আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
328 views
in সালাত(Prayer) by (36 points)
edited by
১।আমি মুয়াজ্জিন না। আমি ৪ ওয়াক্ত আজান দেই ৫ম ওয়াক্ত আজান দেওয়ার নিয়ত করি।একজন আজান দিতে চাইলেন প্রথমে আমি বললাম ৫ ওয়াক্ত আজান দেওয়ার নিয়ত করেছি।তারপর তাকে আবার জিজ্ঞেস করলে তিনি আজান দিতে ইচ্ছে প্রকাশ করেন তখন তিনি আজান দেন।এখন আমার করণীয় কি?5 ওয়াক্ত আজান কি আমার পূরন করা লাগবে.....  যদিও এখন ৫ ওয়াক্ত আজান দেওয়ার সুযোগ কম..

২।আমি চাই ফজরের আজান দিতে যে কারণে একটু আগে মসজিদে যাওয়ার প্রয়োজন। কিন্তু আমার মা চান আমি যেন আজানের পরে মসজিদে যাই এ ক্ষেত্রে আমার করণীয় কি এটা কি অবাধ্যতা?

৩।আমার মা চান আমি ফজরের নামাজ মসজিদে না গিয়ে ঘরে আাদায় করি এ ক্ষেত্রে আমার করণীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
মুয়াজ্জিন তথা যিনি আযান দেন,তার অনেক ফজিলত।

 হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ النَّمَرِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُوسَى بْنِ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أَبِي يَحْيَى، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم قَالَ " الْمُؤَذِّنُ يُغْفَرُ لَهُ مَدَى صَوْتِهِ وَيَشْهَدُ لَهُ كُلُّ رَطْبٍ وَيَابِسٍ وَشَاهِدُ الصَّلَاةِ يُكْتَبُ لَهُ خَمْسٌ وَعِشْرُونَ صَلَاةً وَيُكَفَّرُ عَنْهُ مَا بَيْنَهُمَا "

হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, হজরত মুহাম্মদ সা. এরশাদ করেছেন, মুয়াজ্জিনের গুনাহ ওই পর্যন্ত মাফ করে দেয়া হয়, যে পর্যন্ত তার আজানের আওয়াজ পৌঁছে। (অর্থাৎ যদি এত দূর পর্যন্ত জায়গা তার গুনাহ দ্বারা পূর্ণ হয় তবুও তার সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।) প্রত্যেক প্রাণী ও নিষ্প্রাণ যারা মুয়াজ্জিনের আজান শুনতে পাবে, সবাই তার জন্য সাক্ষ্য দেবে। মুয়াজ্জিনের আজান শুনে যারা নামাজ পড়তে আসে, তাদের সওয়াব ২৫ গুণ বৃদ্ধি করে দেয়া হয়। এক নামাজ থেকে গত নামাজের মধ্যবর্তী সময়ের সব গোনাহ মাফ করে দেয়া হয়। – আবু দাউদ শরিফ: ৫১৫,নাসায়ী (অধ্যায়ঃ ইমাম, অনুঃ আযানের সময় আওয়াজ উঁচু করা, হাঃ ৬৪৩) ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ অনুঃ আযানের ফাযীলাত ও সাওয়াব, হাঃ ৭২৪), আহমাদ (৯২/২৬৬), ইবনু খুযাইমাহ (৩৯০) 

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সা. এরশাদ করেছেন, যে স্থান পর্যন্ত মুয়াজ্জিনের আওয়াজ পৌঁছে, সে স্থান পর্যন্ত তার মাগফেরাত করে দেয়া হয়। প্রত্যেক প্রাণী এবং নিষ্প্রাণ বস্তু যারাই তার আওয়াজ শুনে সবাই তার জন্য মাগফেফরাতের দোয়া করে। – মুসনাদে আহমদ, তাবরানী, মাজমায়ে জাওয়ায়েদ

হযরত বারা ইবনে আযিব রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সা. এরশাদ করেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা এবং তাঁর ফেরেশতারা প্রথম কাতারে নামাজ আদায়কারীদের ওপর রহমত নাজিল করেন। মুয়াজ্জিনের আজানের ধ্বনি যত বেশি হয় সে অনুযায়ী তার গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। যেসব প্রাণী এবং নিষ্প্রাণ বস্তু তার আওয়াজ শুনতে পায়, সবাই তার সত্যতার সাক্ষ্য দেয়। মুয়াজ্জিন সেসব নামাজির সমপরিমাণ সওয়াব লাভ করেন, যারা তার সঙ্গে জামাতে নামাজ আদায় করেন। – নাসাঈ শরিফ:২৫৪


হযরত মুয়াবিয়া রা. থেকে বর্ণিত, হজরত মুহাম্মদ সা. বলেছেন, কেয়ামতের দিন মুয়াজ্জিনরা সর্বাপেক্ষা দীর্ঘ ঘাড় বিশিষ্ট হবেন। – সহিহ মুসলিম

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত; নবী করীম সা. এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি বারো বছর আজান দিয়েছে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে গেছে। তার জন্য প্রত্যেক আজানের বিনিময়ে ষাট নেকি লেখা হয় এবং প্রত্যেক একামতের বিনিময়ে ত্রিশ নেকি লেখা হয়। – মুসতাদরাকে হাকেম
,
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত কাজটি অনেই দামী কাজ।
আপনি অনেক ছওয়াব পাবেন,ইনশাআল্লাহ। 
,
না আপনার ৫ম ওয়াক্তের আযান পূরন করতে হবেনা।
৪ ওয়াক্তের আযান দেওয়ার ছওয়াব আপনি পাবেন।
,
(০২)
এক্ষেত্রে আপনার মায়ের কথা শোনা শরীয়ত বহির্ভূত  নয়।
তাই আপনি শুনতে পারেন।
আর বাসার বিশেষ প্রয়োজন না হলে আপনি আযান দেওয়ার জন্য গেলে সেটি অবাধ্যতা হবেনা।
,
(০৩)
আপনি মসজিদে গিয়েই আদায় করবেন।
এক্ষেত্রে উক্ত আদেশ মানা আপনার জন্য জরুরি নয়।
বরং তাহা কোনোভাবেই মানা যাবেনা।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 2,498 views
0 votes
1 answer 132 views
asked Aug 15, 2021 in সালাত(Prayer) by Sadia (42 points)
...