যদি নামাজি ইক্তেদা করে ইমামের সাথে নামাজের কোনো এক অংশে শরিক হয়ে যায়,যদিও সে শেষ বৈঠকে ইমামের সালাম ফিরানোর পূর্বে জামা'আতে শরিক হোক,সে জামা'আত পেয়েছে বলে গন্য হবে,জামা'আতের ছওয়াবও পাবে।
তবে তাকবিরে উলার সাথে নামাজ আদায় করার যত ছওয়াব,ততটুকু ছওয়াব মিলবেনা।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْحَكَمِ، حَدَّثَهُمْ أَخْبَرَنَا نَافِعُ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي الْعَتَّابِ، وَابْنِ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا جِئْتُمْ إِلَى الصَّلَاةِ وَنَحْنُ سُجُودٌ فَاسْجُدُوا وَلَا تَعُدُّوهَا شَيْئًا وَمَنْ أَدْرَكَ الرَّكْعَةَ فَقَدْ أَدْرَكَ الصَّلَاةَ "
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা সলাতে এসে আমাদেরকে সাজদাহ্ অবস্থায় পেলে সিজদায় চলে যাবে। তবে এ সাজদাহকে (সলাতের রাক‘আত) গণ্য করবে না। যে ব্যক্তি রুকূ‘ পেলো সে সলাত পেয়েছে।
বুখারী (অধ্যায় : আযান, অনুঃ সাতটি অঙ্গে সাজদাহ্ করা, হাঃ ৮০৯), মুসলিম (অধ্যায় : সলাত, অনুঃ সাজদার অঙ্গ সাতটি) আবু দাউদ ৮৮৯।
কিতাবুল ফিকহি আলা মাযাহিবিল আরবা'আতি গ্রন্থের ৩৯৬ নং পৃষ্ঠায় এসেছেঃ
الجماعة إذا شارك المأموم إمامه في جزء من صلاته، ولو آخر القعدة الأخيرة قبل السلام، فلو كبر قبل سلام إمامه فقد أدرك الجماعة، ولو لم يقعد معه، وهذا الحكم متفق عليه بين الحنفية، والحنابلة، والشافعية، إلا أن الشافعية استثنوا من ذلك صلاة الجمعة فقالوا: إنها لاتدرك إلا بإدراك ركعة كاملة مع الإمام
সারমর্মঃ
যদি নামাজি ইক্তেদা করে ইমামের সাথে নামাজের কোনো এক অংশে শরিক হয়ে যায়,যদিও সে শেষ বৈঠকে ইমামের সালাম ফিরানোর পূর্বে জামা'আতে শরিক হোক,সে জামা'আত পেয়েছে বলে গন্য হবে।
এই ব্যাপারে হানাফি,শাফেয়ী, হাম্বলি মাযহাব একমত।
তবে শাফেয়ী রহঃ এর মাযহাবে জুম'আর নামাজের জামা'আত পেতে হলে পূর্ণ এক রাকাত পেতে হবে।
البحرالرائق :
"(قوله: ولم يصل الظهر جماعة بإدراك ركعة)……… بل أدرك فضلها) أي فضل الجماعة؛ لأن من أدرك آخر الشيء فقد أدركه..." (ص۷۵،ج۲طبع سعید)
সারমর্মঃ
উল্লেখিত ব্যাক্তি জামা'আতের ফজিলত পাবে।
কেননা যে কোনো বস্তু শেষ পেয়েছে,সে ঐ বস্তুকে পেয়েছে।
۔
ومذهب مالك: أنه لا يكون مدركاً إلا بإدراك ركعة،
ইমাম মালেক রহঃ এর মাযহাব হলো এক রাকাত না পেলে জামা'আত পাবেনা।
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، . أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ أَدْرَكَ مِنَ الصَّلاَةِ رَكْعَةً فَقَدْ أَدْرَكَ الصَّلاَةَ " .
কুতায়বা (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি সালাতের এক রাক’আত পেল, সে সালাত পেল।
সহিহ, ইবনু মাজাহ হাঃ ১১২২, বুখারি হাঃ ৫৮০, মুসলিম (ইসলামিক সেন্টার) হাঃ ১২৫৯ নাসায়ী ৫৫৪।
এক্ষেত্রে প্রতিবার ধোয়ার পর কোনো আড় বা বাশ ইত্যাদির উপর রেখে দিবেন,যাতে টপকিয়ে পানি পড়া শেষ হয়ে যায়।
নামাজের ভেতর কথা বলা। নামাজে এমন কোনো অর্থবোধক শব্দ করা, যা সাধারণ কথার অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। (হোক সেটা এক অক্ষর বা দুই অক্ষরে ঘটিত) তাহলে নামাজ ভেঙে যাবে। (ফাতাওয়ায়ে শামী ১/৬১৩, আল বাহরুর রায়েক : ২/২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
মুআবিয়াহ ইবনুল হাকাম আস সুলামি (রা.) নওমুসলিম অবস্থায় নামাজে কথা বললে রাসুল (সা.) নামাজের পর তাঁকে বলেন, ‘নামাজের মধ্যে কথাবার্তা ধরনের কিছু বলা যথোচিত নয়। বরং প্রয়োজনবশত তাসবিহ, তাকবির বা কোরআন পাঠ করতে হবে।’ (মুসলিম, হাদিস : ৫৩৭)