জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
ইসলাম গ্রহণের আগে গোসল করাকে মুস্তাহাব বলা হয়েছে।
ফরজ নয়।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ قَالَ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي سَعِيدٍ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ بَعَثَ النَّبِيُّ خَيْلاً قِبَلَ نَجْدٍ فَجَاءَتْ بِرَجُلٍ مِنْ بَنِي حَنِيفَةَ يُقَالُ لَهُ ثُمَامَةُ بْنُ أُثَالٍ فَرَبَطُوهُ بِسَارِيَةٍ مِنْ سَوَارِي الْمَسْجِدِ فَخَرَجَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ فَقَالَ أَطْلِقُوا ثُمَامَةَ فَانْطَلَقَ إِلَى نَخْلٍ قَرِيبٍ مِنَ الْمَسْجِدِ فَاغْتَسَلَ ثُمَّ دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَقَالَ أَشْهَدُ أَنْ لآ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ.
আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কয়েকজন অশ্বারোহী মুজাহিদকে নজদের দিকে পাঠালেন। তারা বানূ হানীফা গোত্রের সুমামাহ ইবনু উসাল নামক এক ব্যক্তিকে নিয়ে এসে তাকে মসজিদের খুঁটির সাথে বেঁধে রাখলেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর নিকট গেলেন এবং বললেনঃ সুমামাকে ছেড়ে দাও। (ছাড়া পেয়ে) তিনি মসজিদে নাবাবীর নিকট এক খেজুর বাগানে গিয়ে সেখানে গোসল করলেন, অতঃপর মসজিদে প্রবেশ করে বললেনঃ ‘‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল।’’ (বুখারী শরীফ ৪৬২.৪৬৯, ২৪২২, ২৪২৩, ৪৩৭২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৪২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৪৮)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার সময়, যদি সে পাক থাকে তবে গোসল করা মুস্তাহাব। কিন্তু সে যদি নাপাক থাকে, তাহলে গোসল করা ফরজ। (সহিহ ইবনে হিব্বান : ৪/৪২, সুরা : মায়েদা, আয়াত : ৬)
,
(০২)
হ্যাঁ তারা ইজমা কিয়াসে মানেন।
,
(০৩)
ফরজ নামাজের পর সুন্নাত আদায় করতে বড় বিরতি দেওয়া মাকরুহে তানযিহি তথা অনুত্তম।
সাথে সাথেই সুন্নাত আদায় করে নেওয়া রাসুলুল্লাহ সাঃ এর তরীকা।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا سَلَّمَ لاَ يَقْعُدُ إِلاَّ مِقْدَارَ مَا يَقُولُ " اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ وَمِنْكَ السَّلاَمُ تَبَارَكْتَ ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ " .
আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাম ফিরানোর পর এই দু'আ পাঠের বেশি সময় বসতেন না- “আল্লাহুম্মা আনতাস্ সালামু ..... ওয়াল ইকরাম।” অর্থাৎ- “হে আল্লাহ! তুমিই শান্তিদাতা তোমার নিকট হতেই শান্তি আসে। হে সম্মান ও গৌরবের মালিক! তুমি প্রাচুর্যময় ও বারকাতময়"। —সহীহ। ইবনু মাজাহ– (৯২৪), মুসলিম,তিরমিজি ২৯৮)
,
ফাতাওয়ায়ে শামী ১/৫৩০
"ويكره تأخير السنة إلا بقدر اللهم أنت السلام إلخ. قال الحلواني: لا بأس بالفصل بالأوراد واختاره الكمال. قال الحلبي: إن أريد بالكراهة التنزيهية ارتفع الخلاف قلت: وفي حفظي حمله على القليلة؛ ويستحب أن يستغفر ثلاثاً ويقرأ آية الكرسي والمعوذات ويسبح ويحمد ويكبر ثلاثاً وثلاثين؛ ويهلل تمام المائة ويدعو ويختم بسبحان ربك.
(قوله: إلا بقدر اللهم إلخ) لما رواه مسلم والترمذي عن عائشة قالت «كان رسول الله صلى الله عليه وسلم لايقعد إلا بمقدار ما يقول: اللهم أنت السلام ومنك السلام تباركت يا ذا الجلال والإكرام»
সারমর্মঃ
ফরজ নামাজ আদায়ের পর সুন্নাত আদায় করা থেকে দেড়ি করা মাকরুহ।
তবে اللهم أنت السلام ومنك السلام تباركت يا ذا الجلال والإكرام»
পড়া সমপরিমাণ দেড়ি করা যাবে।
ইমাম হালওয়ানি রহঃ বলে দেড়ি করাতে কোনো সমস্যা নেই।
ইমাম হালবি রহঃ বলেন এখানে মাকরুহে তানযিহি উদ্দেশ্য নেওয়া হলে কোনো মতবিরোধ থাকবেনা।