আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
217 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

প্রশ্নসমূহ:

১) ইচ্ছাকৃত ভাবে জামায়াত ছেড়ে দেয়ার কারণে কি ছ্বলাতের কোনো প্রকার সমস্যা হবে..??

২) কোনো পুরুষের যদি শৈশব কালে মা-বাবা অঙ্গতাবসত কানের ছিদ্র করে কানের দুল পড়িয়ে দেয়, এবং পরবর্তীতে ঐ কানের দুল ব্যাবহার না করলেও কি তিনি মসজিদের প্রথম কাতারে দাঁড়নোতে কোনো প্রকার সমস্যা হবে..??

৩) বাবাকে বিয়ের ব্যাপারে বলার জন্য সরিয়াহ সম্মত পদ্বতি কি..??

৪) বিতির নামাজে দোয়া কুনূত পড়া কি ওয়াজিব এবং কেন..??

৫) বাবা-মা যদি কোনো  প্রকার বড় ধরনের ভুল(কবিরা গুনাহ) করেন তাহলে তাদের সাথে সন্তানের করণীয় কি..?

৬) ইতিকাফের সময় প্রয়োজন ছাড়া কথা বলা জায়েজ নয় কেন..?? হাদিসের আলোকে জানতে চাই।

1 Answer

0 votes
by (714,440 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
জামাতে সাথে নামায আদায় করা সুন্নাতে মু'আক্কাদা।প্রায় ওয়াজিবের নিকটবর্তী।সুন্নাতে মু'আক্কাদা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন...https://www.ifatwa.info/400
জামাত ত্যাগ সম্পর্কে চমৎকার একটি আলোচনা, মনোযোগ সহকারে শুনুন।
لأن الصلاة بالجماعة ألحقت بالفرائض، ولهذا لو ترك أهل بلدة الصلاة بجماعة قوتلوا عليهم بالسلاح، كما لو تركوا فرضاً من الفرائض، وقد صح أن رجلاً سأل ابن عباس عن رجل يصوم النهار ويقوم بالليل ولا يحضر الجماعات، فقال ابن عباس: هو في النار، فاختلف إليه ذلك الرجل شهراً، وكان سأله، فكان يقول: هو في النار.
জামাতের সাথে নামায আদায় করা ফরাঈয সমূহের মধ্য থেকে একটি।তথা সুন্নাতে মু'আক্কাদা।এজন্য যদি কোনো এলাকাবাসী জামাতের সাথে নামাযকে পরিত্যাগ করে ফেলে তাহলে তাদের সাথে তরবানী দ্বারা জিহাদ করা অন্যসব মুসলমানদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। যেমন অন্যান্য ফরয তরক করলে জিহাদের বিধান চলে আসে।সহীহ সনদে বর্ণিত রয়েছে,একদা একব্যক্তি হযরত ইবনে আব্বাস রাযি. কে এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করল যে,কিনা সর্বদা দিনে রোজা রাখে এবং রাত্রে নফল ইবাদতে ব্যস্ত থাকে,কিন্তু ঘরে নামায পড়ে।মসজিদে যায় না।তখন ইবনে আব্বাস রাযি. বললেন,ঐ ব্যক্তি জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে।এক মাসব্যাপী ঐ ব্যক্তি ইবনে আব্বাস রাযি. এর কাছে মুরাজা'আহ করার পরও শেষ পর্যন্ত ইবনে আব্বাস রাযি. উনার বক্তব্যর উপর অটল থাকলেন।(আল-মুহিতুল বুরহানী- ৮/৩১১)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/449

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কেউ যদি ইচ্ছা করে জামায়াত ত্যাগ করে বাড়িতে নামাজ পড়ে নেয়,তাহলে সুন্নত তরকের গোনাহ হলেও তার নামাজ হয়ে যাবে।আল্লাহ কার ইবাদত কখন কবুল করবেন সেটা বলা যায় না।বাড়িতে পড়লে তার জন্য উচিৎ জামাতে নামায পড়া,তাহলে সওয়াবে তারতম্য হলেও জামাতের সুন্নত আদায় হয়ে যাবে।বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/1365

(২) না সমস্য হবে না। কেননা তাওবাহ মানুষের সবকিছুকে ক্ষমা করে দেয়।এমনকি কুফরি থেকে তাওবাহ করলেও সেই তাওবাহকে কবুল করে নেয়া হয়। 

(৩) বাবাকে সরাসরি বিয়ের কথা বলা যাবে। তবে নিজ বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয়স্বজনের মাধমে বলানো চক্ষু লজ্জার জন্য উচিৎ পদক্ষেপ হবে। 

(৪) বিতির নামাযে দুআয়ে কুনুত পড়া ওয়াজিব। রাসূলুল্লাহ সা তাগিদ সহকারে করেছেন, সেজন্য ওয়াজিব। 

(৫)বাবা-মা যদি কোনো প্রকার বড় ধরনের ভুল(কবিরা গুনাহ) করেন তাহলে তাদের সাথে সন্তানের করণীয় হল, মাতাপিতাকে হেকমতের সাথে বুঝানো। তবে এজন্য মাতাপিতার সাথে কোনো ধরণের খারাপ আচরণ করা যাবে না। 

(৬) জায়েয নয় কেন? সেটা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ই ভালো জানেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করে গেছেন, অনর্থক ও বেহুদা কাজ না করতে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (714,440 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 141 views
0 votes
1 answer 143 views
...