আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
181 views
in পবিত্রতা (Purity) by (49 points)
১. ওযুতে দাড়িতে পানি দেয়ার সুন্নত পদ্ধতি কি?
২.আমি মগে পানি নিয়ে ওজু করি (৬০০-৭০০মিলি) মগের ভিতরে হাত ঢুকিয়ে পানি নিয়ে কব্জি পর্যন্ত ধুয়ে সেই হাত আবার মগের ভিতরে দিয়ে কুলি বা নাকে পানি দেয়ার জন্য পানি তুলি। আবার হাত ধুয়েও নতুন পানি নিতে মগের ভিতরে হাত দিই। বারবার এভাবে হাত দেয়াতে কি পানির গুনাগুন নষ্ট হয়ে যাবে? আমি শুনেছি ব্যবহৃত পানি দিয়ে নাকি পবিত্রতা হয়না।
৩. টিস্যু ছাড়া শুধু পানি দিয়ে প্রসাব / পায়খানা থেকে পবিত্র হওয়া কি জায়েজ?
৪.বিছানায় বা বালিশে বীর্যের ভেজাভাব শুকিয়ে গেলে সেই স্থান কি পবিত্র হয়ে যায় (বীর্য সরাসরি লাগে নাই )?
৫.প্রচন্ড জ্বর বা অন্যান্য কিছু অসুখে পায়ুপথে সাপোজিটার ঔষধ দেয়া হয়। এর কারণে পুরুষ বা নারী কারো উপর গোছল ফরয হবে কি?
৬.বর্ষাকালে রাস্তাঘাটে চলতে গেলে কাপড়ে কাদার ছিটা লাগে। যে কাপড়ে কাদার ছিটা লাগছে সেই কাপড়ে সালাত আদায় হবে?
৭.বীর্যপাত (স্বপ্নদোষ বা সহবাস যে কারণেই হোক) ব্যাতিত মুসলিম ছেলেদের উপর গোছল ফরয হয় আর কি কারণে?
৮.যৌন উত্তেজনাবশত লিঙ্গ থেকে যে পানি বের হয় তা কি পাক? এরজন্য গোছল ফরয হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (710,520 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) হাতে পানি নিয়ে দাড়িতে পানি দেওয়াই হল সুন্নাহ পদ্ধতি। দাড়ি গণ হলে দাড়ির গোড়ায় পানি পৌছানো জরুরী নয়। আর পাতলা হলে দাড়ির গোড়ায় পানি পৌছানো জরুরী। 

(২)
 فالحاصل أنه يجوز الوضوء والغسل من الفساقي الصغار ما لم يغلب على ظنه أن الماء المستعمل أكثر, أو مساو ولم يغلب على ظنه وقوع نجاسة فيه وتمامه فيه 
মোটকথাঃ-ছোট্ট পাত্র থেকে ওজু করার জন্য হাত দ্বারা চিল্লু ভরে পানি নেয়ার পর অবশিষ্ট পানি দ্বারা ওজু গোসল জায়েয আছে।যতক্ষণ না ব্যবহৃত পানি অবশিষ্ট পানি থেকে বেশী বা সমান হওয়ার ধারণ হচ্ছে এবং অবশিষ্ট পানিতে কোনো প্রকার নাজাসত পতিত হওয়ার ধারণা হচ্ছে। (হাশিয়াতুত তাহতাবী-আ'লা মারাক্বিল ফালাহ-১/২৬-শামেলা)বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/807
(৩)শুধুমাত্র পানি ব্যবহার করে পবিত্রতা অর্জন করা যাবে।যেমন হযরত আনাস ইবনে মালিক রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
عن أَنَس بْن مَالِكٍ رضي الله عنه قال : كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا دَخَلَ الْخَلاءَ أَحْمِلُ أَنَا وَغُلامٌ مَعِي نَحْوِي إِدَاوَةً مِنْ مَاءٍ ، فَيَسْتَنْجِي بِالْمَاءِ .
যখন রাসূলুল্লাহ সাঃ বাথরুমে প্রবেশ করতেন,আমি এবং আমার সাথের একটি ছেলে আমরা পানির পাত্রকে বহন করে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর জন্য নিয়ে যেতাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করতেন।(সহীহ মুসলিম-২৭১)
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/3900
(৪) জ্বী, পবিত্র হয়ে যাবে। 
(৫)সাপোজিটার ঔষধ সেবনের দরুণ গোসল ফরয হবে না।
(৬)ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন,
(قوله: وطين شارع)طين الشوارع عفو وإن ملأ الثوب للضرورة ولو مختلطا بالعذرات وتجوز الصلاة معه.................أقول: والعفو مقيد بما إذا لم يظهر فيه أثر النجاسة كما نقله في الفتح عن التجنيس
প্রয়োজনের ধরুণ রাস্তার মাঠি ক্ষমাযোগ্য। যদিও কাপড় মাঠি দ্বারা লেপ্টে যাউক না কেন এবং যদিও সেই মাঠি নাজাসত দ্বারা মিশ্রিত হউক না কেন।এদ্ধারা নামায বিশুদ্ধ হবে।তবে যদি  নাজাসতের চিন্থ দৃশ্যমান থাকে,(এক দিরহামের বেশী হলে)তাহলে নামায বিশুদ্ধ হবে না।(রদ্দুল মুহতার-১/৪২৪)বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/2677
(৭) এছাড়া অন্য কোনো গোসল ফরয হয় না। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/10148
(৮)বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1689


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (710,520 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 105 views
0 votes
1 answer 404 views
0 votes
1 answer 203 views
...