জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
রাসুলুল্লাহ সাঃ সহ ছাহাবায়ে কেরামগন রমজান মাসে বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত করতেন।
খতম দিতেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ أَخْبَرَنَا يُونُسُ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ حَدَّثَنِيْ عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَبْدِ اللهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَجْوَدَ النَّاسِ وَكَانَ أَجْوَدُ مَا يَكُوْنُ فِيْ رَمَضَانَ حِيْنَ يَلْقَاهُ جِبْرِيْلُ وَكَانَ جِبْرِيْلُ يَلْقَاهُ فِيْ كُلِّ لَيْلَةٍ مِنْ رَمَضَانَ فَيُدَارِسُهُ الْقُرْآنَ فَلَرَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم حِيْنَ يَلْقَاهُ جِبْرِيْلُ أَجْوَدُ بِالْخَيْرِ مِنْ الرِّيحِ الْمُرْسَلَةِ وَعَنْ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ بِهَذَا الْإِسْنَادِ نَحْوَهُ وَرَوَى أَبُوْ هُرَيْرَةَ وَفَاطِمَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ جِبْرِيْلَ كَانَ يُعَارِضُهُ الْقُرْآنَ
ইবনু ‘আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকেদের মধ্যে সবচেয়ে দানশীল ছিলেন আর রমাযান মাসে যখন জিব্রীল (আঃ) তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন তখন তিনি আরো অধিক দানশীল হয়ে যেতেন। জিব্রীল (রাঃ) রমাযানের প্রতি রাতে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে কুরআন পাঠ করে শুনাতেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে যখন জিব্রাঈল (আঃ) দেখা করতেন, তখন তিনি মানুষের কল্যাণের জন্য পাঠানো বাতাসের চেয়েও বেশি দানশীল হতেন। ‘আবদুল্লাহ (রহ.) হতে বর্ণিত। মা‘মার (রহ.) এ সনদে একই রকম হাদীস বর্ণনা করেছেন আর আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) এবং ফাতেমাহ (রাঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিকট হতে فَيُدَارِسُهُ الْقُرْآنَ -এর স্থলে أَنَّ جِبْرِيْلَ كَانَ يُعَارِضُهُ الْقُرْآنَ বর্ণনা করেছেন। অর্থাৎ জিবরীল তাঁর উপর কুরআন পেশ করতেন। (মুসলিম ৪৪/১৫ হাঃ ২৪৫০, আহমাদ ২৬৪৭৫) (বুখারী শরীফ ৩২২০.আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯৮০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৯০)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসরণে সলফে সালেহিনের আদর্শ ছিল রমজান মাসে কুরআন খতম করা। ইব্রাহিম নাখায়ি বলেন: আসওয়াদ রমজানের প্রতি দুই রাত্রিতে একবার কুরআন খতম করতেন।[আস- সিয়ার, (৪/৫১)]
কাতাদা (রহঃ) সাতদিনে একবার কুরআন খতম করতেন। রমজান মাস এলে প্রতি তিনদিনে একবার কুরআন খতম করতেন। শেষ দশ রাত্রি শুরু হলে প্রতি রাতে একবার কুরআন খতম করতেন।[আস সিয়ার, (৫/২৭৬)]
বিস্তারিত জানুনঃ
★যেহেতু রাসুলুল্লাহ সাঃ ছাহাবায়ে কেরামগ অধিক কুরআন তিলাওয়াত করতেন,খতম দিতেন, তাই হানাফি মাযহাব মতে তারাবিহ নামাজে কুরআন খতম করা সুন্নাত।
যাতে সকলেরই রমজানে কুরআন খতমের ছওয়াব হয়।
,
অলসতা করে এটি ছেড়ে দিবেনা,তবে ছেড়ে দিলে গুনাহ হবেনা।
,
والسنة فیھا الختم مرة فلا یترک لکسل القوم (ملتقی الأبحر، کتاب الصلاة، ۱: ۲۰۳، ط: دار الکتب العلمیة بیروت)،
সারমর্মঃ
তারাবিহ নামাজে এক খতম কুরআন পড়া সুন্নাত।
লোকদের অলসতার দরুন এটি ছেড়ে দিবেনা।
السنة في التراویح إنما ھو الختم مرة فلا یترک لکسل القوم کذا في الکافي ( الفتاوی الھندیة، ۱: ۱۱۷، ط: المطبعة الکبری الأمیریة، بولاق، مصر)،
সারমর্মঃ
তারাবিহ নামাজে এক খতম কুরআন পড়া সুন্নাত।
লোকদের অলসতার দরুন এটি ছেড়ে দিবেনা।
والختم في التراویح مرة واحدة سنة ( الفتاوی الخانیة علی ھامش الفتاوی الھندیة، ۱: ۲۳۷، ط: المطبعة الکبری الأمیریة، بولاق، مصر)،
সারমর্মঃ
তারাবিহ নামাজে এক খতম কুরআন পড়া সুন্নাত।
বিস্তারিত জানুনঃ
★উলামায়ে কেরামগন খতমে তারাবিহ নামাজে সুন্নাতের নিয়ত করেন।
★★রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তারাবিহ এর সালাতে পুরো কুরআন শরীফ খতম করতেন,মর্মে হাদীস পাইনি।
,
(০২)
মুস্তাহাব।
,
(০৩)
না এইভাবে বললে ভূল হবেনা।
কারন এটি বাস্তব সত্য।