আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
243 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (26 points)
edited by
১/ আমার মা একজন ডাক্তার। নারীদের পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সকল চিকিৎসা( mr,dnc,পিল খেয়ে জন্ম নিয়ন্ত্রণ) তিনি করতে পারেন।যেহেতু এগুলো কখনো বৈধ আবার বিনা কারণে অবৈধ।আমি জানিনা যে আমার মা এগুলো সব বিস্তারিত জেনে তারপর চিকিৎসা দেয় না না জেনে দেয়।যেহেতু তিনি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।তাই আমার ধারণা যে তিনি সব বিস্তারিত ভাবে না জেনে (যেমনঃ একজন রোগী আসলে তার জন্য এখন এই চিকিৎসা বৈধ/ অবৈধ)চিকিৎসা দেন।  তাই এতে কী তিনি গুনাহগার হবেন।

২/ তার উপার্জিত অর্থেট ১৫%এর বেশি এই পন্থা থেকে আসে না।এখান থেকে আমার খরচ করতে হয়।আমি এখন কীভাবে এটা খরচ করব।খরচ না নিয়েও চলা যায় না।আমি যদি এখান থেকে খরচ করে যখন উপার্জনক্ষম হব তখন সদকা করার নিয়তে ব্যবহার করি তাহলে কী আমি গুনাহ থেকে বাচতে পারব।আমার মার জন্য কী করণীয় হবে।যদিও তাকে বলেছি যে এগুলো লরা ঠিক নাা।সে আমাকে বলেছে করবে না।তারপরেও সন্দেহ আছে।

৩/ আমার বাবা মা এক দরবারে যায়। তারা আমাকে বলে আমি যদি তাদের মতো সেখানে না যাই তাহলে আমি বিপদগামী হয়ে যাব।এখন আমার করণীয় কী হবে।আমি না জেনে জন্মের পর থেকে ১৪ বছর সেখোনে গিয়েছি।এখন তাদের কাজকমে আমাট অনেক সন্দেহ আছে।তাই আমি তাদের কোনো তরিকা অনুসরণ করি না।এখন আমি কী করব।

৪/ বাবা মার কথা না শুনলে তারা অনেক খারাপ ব্যবহার করে।

আমার উল্টা তাদের সাথেও কী এমন আচরণ করব।

৫/ মিলাদ পড়া, ইদে মিলাদুন্নবি করা কী জায়েজ।বর্তমানে বহুল প্রচলিত যে" সৃষ্টিকুলের শ্রেষ্ঠ ঈদ, দয়াল রাসুলের জন্ম দিন"( মিলাদুন্নবি।)  এটি কী শরীয়াসম্মত।

৬/ হস্তমৈথুন ব্যতীত উত্তেজনা বশত বীর্যপাত হলে কী গোসল ফরজ।না ওজু। সেই বীর্য জামায় লাগলে কীভাবে পরিষ্কার করে।

৭/ প্রসাব করার পর ২ বার পানি নিয়ে টিসু দিয়ে মুছার পর কিছুটা টিসু লজ্জাস্থানে লেগে যায়। পরবর্তীতে যখন খেয়াল করি তখন তা উঠিয়ে ফেলে দেই।এখন কাপড় কী নাপাক ছিল।যেহেতু ২ বার ধোয়ার পর টিসু ব্যবহার করেছি।ঐ কাপড় নিয়ে যেখানে বসেছি ঐ জায়গা যদিও ভিজেনি তবুও কী জায়গা নাপাক।টিসুর আকার ১ দিরহাম এর অনেক কম।

৮/ হাত পা ধুতে হলে কী ৩ বারই ধুতে হয়।না ১ বারেও ধোয়া যায়।

৯/ গোসল করে শরীরে থাকা পানি যেই তোয়ালে দিয়ে মুছা হয় ঐ তোয়ালে তো ভিজে যায়।সেটা কী শুকিয়ে ব্যবহার করা যাবে।না কী।ধুতে হবে।

১০/ প্রসাব করার পর কী শুধু পানি/ টিসু  যেকোন একটা নিলে হবে।না দুটোই নিতে হবে।

১১/ প্রসা করার পর লজ্জাস্থান ধুয়ে যেই পায়জামা পড়া আছি ঐটা দিয়ে মুছে নিলে কী কাপড় দিয়ে সালাত আদায় করা যাবে।

১২/ যদি সন্দেহ হয় যে এক ফোটা প্রসাব বের হয়েছে।কিন্তু চেক করলে কোনো ভিজা চিহ্ন না থাকে।তাহলে এই সন্দেহ কী নিছক ওয়াসওয়াসা।

১৩/ প্রতি জিনিড কী ৩ বার ধোয়া আবশ্যক।যেমনঃ লজ্জাস্থান।

১৪/ আমার শরীরে নাপাকি লাগার পর যেই জায়গায় লেগেছে ঐ জায়গা ১ বার ধুলাম।তারপর যেই ভিজা থাকে সেটা কী মুছে আনার ২ বার ধুব।নাকি একসাথে ৩ বার ধুয়ে টয়লেট থেকে বের হয়ে এসে ১ টা কাপড় দিয়ে মুছে নিলে হবে।এরপর িঐ কাপড়টি কর আবার ধুতে হবে।

ঘর মুছার সময় ১ বালতি পানিতে ১ টা কাপড় ভিজিয়ে কিছু জায়গা মুছে এনে আবার কী ঐ বালতিতে কাপড় ভিজিয়ে মুছা যাবে।

১৫/ হাতে নাপাকি লাগলে কী ৩ বার ধোয়া আবশ্যক।না ভালোলরে ১ বার ধুলে হয়।

১৬/ গোসলের পর শরীর মুছে তোয়ালে কী ৩ বার ধুতে হবে।না ভিজা তোয়ালে শুকিয়ে নিলে হবে।

১৭/ ফ্লোরে প্রসাব লাগলে সেই প্রসাব কাপড় দিয়ে মুছে নিয়ে ঐ কাপড় কী ৩ বার ধুয়ে এনে আবার মুছা লাগবে।না ১ ধিয়ে এনে মুছা যাবে।

১৮/ নাপাকি পরিষ্কার করতে কী সবকিছু ৩ বার ধোয়া আবশ্যক।যেমনঃ হাত,পা,ফ্লোর,চেয়র,প্লাস্টিক।

আমি হাতে নাপাকি লাগলে ১ বার ভালো করে পানি দিয়ে হাত ধুয়ে নেই।আমাকে কী হাত ৩ বারই ধুতে হবে।

১৯/ ifatwa সাইটে করা প্রশ্ন গুলো delete করে কীভাবে।যেমনঃ আমার করা প্রশ্নগুলো কিছু আমি delwte করতে চাই।আমি কীভাবে করব

২০/ আমার জামাতে সালাত আদায় ফরজ।কিন্তু বাবা মার সাথে এ নুয়ে কয়েক দফা তুমুল ঝগড়া হয়েছে।কিন্তু তারপীেও তারা বলেছে করোনা পরিস্থিতি কমলে তুই প্রতিবেলা মসজিদে যাবি।এ যাবি না। আমি কী করব।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)যে সকল ক্ষেত্রে জন্মনিয়ন্ত্রণ বৈধ,সেকল ক্ষেত্রে উনার জন্য চিকিৎসা প্রদান জায়েয ও বৈধ।আর যে সকল ক্ষেত্রে জন্মনিয়ন্ত্রণের অনুমোদন শরীয়তে  নাই,সেসকল ক্ষেত্রে আপনার আম্মুর জন্য চিকিৎসা প্রদান জায়েয হবে না।এমন নাজায়েয কাজে সহযোগিতা করার দরুণ আপনার আম্মুর অবশ্যই গোনাহ হবে।যেহেতু তিনি প্রতিষ্টানে চাকুরী করেন,যেখানে হালাল হারামের কোনো তোয়াক্কা করা হবে না,তাই উনার জন্য এমন চাকুরী গ্রহণ না করাই শ্রেয়। 

(২)যদি আপনার নিজস্ব কোনো টাকা পয়সা না থাকে, এবং আপনার আব্বুর বা ভাইয়ের হালাল কোনো ইনকাম না থাকে,তাহলে আপনি ভবিষ্যতে সদকাহ করার নিয়ত রেখে আপাতত হিসেব করে করে আপনার আম্মুর কাছ থেকে অতি প্রয়োজনিয় খরচ গ্রহণ করতে পারবেন।

(৩)আপনি ঐ সমস্ত দরবার থেকে যথাসম্ভব নিজেকে অনেক দূরে রাখবেন।

(৪)চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ 'আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায়' রয়েছে,
" ﻃﺎﻋﺔ ﺍﻟﻤﺨﻠﻮﻗﻴﻦ - ﻣﻤّﻦ ﺗﺠﺐ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ – ﻛﺎﻟﻮﺍﻟﺪﻳﻦ ، ﻭﺍﻟﺰّﻭﺝ ، ﻭﻭﻻﺓ ﺍﻷﻣﺮ : ﻓﺈﻥّ ﻭﺟﻮﺏ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ ﻣﻘﻴّﺪ ﺑﺄﻥ ﻻ ﻳﻜﻮﻥ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ، ﺇﺫ ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻟﻤﺨﻠﻮﻕ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺍﻟﺨﺎﻟﻖ " ﺍﻧﺘﻬﻰ
যাদের আদেশ-নিষেধ এর অনুসরণ শরীয়ত কর্তৃক ওয়াজিব।যেমন-মাতাপিতা,স্বামী,সরকারী বিধিনিষেধ,এর অনুসরণ ওয়াজিব।
এ হুকুম ব্যাপক হারে প্রযোজ্য হবে না বরং ঐ সময়-ই প্রযোজ্য হবে যখন তা গুনাহের কাজ হবে না।কেননা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত রয়েছে আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।(২৮/৩২৭) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1722

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার মাতাপিতা আপনার সাথে যতই মন্দ আচরণ করুক না কেন? আপনি সর্বদা তাদের সাথে ভালো ও উত্তম ব্যবহার করবেন।

(৫)ঈদে মিলাদুন্নবী বিদ'আত।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/4952

(৬)হস্তমৈথুন ব্যতীত উত্তেজনা বশত বীর্যপাত হলেও গোসল করা ফরজ।জামায় লাগলে সেই জামাকে ধৌত করতে হবে।আর শুকিয়ে কাপড় থেকে উঠে গেলে, কাপড় এমনিতেই পবিত্র হয়ে যাবে,তখন আর ধৌত করতে হবে না।

(৭) যেহেতু আপনি লজ্জাস্থানকে পানি দ্বারা ধৌত করে নিয়েছেন, এবং তারপর টিস্যু ব্যবহার করেছেন, তাই এটাই বুঝা যাবে যে, আপনার টিস্যুতে প্রস্রাব লেগে ভিজেনি, সুতরাং গোপনাঙ্গে টিস্যু আটকে যাওয়ার দরুণ উক্ত টিস্যু নাপাক হবে না, এবং আপনার কাপড়ও নাপাক হবে না। এবং যেখানে ঐ টিস্যু লাগবে, সে জায়গাও নাপাক হবে না। 

(৮) হাত পা ধৌত করতে হলে তিনবার ধৌত করা শর্ত নয়। বরং একেবারে যদি তাতে পানি পৌছে যায়, তাহলে আপনার ধৌত করার দায়িত্ব আদায় হয়ে যাবে। 

(৯) গোসল করার পর যেই তোয়ালে দ্বারা পানিকে মুছা হয়ে থাকে, সেই তোয়ালে এদ্বারা নাপাক হয় না, তবে ধৌত করে ব্যবহার করাই উত্তম। 

(১০)  শুধু পানি ব্যবহার করলে কি হবে,নাকি ঢেলাও ব্যবহার করতে হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/3900

(১১) প্রসাব করার পর লজ্জাস্থান ধুয়ে যেই পায়জামা গায়ে থাকবে, সেই পায়জামা দ্বারা যদি কেউ লজ্জস্থান মুছে নেয়, তাহলে সেই পায়জামা দ্বারা নামায হবে। 

(১২) যদি সন্দেহ হয় যে এক ফোটা প্রসাব বের হয়েছে।কিন্তু চেক করলে কোনো ভিজা চিহ্ন দেখা না যায়, তাহলে এদ্বারা পবিত্রতায় কোনো সমস্যা হবে না। বরং এটাকে নিছক ওয়াসওয়াসা ভাবা হবে। 

(১৩) লজ্জস্থান তিনবার ধৌত করা শর্ত নয়, বরং পরিস্কার করাই শর্ত। যখন ইয়াকিন বিশ্বাস জন্মে যাবে যে, লজ্জস্থানে কিছু অবশিষ্ট নাই, তখন পবিত্রতা অর্জন হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হবে। 

(১৪)অদৃশ্যমান নাজাসত কে তিনবার ধৌত করতে হয়, আর দৃশ্যমান নাজাসত সম্পর্কে যখন ধারণা জন্মিবে যে, আর নাজাসত বাকী নেই, তখন শরীর পবিত্র হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হবে, যেই কাপড় দ্বারা মুছা হবে, সেই কাপড়কে আবার ধৌত করার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই। 

(১৫) ভালভাবে একবার ধৌত করে নিলেই হবে। 

(১৬) ভিজা তোয়ালে শুকিয়ে নিলেই হবে।

(১৭) ১ বার ধৌত করলেই হবে। 

(১৮) অদৃশ্যমান নাজাসত কাপড়ে লাগলে তিনবার ধৌত করতে হয়, এছাড়া অন্যকিছূতে লাগলে একবার ধৌত করলেই হবে। আর দৃশ্যমান নাজাসতকে দূর করে নিলেই পবিত্রতা অর্জন হয়ে যায়। 

(১৯) ডিলেট কেন করবেন। এ প্রশ্নোত্তরগুলো আরো অনেকে পড়তে পারবে, এবং তারা নতুন কিছু জানতে পারবে। এতে সবারই উপকার হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
–1
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...