আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
165 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (21 points)
আসসালামু আলাইকুম

ফকিরকে এক হাজার টাকা  দেয়ার মানত করলে কি ফকিরকেই দিতে হবে।গরীবকে দেয়া যাবেনা  মানতের কি স্থান নির্দি ষ্ট। যেমন ফকিরকে দেয়ার মানত করলে কি ফকিরকেই  দিতে হবে. অামি ফকিরকে দেয়ার মানত করেছি।ব্যংকের গার্ডের বাচ্চা খুব অসুস্থ।ফকিরকে না দিয়ে ৷ তাদের দিলে কি মানত পূূূর্ন হবে,  অসুস্থ বাচ্চা।

কারো সৎ ভাইবোন কি উত্তরাধিকারী হয় যদি ছেলে না থাকে

কারো অাট বিঘা জমি হে উত্তরাধিকারী এক স্ত্রী দুই কন্যা এক ভাই এক বোন কে কতটুকু পাবে

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১
তিনি যদি হকদার হোন,তাহলে তাকে দিলেও মান্নত আদায় হয়ে যাবে।

বিস্তারিত জানুনঃ 
,
(০২)
যদি মৃত ব্যাক্তির সৎ ভাই বোন  বলতে বাব শরীকি (মৃত ব্যাক্তি এবং সেই ভাই বোনদের বাবা একই , মা আলাদা)  ভাই বোন থাকে,এক্ষেত্রে যদি মৃত ব্যাক্তির অন্য ওয়ারিশদের মধ্যে শুধু ছেলে থাকে,তাহলে ছেলেই সমস্ত সম্পত্তি পাবে।

সেই ভাই বোনেরা কোনো সম্পদ পাবেনা।
,
যদি ছেলে না থেকে শুধু মেয়ে থাকে,আর উক্ত ভাই বোন থাকে, তাহলে পুরো সম্পত্তি ৬ ভাগ করে  মেয়ে পাবে ৩ ভাগ।
সেই ভাই পাবে ২ ভাগ।
বোন পাবে ১ ভাগ।
যদি মৃত ব্যাক্তির সৎ ভাই বোন  বলতে মা শরীকি (মৃত ব্যাক্তি এবং সেই ভাই বোনদের মা একই , বাবা আলাদা)  ভাই বোন থাকে,
তাহলে মৃত ব্যাক্তির ছেলে সন্তান হোক বা মেয়ে সন্তান হোক,যেকোনো একজন থাকলেই সেই ভাই বোন মাহরুম হবে।
তথা তারা কোনো সম্পদ পাবেনা।

(০৩)
মহান আল্লাহ তায়ালা সুরা নিসার ১১ নং আয়াতে ইরশাদ করেনঃ

یُوۡصِیۡکُمُ اللّٰہُ فِیۡۤ اَوۡلَادِکُمۡ ٭ لِلذَّکَرِ مِثۡلُ حَظِّ الۡاُنۡثَیَیۡنِ ۚ فَاِنۡ کُنَّ نِسَآءً فَوۡقَ اثۡنَتَیۡنِ فَلَہُنَّ ثُلُثَا مَا تَرَکَ ۚ وَ اِنۡ کَانَتۡ وَاحِدَۃً فَلَہَا النِّصۡفُ ؕ وَ لِاَبَوَیۡہِ لِکُلِّ وَاحِدٍ مِّنۡہُمَا السُّدُسُ مِمَّا تَرَکَ اِنۡ کَانَ لَہٗ وَلَدٌ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُنۡ لَّہٗ وَلَدٌ وَّ وَرِثَہٗۤ اَبَوٰہُ فَلِاُمِّہِ الثُّلُثُ ۚ فَاِنۡ کَانَ لَہٗۤ اِخۡوَۃٌ فَلِاُمِّہِ السُّدُسُ مِنۡۢ بَعۡدِ وَصِیَّۃٍ یُّوۡصِیۡ بِہَاۤ اَوۡ دَیۡنٍ ؕ اٰبَآؤُکُمۡ وَ اَبۡنَآؤُکُمۡ لَا تَدۡرُوۡنَ اَیُّہُمۡ اَقۡرَبُ لَکُمۡ نَفۡعًا ؕ فَرِیۡضَۃً مِّنَ اللّٰہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ عَلِیۡمًا حَکِیۡمًا ﴿۱۱﴾ 

আল্লাহ তোমাদের সন্তান সম্বন্ধে নির্দেশ দিচেছন: এক পুত্রের অংশ দুই কন্যার অংশের সমান; কিন্তু শুধু কন্যা দুইয়ের বেশী থাকলে তাদের জন্য পরিত্যক্ত সম্পত্তির তিন ভাগের দু’ভাগ, আর মাত্র এক কন্য থাকলে তার জন্য অর্ধেক। তার সন্তান থাকলে তার পিতা-মাতা প্রত্যেকের জন্য পরিত্যক্ত সম্পত্তির ছয় ভাগের এক ভাগ; সে নিঃসন্তান হলে এবং পিতা-মাতাই উত্তরাধিকারী হলে তার মাতার জন্য তিন ভাগের এক ভাগ; তার ভাই-বোন থাকলে মাতার জন্য ছয় ভাগের এক ভাগ; এ সবই সে যা ওসিয়াত করে তা দেয়ার এবং ঋণ পরিশোধের পর। তোমাদের পিতা ও সন্তানদের মধ্যে উপকারে কে তোমাদের নিকটতর তা তোমরা জান না। এ বিধান আল্লাহর; নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।

অন্য আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

وَ لَکُمۡ نِصۡفُ مَا تَرَکَ اَزۡوَاجُکُمۡ اِنۡ لَّمۡ یَکُنۡ لَّہُنَّ وَلَدٌ ۚ فَاِنۡ کَانَ لَہُنَّ وَلَدٌ فَلَکُمُ الرُّبُعُ مِمَّا تَرَکۡنَ مِنۡۢ بَعۡدِ وَصِیَّۃٍ یُّوۡصِیۡنَ بِہَاۤ اَوۡ دَیۡنٍ ؕ وَ لَہُنَّ الرُّبُعُ مِمَّا تَرَکۡتُمۡ اِنۡ لَّمۡ یَکُنۡ لَّکُمۡ وَلَدٌ ۚ فَاِنۡ کَانَ لَکُمۡ وَلَدٌ فَلَہُنَّ الثُّمُنُ مِمَّا تَرَکۡتُمۡ مِّنۡۢ بَعۡدِ وَصِیَّۃٍ تُوۡصُوۡنَ بِہَاۤ اَوۡ دَیۡنٍ ؕ وَ اِنۡ کَانَ رَجُلٌ یُّوۡرَثُ کَلٰلَۃً اَوِ امۡرَاَۃٌ وَّ لَہٗۤ اَخٌ اَوۡ اُخۡتٌ فَلِکُلِّ وَاحِدٍ مِّنۡہُمَا السُّدُسُ ۚ فَاِنۡ کَانُوۡۤا اَکۡثَرَ مِنۡ ذٰلِکَ فَہُمۡ شُرَکَآءُ فِی الثُّلُثِ مِنۡۢ بَعۡدِ وَصِیَّۃٍ یُّوۡصٰی بِہَاۤ اَوۡ دَیۡنٍ ۙ غَیۡرَ مُضَآرٍّ ۚ وَصِیَّۃً مِّنَ اللّٰہِ ؕ وَ اللّٰہُ عَلِیۡمٌ حَلِیۡمٌ ﴿ؕ۱۲﴾ 

তোমাদের স্ত্রীদের পরিত্যক্ত সম্পত্তির অর্ধেক তোমাদের জন্য, যদি তাদের কোন সন্তান না থাকে এবং তাদের সন্তান থাকলে তোমাদের জন্য তাদের পরিত্যক্ত সম্পত্তির চার ভাগের এক ভাগ; ওসিয়ত পালন এবং ঋন পরিশোধের পর। তোমাদের সন্তান না থাকলে তাদের জন্য তোমাদের পরিত্যক্ত সম্পত্তির চার ভাগের এক ভাগ, আর তোমাদের সন্তান থাকলে তাদের জন্য তোমাদের পরিত্যক্ত সম্পত্তির আট ভাগের এক ভাগ; তোমরা যা ওসিয়াত করবে তা দেয়ার পর এবং ঋণ পরিশোধের পর। আর যদি কোন পুরুষ অথবা নারীর ‘কালালাহ বা পিতা-মাতা ও সন্তানহীন উত্তরাধিকারী হয়, আর থাকে তার এক বৈপিত্রেয় ভাই বা বোন, তবে প্রত্যেকের জন্য ছয় ভাগের এক ভাগ। তারা এর বেশী হলে সবাই সমান অংশীদার হবে তিন ভাগের এক ভাগে; এটা যা ওসিয়াত করা হয় তা দেয়ার পর এবং ঋণ পরিশোধের পর, কারো ক্ষতি না করে। এ হচ্ছে আল্লাহর নির্দেশ। আর আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সহনশীল।
(সুরা নিসা ১২)

,
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্ত্রী পাবে ৮ ভাগের  এক ভাগ।
দুই মেয়ে দুইতৃতীয়াংশ সম্পদ পাবে।
অবশিষ্ট সম্পদ ভাই বোন পাবে।
বোন যাহা পাবে,ভাই তার ডবল পাবে।
,
পুরো সম্পত্তি ৭২ ভাগ করা হবে,স্ত্রী পাবে ৯ ভাগ।
দুই মেয়ে যথাক্রমে ২৪-২৪ মোট ৪৮ ভাগ পাবে।
ভাই ১০ ভাগ পাবে।
বোন ৫ ভাগ পাবে।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু মৃত ব্যাক্তির ৮ বিঘা জমি রয়েছে।
এক বিঘা সমপরিমাণ হলো ৩৩.০৫৭৯ শতাংশ।  

★এক্ষেত্রে ৮ বিঘা সমপরিমাণ হলো ২৬৪.৪৬৩২ শতাংশ।
,
সেই হিসেবে স্ত্রী পাবে ৩৩.০৬ শতাংশ জমি।
দুই মেয়ের প্রত্যেকেই ৮৮.২০ শতাংশ করে পাবে।
(এক মেয়ে ৮৮.২০ শতাংশ জমি পাবে,আরেক মেয়েও 
৮৮.২০ শতাংশ জমি পাবে।)
মৃত ব্যাক্তির ভাই পাবে ৩৬.৬৭ শতাংশ জমি।
মৃত ব্যাক্তির বোন পাবে ১৮.৩৪ শতাংশ জমি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (21 points)
উক্ত ব্যক্তি বেঁচে অাছেন।তার অবর্তমানে কে কেমন ভাগ পাবে এইটা জানার জন্য প্রশ্নটি করা হয়েছে

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...