আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
237 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (14 points)
১। অযু/গোসল করতে থাকা অবস্থায় বায়ু এলে, আবার প্রথম থেকে অযু/গোসল করা শুরু করতে হবে?

২। বাসর রাতে যে নফল সালাত আদায় করা হয় সেটা কি স্বামীর ইমামতি তে? নাকি আলাদা আলাদাভাবে? ইমামতিতে হলে স্বামী কি উচ্চস্বরে ক্বিরাত পড়বে?

৩। ফরজ নামাজে জামায়াতের সাথে আদায়ে ইমাম যখন উচ্চস্বরে ক্বিরাত পড়েন না (যোহর, আছর সালাতে, মাগরিব ও এশার ৩য়, ৪র্থ রাকাতে) তখন মুক্তাদি কি ক্বিরাত পড়বে?

জাযাকাল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (589,170 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ- 
(১)
আবার নতুনকরে অযু গোসল করবে। এটাই বেশ সতর্কতা। তবে এ সম্পর্কে উলামাদের মতবিরোধ রয়েছে। 

(২)
বাসর রাতে যে নফল সালাত আদায় করা হয় সেটা স্বামীর ইমামতিতে পড়া শর্ত নয়, বরং একা একাও পড়া যাবে, এবং একসাথেও পড়া যাবে। তথা জামাতের সাথেও পড়া যাবে। 

(৩)
উচ্ছস্বরের নামায হোক বা নিম্নস্বরের নামায হোক, কোনো নামাযেই মুক্তাদীর কোন কিরাতই পড়তে হবে না। কারণ ইমামের কিরাতই মুক্তাদীর কিরাত। ইমাম সূরা ফাতিহার পর বাকি সূরা মিলালে যেমন তা মুক্তাদীর পক্ষ থেকে হয়ে যায়, তেমনি সূরা ফাতিহা পড়লেও তা মুক্তাদীর পক্ষ থেকে হয়ে যাবে। মুক্তাদীর আলাদাভাবে সূরা ফাতিহা ও পড়তে হবে না, সেই সাথে অতিরিক্ত সূরাও মিলাতে হবে না।

কারণ তিলাওয়াত করলে পিছনে চুপ থাকার নির্দেশ পবিত্র কুরআনে যেমন এসেছে, তেমনি সহীহ হাদীসেও এসেছে। সেই সাথে ইমামের সকল কিরাতই মুক্তাদীর জন্য যথেষ্ট হয় মর্মে সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।
عَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ كَانَ لَهُ إِمَامٌ، فَقِرَاءَةُ الْإِمَامِ لَهُ قِرَاءَةٌ»
হযরত জাবের রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, যার ইমাম রয়েছে, তার ইমামের কিরাত মানেই হল তার কিরাত। {মুয়াত্তা মালিক, হাদীস নং-১২৪, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৪৬৪৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৮৫০, তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-১২৯৪,মুজামে ইবনুল আরাবী, হাদীস নং-১৭৫৫,সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১২৩৩,মুসন্নাফ আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-২৭৯৭,মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার, হাদীসনং-৩৭৬৪, সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী,হাদীস নং-২৮৯৭, মুসন্নাফ ইবনে আবীশাইবা, হাদীস নং-৩৭৭৯, মুসনাদে আবীহানীফা, হাদীস নং-২৫}

কুরআনে কারীমে এসেছে-
وَإِذَا قُرِئَ الْقُرْآنُ فَاسْتَمِعُوا لَهُ وَأَنصِتُوا لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ [٧:٢٠٤
আর যখন কোরআন পাঠ করা হয়, তখন তা শ্রবণ কর এবং নিশ্চুপ থাক যাতে তোমাদের উপর রহমত হয়। {সূরা আরাফ-২০৪}
কুরআন তিলাওয়াতের সময় দুটি কাজের নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। যথা-
১-  শ্রবণ করা।
২-   নিশ্চুপ থাকা।
সুতরাং মুক্তাদি নামাযে চুপ থেকে ইমামের কিরাত শুনবে। উক্ত আয়াত উচ্ছস্বরের নামাযে মুক্তাদির চুপ থাকার কথা বুঝাচ্ছে, আর উপরের হাদীস উচ্ছস্বর ও নিম্নস্বর উভয় নামাযে মুক্তাদির চুপ থাকার কথা বুঝাচ্ছে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,170 points)
সংযোজন ও সংশোধণ করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 201 views
0 votes
1 answer 114 views
0 votes
1 answer 125 views
...