আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
118 views
in সালাত(Prayer) by (56 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম
১. আমার এক আত্মীয় ঢাকা থাকে বাড়িতে ঈদের সময় মাঝে মাঝে আসে আবার কোন ঈদে আসেও না। সে ১৫ দিনের কম থাকার নিয়তে এসেছিলো তখন আমি তাকে কসর করতে বলি। এখন মনে হচ্ছে তার কসর করা ঠিক হয় নি যেহেতু এটা তার আসল বাড়ি। আমি তাকে ভুল বলেছি এখন কি করতে পারি?

২. কাউকে আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ওবারাকাতুহ বললে তিনি এর এর উত্তর দিতে সক্ষম না হোন তাহলে এতে কি আমার গুনাহ হবার সম্ভাবনা থাকে কিংবা আমার সম্পুর্ন বলাটা কি অনুচিত??

৩. প্রস্রাব শেষে টিস্যু দিয়ে ভালোমত নাপাকি পরিষ্কার করার পর পানি ব্যবহার করি। এখন যেই পানি ব্যবহার করি সেটা কাপড়ে পড়লে কি কাপড় নাপাক? আর মাটিতে পড়লে মাটি থেকে ড্রপ খেয়ে পায়ে আসলে পা কি নাপাক?

৪. তারপর যদি নাপাক ই হয় তাহলে তো পাক হওয়া সম্ভব না কারন পানি ব্যবহার শেষে কিছু পানি গোপনাঙ্গে থেকে যায় সেটা কাপড়ে তো লাগবেই।  তাহলে তো সেটাও নাপাক।

1 Answer

0 votes
by (547,020 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
শরীয়তের বিধান হলো ওয়াতনে আসলী (স্থায়ী নিবাস) তে এক দিনের জন্য গেলেও পুরো নামাজ পড়তে হবে।

ব্যক্তি নিজের স্থায়ী নিবাসে গেলে কখনো মুসাফির হয়না। স্থায়ী নিবাস বলে এমন স্থানকে-“যেখানে ব্যক্তির বসবাসের জন্য স্থায়ী গৃহ থাকে, স্ত্রী সন্তান নিয়ে যেখানে সর্বদার জন্য থাকার নিবাস হয়”।

শরীয়তের বিধান হলো কোন স্থানে গিয়ে সেখানে যদি কমপক্ষে পনের দিন থাকার নিয়ত না করে, তাহলেও কসর পড়তে হবে। বেশি দিন থাকার নিয়ত করলে কসর করতে পারবে না।

৭৮ কিলোমিটার হল সফরের দূরত্ব। এর কম নয়। সুতরাং কেউ যদি ৭৮ কিলোমিটার দূরত্বের সফরের নিয়তে বের হয় কেবল সেই ব্যক্তি কসর পড়তে পার। এরচে’কম দূরত্বের সফরের জন্য কসর পড়া জায়েজ নয়।

হাদীস শরীফে এসেছে  

سنن أبى داود -صلاة السفر باب متى يقصر المسافر (1 / 465)حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ يَحْيَى بْنِ يَزِيدَ الْهُنَائِىِّ قَالَ سَأَلْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ عَنْ قَصْرِ الصَّلاَةِ فَقَالَ أَنَسٌ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- إِذَا خَرَجَ مَسِيرَةَ ثَلاَثَةِ أَمْيَالٍ أَوْ ثَلاَثَةِ فَرَاسِخَ – شُعْبَةُ شَكَّ – يُصَلِّى رَكْعَتَيْنِ.

সারমর্মঃ যখন তিন ফারছাখ সফরের নিয়ত করে,তাহলে কসরের নামাজ পড়তে পারবে।

★এখানে প্রশ্নে উল্লেখিত আত্মীয়  গ্রামের বাসাকে তিনি স্থায়ীভাবে ত্যাগ করে ঢাকার বাসাকেই নিজ স্থায়ী বাসা হিসেবে নির্ধারন করেছে কিনা?

আর কোনো দিন গ্রামের বাসায় স্থায়ী ভাবে যাওয়ার নিয়ত নেই,এমনটি হয়েছে কিনা?

যদি আর আর কোনো দিন গ্রামের বাসায় স্থায়ী ভাবে যাওয়ার নিয়ত না থাকে,ঢাকার বাসাকেই স্থায়ী ভাবে পরিবার নিয়ে সারাজীবন থাকার নিয়ত করে,

এবং গ্রামের বাড়িতে যদি ১৫ দিনের কম থাকার নিয়ত করে,সেটি যদি সফরের দুরত্বে (৭৮ কিলোমিটার)   হয়,

তাহলে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত আত্মীয় নিজ গ্রামের বাসায় গেলে কসর নামাজ আদায় করবে।

বিস্তারিত জানুনঃ 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: فُرِضَتِ الصَّلَاةُ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ إِلَّا الْمَغْرِبَ فُرِضَتْ ثَلَاثًا لِأَنَّهَا وِتْرٌ، قَالَتْ: ” وَكَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا سَافَرَ صَلَّى الصَّلَاةَ الْأُولَى إِلَّا الْمَغْرِبَ، فَإِذَا أَقَامَ زَادَ مَعَ كُلِّ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ إِلَّا الْمَغْرِبَ، لِأَنَّهَا وَتْرٌ، وَالصُّبْحَ، لِأَنَّهُ يُطَوِّلُ فِيهَا الْقِرَاءَةَ “

হযরত আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রথম প্রথম নামায দুই রাকাত করে ফরজ হয় মাগরিব ছাড়া। কারণ এটি শুরুতেই ছিল তিন রাকাত। কেননা, এটি দিনের বিতির নামায। তিনি আরো বলেন, রাসূল সাঃ যখন সফর করতেন, তখন তিনি দুই রাকাত করেই পড়তেন, মাগরিব ছাড়া। তথা মাগরিব তিন রাকাতই পড়তেন। তার পরবর্তীতে দুই রাকাতের সাথে দুই রাকাত বৃদ্ধি করা হল মাগরিব ছাড়া। কেননা এটি [দিনের] বিতির। আর ফজরের দুই রাকাতের সাথে বৃদ্ধি করা হয়নি, কেননা এতে লম্বা কিরাত পড়া হয়। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২৬২৮২, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-৩০৫, সুনানে সগীর লিলবায়হাকী, হাদীস নং-২৫৫}
,
আর যদি তার গ্রামের বাসা তার স্থায়ী বাসা হিসেবে থাকে,
ঢাকার বাসাকেই স্থায়ী ভাবে পরিবার নিয়ে সারাজীবন থাকার নিয়ত না করে,তাহলে এক্ষেত্রে তিনি কসরের নামাজ আদায় করতে পারবেননা।
,
তাই সেক্ষেত্রে উল্লেখিত আত্মীয়কে অবশ্যই যে নামাজ গুলি কসরের পদ্ধতিতে আদায় করেছিলো,সেগুলো পূর্ণ নামাজ কাজা আদায় করবে।
,
(০২)
এটার উত্তত ছোট করে দিলেও কোনো সমস্যা নেই।
এটি ওয়াজিব কোনো বিধান নয়, তাই এক্ষেত্রে আপনার বা তার কোনো গুনাহ হবেনা।
,
তিনি উত্তর দিতে না পারলেও সম্পূর্ণ সালাম দেওয়া আপনার জন্য অনুচিত নয়।
,
(৩.৪)
সেই পানি নাপাক নয়।
কাপড়ে লাগলে কাপড় নাপাক হবেনা।
,
তবে ইস্তেঞ্জার পানি মাটিতে পড়লে মাটি থেকে ড্রপ খেয়ে পায়ে আসলে সেই পা ধুয়ে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 145 views
0 votes
1 answer 104 views
...