ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কানযুল উম্মালের অপর একটি রেওয়াতে এবং জামেউস সগীরে বর্ণিত একটি হাদীসে তিনের জায়গায় চারটি খেলার কথা উল্লেখ রয়েছে রেওয়ায়েতটি হলো,
ﻛﻞ ﺷﻲﺀ ﻟﻴﺲ ﻣﻦ ﺫﻛﺮ ﺍﻟﻠﻪ ﻟﻬﻮ ﻭ ﻟﻌﺐ ﺇﻻ ﺃﻥ ﻳﻜﻮﻥ ﺃﺭﺑﻌﺔ : ﻣﻼﻋﺒﺔ ﺍﻟﺮﺟﻞ ﺇﻣﺮﺃﺗﻪ ﻭ ﺗَﺎْﺩﻳﺐ ﺍﻟﺮﺟﻞ ﻓﺮﺳﻪ ﻭ ﻣﺸﻲ ﺍﻟﺮﺟﻞ ﺑﻴﻦ ﺍﻟﻐﺮﺿﻴﻦ ﻭ ﺗﻌﻠﻴﻢ ﺍﻟﺮﺟﻞ ﺍﻟﺴﺒﺎﺣﺔ
আল্লাহ তায়ালা যিকির সম্পর্কিত নয় এমন প্রত্যেকটি জিনিস খেল-তামাশার অন্তর্ভূক্ত। তবে চারটি জিনিস ব্যতীত, ১. স্ত্রীর সাথে বিনোদন ও খেলা-ধুলা। ২. ঘোড়া দৌড়ান। ৩. লক্ষ বস্তুতে আঘাত করার জন্য যাওয়া। ৪. কাউকে সাঁতার শিখানো।”(কানযুল উম্মাল-১৫/২১১)
উল্লেখিত হাদীসসমূহে যে খেলাগুলোর আলোচনা রয়েছে অন্য কয়েকটি বর্ণনায় সেগুলোর কিছুটা বিশদ বিবরণ এবং সেগুলোর প্রতি উদ্ধুদ্ধ ও করা হয়েছে।(বিস্তারিত খেলাধুলা ও বিনোদন-শরয়ী সীমারেখা-১৮)
পূর্বোল্লিখিত খেলাসমূহে যে বৈধতার কথা বলা হয়েছে,তার অর্থ এটা নয় যে,এ সমস্ত খেলা শর্তহীন ভাবে জায়েয।বরং তা তখনই বৈধ হবে যখন তা শরয়ী সীমারেখার আওতাধীন হবে।নতুবা জায়েয হবে না।যেমন আজকালকার খেলাধুলা যা গান বাজনা সহ বেপর্দা ইত্যাদির কারণে নাজায়েয ও হারাম।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/673
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ছোট ছোট গেইম খেলে কুপন সংগ্রহ করা নাজায়েয ও হারাম।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺍﻟْﺨَﻤْﺮُ ﻭَﺍﻟْﻤَﻴْﺴِﺮُ ﻭَﺍﻷَﻧﺼَﺎﺏُ ﻭَﺍﻷَﺯْﻻَﻡُ ﺭِﺟْﺲٌ ﻣِّﻦْ ﻋَﻤَﻞِ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥِ ﻓَﺎﺟْﺘَﻨِﺒُﻮﻩُ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢْ ﺗُﻔْﻠِﺤُﻮﻥَ
হে মুমিনগণ, এই যে মদ, জুয়া, প্রতিমা এবং ভাগ্য-নির্ধারক শরসমূহ এসব শয়তানের অপবিত্র কার্য বৈ তো নয়। অতএব, এগুলো থেকে বেঁচে থাক-যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও।(সূরা মায়েদা-৯০)
হ্যা, শপের বৈধ আইটেম দেখে কুপন ইনকাম করা জায়েয হবে। নতুন মেম্বার ইনভাইট করে ইনকাম করেও কুপন সংগ্রহ করা জায়েয হবে। সুতরাং সে সূরতে কুপন ইনকাম জায়েয ঐ সূরতে উক্ত কুপন দ্বারা প্রডক্টের মূল্যে অফার বা ছাড় গ্রহণ করা জায়েয হবে। আর যে সব সূরতে কুপন ইনকাম জায়েয নয় ঐ সূরতে উক্ত কুপন দ্বারা প্রডাক্টে অফার বা ছাড় গ্রহণ করা জায়েয হবে না।