আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
908 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (6 points)
আসসালামুয়ায়ালাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ্।

তালাকে কেনায়া সম্পর্কে জানতে চাই।
আমাদের মনোমালিণ্য চলাবস্থায়,  আমরা দুজন ঝগড়া করা অবস্থায় আমার স্বামী কিছু কথা বলেছিলেন----

[১]
একদিন বলে ফেলেছেন--- আমারো সংসার থেকে রুচি উঠে গেছে। কিভাবে শেষ করবা কর। তোমার পরিবার নিয়ে বস, কখন বসবা, বস। ( এটা রাগে বিরক্ত হয়ে বলেছেন)
[২]
আরেকদিন বলেছেন-- তুমি হয় আজকের মধ্যে আসবা, আর নাহয় আমাকে ছাড়বা, আর না হয় আমি ছাড়ব। আজকে যদি  না আস, তাহলে আজকেই শেষ মনে কর।
(এই কথাগুলো বলেছিলেন সকাল বেলা, সেদিন রাতের বেলা আমাদের ফোনে কথা হয় ও রাগ ভেঙে যায় এবং সকালে নিতে আসবেন কথা দিয়েছেন। তবে আমি সেদিন সকালে তৈরি হতে দেরি হলে দুপুরবেলা এসেছিলাম। তবে, এই কথাগুলোও খুব রাগ নিয়ে মন থেকে বলেছে।

[৩]
আরেকদিন মেসেজে বলেছেন---"ফি আমানিল্লাহ"। তোমাকে আল্লাহর উপর ছেড়ে দিলাম। তোমার যা মন চায় কর। ( আশা  ছেড়ে দিয়ে বলেছিলেন।)

[৪]
আরেকদিন সাধারণ ভাবে বলেছেন যে-- তুমি তোমার জন্য জামাই দেখ। (এটা শান্ত অবস্থায় এমনিতেই বলেছিলেন।)

[৫]
আরেকদিন বলেছেন যে--- এতই যদি ভালো না লাগে সংসার তাহলে বাবার বাড়ি চলে যাও না কেন, আমাকে জানানোর দরকার কি? অনুমতি তো দেয়ায় আছে। (এগুলো বিরক্ত নিয়ে বলেছেন।)

[৬]
আরেকদিন উনি আমাকে বলেছিলেন যে, তোমার যদি ইচ্ছা হয়, তুমি গিয়ে  ডিভোর্স দিয়ে দাও। আমারে জানাও কেন।
এটা কয়েকদিন বলেছেন। মানে, আমার সমস্যা হলে যেন আমিই ডিভোর্স দেই, উনাকে দেয়ার কথা না বলি।  তারপর একদিন আমি আমার হাসব্যন্ডকে মুখে এটা আমি বলে ফেলেছি যে," তোমাকে আমি তালাক দিলাম, তিন তালাক।  "

[৭] উনি আরেকদিন বলেছেন যে, তোমার গার্জিয়ানদের জানাও, তাদের ডাক। এটাও রেগে গিয়ে উত্তেজিত হয়ে বলেছিলেন।
[৮] আরেক দিন বলা হয়েছে যে, তুমি তোমার গার্জিয়ান ডাক। কারে জানাইবা জানাও।
[৯]
অন্য একদিন বলেছেন--- যাও, আজকে থেকে ডিভোর্স। ( ঝগড়া করে খুব রাগ নিয়ে এটা আলাদা থাকার উদ্দেশ্যেই বলেছিলেন, এই কথাটা বছর তিনেক আগে আরো একবার বলেছিলেন, ঝগড়া করেই বলেছিলেন।  অর্থাৎ এই কথাটা দুইবার বলা হয়েছে।)

এখন, এই উপরিউক্ত কথাগুলো ইসলামের দৃষ্টিতে বিবেচনাপূর্বক আমাদের সংসারিক হালাত কোন অবস্থায় আছে, তা জানতে চাই।
****

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
"[৯]অন্য একদিন বলেছেন--- যাও, আজকে থেকে ডিভোর্স। ( ঝগড়া করে খুব রাগ নিয়ে এটা আলাদা থাকার উদ্দেশ্যেই বলেছিলেন, এই কথাটা বছর তিনেক আগে আরো একবার বলেছিলেন, ঝগড়া করেই বলেছিলেন।  অর্থাৎ এই কথাটা দুইবার বলা হয়েছে।)"

এই কথা দ্বারা তালাক পতিত হয়ে গেছে।এখানে নিয়তের কোনো প্রয়োজন নাই।বরং এক তালাক পতিত হয়ে গেছে।কেননা ডিভোর্স শব্দ যদিও কেনায়ার অন্তর্ভুক্ত তবে ব্যাপক প্রচলের কারণে উক্ত শব্দকে তালাক শব্দের স্থলাভিষিক্ত করে ফুকাহায়ে কেরাম তালাকে সরিহ এর হুকুম তার ব্যাপারে প্রযোজ্য করে থাকেন।


"[২]আরেকদিন বলেছেন-- তুমি হয় আজকের মধ্যে আসবা, আর নাহয় আমাকে ছাড়বা, আর না হয় আমি ছাড়ব। আজকে যদি  না আস, তাহলে আজকেই শেষ মনে কর।
(এই কথাগুলো বলেছিলেন সকাল বেলা, সেদিন রাতের বেলা আমাদের ফোনে কথা হয় ও রাগ ভেঙে যায় এবং সকালে নিতে আসবেন কথা দিয়েছেন। তবে আমি সেদিন সকালে তৈরি হতে দেরি হলে দুপুরবেলা এসেছিলাম। তবে, এই কথাগুলোও খুব রাগ নিয়ে মন থেকে বলেছে।"

এই কথা দ্বারা তালাকে কেনায়া পতিত হবে। স্বামীর তালাকের নিয়ত থাকলে তালাক পতিত হবে। আর তালাকের নিয়ত না থাকলে তালাক পতিত হবে না। যদি স্ত্রী তালাকের নিয়ত ছিল বলে ধাবী করে তাহলে স্ত্রীকে প্রমাণ পেশ করতে হবে। যদি স্ত্রী প্রমাণ পেশ করতে না পারে, তাহলে স্বামীকে আল্লাহর নাম নিয়ে কসম করতে বলা হবে, যদি স্বামী আল্লাহর নাম নিয়ে কসম করে ফেলে, তাহলে স্বামীর কথাই গ্রহণযোগ্য হবে। 


তাছাড়া বাদবাকী শব্দাবলী তালাকে কেনায়ার অন্তর্ভুক্ত, স্বামী তালাকের নিয়ত করলে তালাক পতিত হবে।লক্ষ্যণীয় যে স্ত্রী কখনো স্বামীকে তালাক দিতে পারে না।স্ত্রী তালাকের অধিকার প্রাপ্ত হলে,সে নিজে নিজের উপর তালাক দিতে পারবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
[[আজকের মধ্যে আসবা]]
@ এখানে আজকের মধ্যে বলতে আপনারা কি বুঝান? শুধু দিন নাকি দিন রাত মিলিয়ে যে ২৪ ঘন্টা হয় সেটা? জানালে উপকৃত হব।
by (590,550 points)
তালাক বিষয়ে যখন ”আল-ইয়াউম” বা আজ উল্লেখ করা হয়, তখন এদ্বারা দিন এবং রাত কে উদ্দেশ্য নেয়া হয়। 
by (0 points)
প্রশ্নঃ স্ত্রীকে যদি বলে "মনে কর আজকে থেকে ডিভোর্স" এখানে কি তালাক হবে?
বিঃদ্রঃ তালাক দিলাম।  আর মনে কর বা ধরে নাও তালাক। এর মধ্যে কোন তফাৎ আছি কি?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...