জন্য ক্রয় করতে চায়,তাহলে আপনি তার কাছে বিক্রয় করতে পারবেননা।
(৩)
তৃতীয় অবস্থা
যদি বিক্রেতা সন্দেহ করে এবং দিধাবোধ করে যে, এই কাপড়গুলো হালালে ব্যবহৃত হবে, না হারামে ব্যবহৃত হবে। এবং কাপড় ও এমন যে, ইহা উভয় ত্বরিকায়ই ব্যবহৃত হয়,এবং হলাল-হারাম পরিধানের কোনো একটিকে অগ্রাধিকার দেয়ার কোনো বিষয়ও আপাতত সামনে নেই,তাহলে এমতাবস্থায় এই কাপড় গুলোকে বিক্রি করতে কোনো অসুবিধা নেই। কেননা ব্যবসা হালাল হওয়াই প্রথম ও মূল মূলনীতি। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেন-আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন। (সূরা বাক্বারা-২৭৫)
ওয়াজিব হল যে, যে কাপড়গুলো ক্রয় করবে সে যেন তা হালাল ত্বরিকায়-ই ব্যবহার করে,সে যেন সেগুলোকে হারাম ত্বরিকায় ব্যবহার না করে।(শেষ)
(৪)
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
وَلَوْ كُتِبَ الْقُرْآنُ عَلَى الْحِيطَانِ وَالْجُدَرَانِ بَعْضُهُمْ قَالُوا: يُرْجَى أَنْ يَجُوزَ، وَبَعْضُهُمْ كَرِهُوا ذَلِكَ مَخَافَةَ السُّقُوطِ تَحْتَ أَقْدَامِ النَّاسِ، كَذَا فِي فَتَاوَى قَاضِي خَانْ.
كِتَابَةُ الْقُرْآنِ عَلَى مَا يُفْتَرَشُ وَيُبْسَطُ مَكْرُوهَةٌ، كَذَا فِي الْغَرَائِبِ.
দেয়ালে লিখিত কুরআনে বিষয়ে শরয়ী বিধি-বিধান নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।কিছুসংখ্যক উলামায়ে কেরাম এটাকে জায়েযই মনে করেন।আবার কিছুসংখ্যক উলামায়ে কেরাম এটাকে অপছন্দ করে থাকেন।এজন্য যে,হয়তো তা মানুষের পদতলে পৃষ্ট হতে পারে।(ফাতাওয়ায়ে কাযিখান)এবং বসা বা ঘুমানোর জায়গায় কুরআন লিখা মাকরুহ। (গারাঈব)(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া;৫/৩২৩)
অনুপযুক্ত স্থানে কুরআন লিখা অনুচিত। মসজিদের দেয়ালে অযথা কুরআনের আয়াত না লিখাই ভালো।ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-১৫/২৬৩
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
যেহেতু চাবির রিংয়ের পদপৃষ্ঠ হওয়া বা অসম্মান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে,তাই চাবির রিংয়ে কুরআনের আয়াত লিখা যাবে না।