আসসালামুয়ায়ালাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ্।
তালাকে কেনায়া সম্পর্কে জানতে চাই।
আমাদের মনোমালিণ্য চলাবস্থায়, আমরা দুজন ঝগড়া করা অবস্থায় আমার স্বামী কিছু কথা বলেছিলেন----
[১]
একদিন বলে ফেলেছেন--- আমারো সংসার থেকে রুচি উঠে গেছে। কিভাবে শেষ করবা কর। তোমার পরিবার নিয়ে বস, কখন বসবা, বস। ( এটা রাগে বিরক্ত হয়ে বলেছেন)
[২]
আরেকদিন বলেছেন-- তুমি হয় আজকের মধ্যে আসবা, আর নাহয় আমাকে ছাড়বা, আর না হয় আমি ছাড়ব। আজকে যদি না আস, তাহলে আজকেই শেষ মনে কর।
(এই কথাগুলো বলেছিলেন সকাল বেলা, সেদিন রাতের বেলা আমাদের ফোনে কথা হয় ও রাগ ভেঙে যায় এবং সকালে নিতে আসবেন কথা দিয়েছেন। তবে আমি সেদিন সকালে তৈরি হতে দেরি হলে দুপুরবেলা এসেছিলাম। তবে, এই কথাগুলোও খুব রাগ নিয়ে মন থেকে বলেছে।
[৩]
আরেকদিন মেসেজে বলেছেন---"ফি আমানিল্লাহ"। তোমাকে আল্লাহর উপর ছেড়ে দিলাম। তোমার যা মন চায় কর। ( আশা ছেড়ে দিয়ে বলেছিলেন।)
[৪]
আরেকদিন সাধারণ ভাবে বলেছেন যে-- তুমি তোমার জন্য জামাই দেখ। (এটা শান্ত অবস্থায় এমনিতেই বলেছিলেন।)
[৫]
আরেকদিন বলেছেন যে--- এতই যদি ভালো না লাগে সংসার তাহলে বাবার বাড়ি চলে যাও না কেন, আমাকে জানানোর দরকার কি? অনুমতি তো দেয়ায় আছে। (এগুলো বিরক্ত নিয়ে বলেছেন।)
[৬]
আরেকদিন উনি আমাকে বলেছিলেন যে, তোমার যদি ইচ্ছা হয়, তুমি গিয়ে ডিভোর্স দিয়ে দাও। আমারে জানাও কেন।
এটা কয়েকদিন বলেছেন। মানে, আমার সমস্যা হলে যেন আমিই ডিভোর্স দেই, উনাকে দেয়ার কথা না বলি। তারপর একদিন আমি আমার হাসব্যন্ডকে মুখে এটা আমি বলে ফেলেছি যে," তোমাকে আমি তালাক দিলাম, তিন তালাক। "
[৭] উনি আরেকদিন বলেছেন যে, তোমার গার্জিয়ানদের জানাও, তাদের ডাক। এটাও রেগে গিয়ে উত্তেজিত হয়ে বলেছিলেন।
[৮] আরেক দিন বলা হয়েছে যে, তুমি তোমার গার্জিয়ান ডাক। কারে জানাইবা জানাও।
[৯]
অন্য একদিন বলেছেন--- যাও, আজকে থেকে ডিভোর্স। ( ঝগড়া করে খুব রাগ নিয়ে এটা আলাদা থাকার উদ্দেশ্যেই বলেছিলেন, এই কথাটা বছর তিনেক আগে আরো একবার বলেছিলেন, ঝগড়া করেই বলেছিলেন। অর্থাৎ এই কথাটা দুইবার বলা হয়েছে।)
এখন, এই উপরিউক্ত কথাগুলো ইসলামের দৃষ্টিতে বিবেচনাপূর্বক আমাদের সংসারিক হালাত কোন অবস্থায় আছে, তা জানতে চাই।
****