আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
89 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
edited by
১/ কানে নাপাকি চলে গেছে।গোসলের সময় যথাসম্ভব হাত দিয়ে কানের ভেতরাংশে পানি পৌছানের চেষ্টা করেছি।এখন এরনপর যদি কোনো ময়লা যা কান থেকে বের হবে তা কী নাপাক হবে নাকি পাক হবে।কানে নাপাকি গিয়েছিল।।এটা কী পাক  করার সহিহ নিয়ম।

২/ আমি কান উক্ত ১ নং পদ্ধতিতে করার পর কানে হাত দিয়ে ভিজা অনুভুত হলে সেটা কী নাপাক ধরব.

৭/ সহবাসের কী দোয়া আছে।

৮/ টয়লেটে গিয়ে যদি প্রথমে নিজের  হাত ভিজিয়ে তারপর সেই ভিজা  হাত কানে ঢুকিয়ে যতটুকুসম্ভব কানে চারপাশ হাত দিয়ে ভিজানের চেষ্টা করি।এভাবে ৩ বার চেষ্টা করার পর কী পবিত্র হবে কান।কানে তরল নাপাকি ছিল।

৯/ এরপর কোনোদিন কান যদি ভিজে যায় বা কান থেকে পানি জাতীয় বা ভিজা জাতীয় ময়লা বের হয় তা কী নাপাক হবে

১০/ নাকের সর্দি বা হিগুন কী নাপাক।ঠান্ডা লাগলে যা বের হয়।

১১/ ৪ মাজহাব ছাড়া কী আর মাজহাব আছে
মুফতি ইমদাদুল হক। জানাবেন।

1 Answer

0 votes
by (721,400 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
কানে নাপাকি চলে গেছে, তারপর কানের ভিতর পানি ঢুকিয়ে ধৌত করে নিলেই কান পবিত্র হয়ে যাবে।

(২)
কান ধৌত করার পর যদি কানকে কেউ স্পর্শ করে, তাহলে হাত নাপাক হবে না।

(৭)
আল্লাহুম্মা জান্নিবিশ শাইত্বানা ওয়া জান্নিবিশ শাইতানা আ'লা মা রাযাক্বতানা।

(৮)
জ্বী, পবিত্র হবে।

(৯)
না, নাপাক হবে না।

(১০)
না, নাপাক নয়।


(১১)
জ্বী, আছে।তবে প্রসিদ্ধ ও গ্রহণযোগ্য হল, এই চারটি মাযহাব।

ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ  ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."
তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!
তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন। (মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...