আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
786 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (22 points)
ফিতরা কখন কাকে এবং কি দিয়ে আদায় করতে হবে?
একটু জানতে চাচ্ছিলাম।
টাকা দিয়ে দিলে নাকি হবে না। সঠিক জানালে উপকৃত হতাম।

জাযাকাল্লাহ খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (709,320 points)
বিসমিহি তা'আলা 
জবাব, 
ফিতরা কার উপর ওয়াজিব ?
 وهي واجبة على الحر المسلم المالك لمقدار النصاب فاضلا عن حوائجه الأصلية كذا في الاختيار شرح المختار، ولا يعتبر فيه وصف النماء ويتعلق بهذا النصاب وجوب الأضحية، ووجوب نفقة الأقارب هكذا في فتاوى قاضي خان. 
ভাবার্থ নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যয়ভার ব্যতীত প্রত্যেক নেসাব (৭.৫ ভড়ি স্বর্ণ/৫২.৫ ভড়ি রূপা বা রূপার সমমূল্য) পরিমাণ মালের মালিক স্বাধীন মুসলমানের উপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব। এক্ষেত্রে বাড়ন্ত মাল হওয়া জরুরী নয়।শুধু তাই নয়, বরং এ পরিমাণ মালের মালিকের উপর কোরবানী ও নিকটাত্মীয়দের ব্যয়ভার গ্রহণ ওয়াজিব।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৯২) 

নাবালক সন্তানের মাল থাকলে, নাবালক সন্তানের উপর সদকায়ে ফিতির ওয়াজিব হবে। তার অভিভাবক তার মাল থেকে সদকায়ে ফিতির আদায় করবে। হ্যা, অভিভাবক নিজ মাল থেকেও আদায় করতে পারবে। তবে যদি নাবালক সন্তানের মাল না থাকে, তাহলে তার পিতার উপর সদকায়ে ফিতির ওয়াজিব হবে, যদি পিতা নেসাব পরিমাণ মালের মালিক থাকে, নতুবা ওয়াজিব হবে না। কিন্তু মা নেসাব পরিমাণ মালের মালিক হলে, মায়ের উপর ওয়াজিব হবে না।হ্যা, তিনি চাইলে নিজ পক্ষ্য থেকে আদায় করতে পারবেন।
لما فی الفتاوی الشامیة:
"(على كل) حر (مسلم) ولو صغيراً مجنوناً، حتى لو لم يخرجها وليهما وجب الأداء بعد البلوغ (ذي نصاب فاضل عن حاجته الأصلية) كدينه وحوائج عياله (وإن لم يتم) كما مر. 
(قوله: ولو صغيراً مجنوناً) في بعض النسخ: أو مجنونا بالعطف بأو وفي بعضها بالواو، وهذا لو كان لهما مال، قال في البدائع.
وأما العقل والبلوغ فليسا من شرائط الوجوب في قول أبي حنيفة وأبي يوسف، حتى تجب على الصبي والمجنون إذا كان لهما مال ويخرجها الولي من مالهما، وقال محمد وزفر: لاتجب فيضمنها الأب والوصي لو أدياها من مالهما اهـ وكما تجب فطرتهما تجب فطرة رقيقهما من مالهما، كما في الهندية والبحر عن الظهيرية. (قوله: حتى لو لم يخرجها وليهما) أي من مالهما. ففي البدائع أن الصبي الغني إذا لم يخرج وليه عنه فعلى أصل أبي حنيفة وأبي يوسف أنه يلزمه الأداء؛ لأنه يقدر عليه بعد البلوغ. اهـ.قلت: فلو كانا فقيرين لم تجب عليهما بل على من يمونهما كما يأتي. والظاهر أنه لو لم يؤدها عنهما من ماله لا يلزمهما الأداء بعد البلوغ والإفاقة لعدم الوجوب عليهما". 
(کتاب الزکوۃ باب صدقۃ الفطر ج نمبر ۲ ص نمبر ۳۵۹،ایچ ایم سعید)

কোন কোন জিনিষ দ্বারা সদকায়ে ফিতির আদায় করা যাবে ?
 وإنما تجب صدقة الفطر من أربعة أشياء من الحنطة والشعير والتمر والزبيب كذا في خزانة المفتين وشرح الطحاوي وهي نصف صاع من بر أو صاع من شعير أو تمر، ودقيق الحنطة والشعير وسويقهما مثلهما والخبز لا يجوز إلا باعتبار القيمة، وهو الأصح، وأما الزبيب فقد ذكر في الجامع الصغير نصف صاع عند أبي حنيفة - رحمه الله تعالى -؛ لأنه يؤكل بجميع أجزائه وروي عن أبي حنيفة - رحمه الله تعالى - صاع، وهو قولهما 
চারটি জিনিষ দ্বারা সদকায়ে ফিতির আদায় করা যায়, (১)গম(২)যব(৩)খেজুর(৪)কিসমিস। (পরিমাণঃ) গম হলে আধা সা'(=১.৬৫০গ্রাম) যব বা খেজুর হলে এক সা'(=৩.৩০০গ্রাম) গম বা যবের সাতু হলে পূর্ণ গম বা যবের পরিমাপের মতই। তবে রুটি হলে এক্ষেত্রে পরিমাপ গ্রহণযোগ্য হবে না বরং মূল্য হিসেবেই দিতে হবে।এটাই বিশুদ্ধ মত। কিসমিস সম্পর্কে ইমাম আবু হানিফা রাহ থেকে এক বর্ণনা মতে আধা সা',কেননা তাকে সমূলে একবারেই মূখে দিয়ে আহার করা হয়।এবং ভিন্ন এক বর্ণনায় এক সা'র উল্লেখ পাওয়া যায় যা সাহেবাইনের মত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৯২)

ফিতরা কি দিয়ে আদায় করতে হবে ? মাল দ্বারা না মূল্য দ্বারা ?
 ثم قيل يجوز أداؤه باعتبار العين والأحوط أن يراعى فيه القيمة هكذا في محيط السرخسي. ثم الدقيق أولى من البر، والدراهم أولى من الدقيق لدفع الحاجة، وما سواه من الحبوب لا يجوز إلا بالقيمة وذكر في الفتاوى أن أداء القيمة أفضل من عين المنصوص عليه وعليه الفتوى كذا في الجوهرة النيرة 
কেউ বলেন মূল জিনিষ দ্বারা আদায় করা জায়েয।তবে উত্তম হল তাতে মূল্য দিয়ে দেওয়া। গমের সাতু গম থেকে উত্তম। দিরহাম সাতু অপেক্ষা উত্তম, কেননা দিরহাম দ্বারা সকল প্রকার প্রয়োজন পূর্ণ করা যায়।উপরোল্লিখিত দ্রব্যাদি ব্যতীত অন্যান্য দ্রব্যাদি দ্বারা ফিতরা আদায় করতে হলে এক্ষেত্রে মূল্যকে মানদন্ড হিসেবে ধরে নিতে হবে। বর্ণিত রয়েছে, হাদীসে উল্লেখিত দ্রব্যাদি আদায় করার চেয়ে সেইসব দ্রব্যাদির মূল্য আদায় করাই উত্তম।এবং এটার উপরই ফাতাওয়া।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৯২) 

ফিতরা কখন আদায় করতে হবে ?
 وَإِنْ قَدَّمُوهَا عَلَى يَوْمِ الْفِطْرِ جَازَ، 
 ঈদের দিন সকাল ফিতরা ওয়াজিব হয়। ঈদের দিনের পূর্বে ফিতরা দিয়ে দিলে তা আদায় হবে । ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৯২ ঈদের সালাতের পূর্বে ফিতরা দেয়া মুস্তাহাব।তবে পরে দিলেও আদায় হবে।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-০৯/৬৩৯)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...