আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
170 views
in সালাত(Prayer) by (61 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১) কেউ তাশাহুদের আগে 'বিসমিল্লাহ...'  পড়ে ফেললে সাহু সিজদা দিতে হবে?

২) প্রথম রাকাতে সূরা বাকারাহ'র ১-১০ আয়াত ও দ্বিতীয় রাকাতে সূরা বাকারাহ'র ৫৫-৫৮ আয়াত (একই সূরার কিছু আয়াত বাদ দিয়ে) তিলাওয়াত করার বিধান কী?
৩) নামাজের রাকাতে সর্বনিম্ন ৩ আয়াত পড়তে হয়। সূরা আর-রাহমানের প্রথম ৩ আয়াত (যা একেবারে সংক্ষিপ্ত) পড়লে কমপক্ষে ৩ আয়াত পড়ার জরুরত আদায় হয়ে যাবে?

৪) একটিমাত্র আয়াত বার বার যদি পড়ে তবুও নামাজ হয়ে যায়। এখন আয়াতটি যদি হয় সূরা বাকারাহ বা সূরা আর-রাহমানের প্রথম আয়াত, তবুও হয়ে যাবে কি?

৫) IOM এর ফাতওয়া বিভাগে একজন একদিনে সর্বোচ্চ কয়টি প্রশ্ন করতে পারে এবং তা কত সময় পরপর?

1 Answer

0 votes
by (588,600 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) 
وَكَذَا لَوْ قَرَأَهَا فِي الْقُعُودِ إنْ بَدَأَ بِالْقِرَاءَةِ وَإِنْ بَدَأَ بِالتَّشَهُّدِ ثُمَّ قَرَأَهَا فَلَا سَهْوَ عَلَيْهِ كَمَا فِي الْمُحِيطِ
«البحر الرائق شرح كنز الدقائق ومنحة الخالق وتكملة الطوري» (2/ 105)
যদি কেউ নামাযের বৈঠকে কিরাত পড়ে নেয়, অর্থাৎ তাশাহুদের পূর্বে কিরাত দ্বারা বৈঠককে শুরু করে নেয়, তাহলে তার উপর সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে। আর যদি তাশাহুদ পড়ার পর কেউ কিরাত পড়ে, তাহলে তার উপর সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না। (বাহরুর রায়েক-২/১০৫)বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/17062

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণমতে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে। 

(২) প্রথম রাকাতে সূরা বাকারাহ'র ১-১০ আয়াত ও দ্বিতীয় রাকাতে সূরা বাকারাহ'র ৫৫-৫৮ আয়াত (একই সূরার কিছু আয়াত বাদ দিয়ে) তিলাওয়াত করা যাবে। তবে ইচ্ছাকৃত এমনটা মাকরুহে তানযিহি তথা অপছন্দণীয় হিসেবে বিবেচিত হবে। 

(৩)জ্বী, নামাজের রাকাতে সর্বনিম্ন ৩ আয়াত পড়তে হয়। সূরা আর-রাহমানের প্রথম ৩ আয়াত (যা একেবারে সংক্ষিপ্ত) পড়লে কমপক্ষে ৩ আয়াত পড়ার জরুরত আদায় হয়ে যাবে।

(৪)সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
একই রা'কাতে কোনো এক সূরা বা কোনো এক আয়াতকে বারংবার তেলাওয়াত করা জায়েয হলেও অনুত্তম(মাকরুহে তানযিহি)। উত্তম হলো,কোনো এক সূরা তেলাওয়াত 
করার পর ভিন্ন কোনো সূরা তেলাওয়াত করা, এবং এক আয়াত তেলাওয়াত করার পর পরবর্তী আয়াত তেলাওয়াত করা। সুতরাং জরুরতের ভিত্তিতে এক সূরাকে বারংবার বা একই রা'কাতে কয়েক সূরার অংশকে তেলাওয়াত করা যাবে।এক্ষেত্রে নামায ফাসিদ হবে না।আরো জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/2123

এ হল হানাফি মাযহাবের সিদ্ধান্ত। তাছাড়া হানাফি মাযহাব ব্যতীত অন্যান্য ফিকহের সিদ্ধান্ত হল, একই রাকাতে এক সূরা বা একই আয়াতকে বারংবার তেলাওয়াত করা যাবে। এতে কোনো অসুবিধে নাই। আপনি ইউটিউবে যে তেলাওয়াত দেখছেন, তা ভিন্ন মাযহাবের অনুসারীদের তেলাওয়াত। 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
একটিমাত্র আয়াত বার বার যদি পড়ে তবুও নামাজ হয়ে যায়। এখন আয়াতটি যদি হয় সূরা বাকারাহ বা সূরা আর-রাহমানের প্রথম আয়াত, তবুও হয়ে যাবে । ইচ্ছাকৃত বিনা প্রয়োজনে এমনটা মাকরুহ। এবং নিয়মিত করাও মাকরুহ। 

(৫)IOM এর ফাতওয়া বিভাগে ১ ঘন্টা পরপর প্রশ্ন করা যায়। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...