بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
রোযা রাখা অবস্থায় অযু গোসলের সময় গড়গড়িয়ে কুলি করা যাবেনা।
নাকের নরম স্থান পর্যন্ত পানি পৌছানো যাবেনা।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
লাকিত ইবনে সাবিরা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
بالغ في الاستنشاق، إلا أن تكون صائما.
‘(অযু-গোসলের সময়) ভালোভাবে নাকে পানি দাও তবে রোযা অবস্থায় নয়।’-সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ২৩৬৩ সুনানে তিরমিযী, হাদীস : ৭৮৫
সুফিয়ান সাওরী রাহ. বলেন, ‘রোযা অবস্থায় কুলি করতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে গলার ভেতর পানি চলে গেলে রোযা ভেঙ্গে যাবে এবং তা কাযা করতে হবে।-মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস : ৭৩৮০
আরো দেখুন : মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ৯৮৪৪-৯৮৪৭; ফাতাওয়া শামী ২/৪০১
আরো জানুনঃ
,
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু আপনি নিশ্চিত নয় যে যে গলার ভিতর পানি গিয়েছে কিনা?
তাই এহেন ছুরতে সারাদিন রোযা অবস্থাতেই থাকবেন।
পরবর্তীতে সতর্কতামূলক একটি রোযা কাজা আদায় করবেন।
,
(০২)
আযান শুরু হলে তার জবাব দেওয়া মুস্তাহাব।
চুপ থাকা সুন্নাত।
,
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি উক্ত ছাত্র আযানের জবাব না দিয়ে থাকে,তাহলে সে রোল ডাকার ক্ষেত্রে উত্তর দিতে পারবেন।
তবে সুন্নাতের খেলাফ হবে।
এক্ষেত্রে চুপ থাকা সুন্নাত।
বিস্তারিত জানুনঃ
,
(০৩)
ঈদ সালামি যদি চাপ প্রয়োগ করে না নেওয়া হয়,বরং সন্তুষ্টি চিত্তেই দেওয়া হয়,তাহলে তাহা দেওয়া ও গ্রহন করা জায়েজ আছে।
আরো জানুনঃ
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত গিফট দেওয়া নেওয়া জায়েজ আছে।
সেলামি/সেলামী (বিশেষ্য পদ)। শাব্দিক অর্থ: নজরানা, উপঢৌকন; জমিদার, বাড়ীওয়ালা ইত্যাদিকে উপহারস্বরূপ দেয় টাকা। (English & Bengali Online
Dictionary & Grammar)
আর ‘ঈদ সেলামি’ বলতে বুঝায়, ঈদ উপলক্ষে বড়দের পক্ষ থেকে ছোটদেরকে উপহার, উপঢৌকন-বিশেষ করে উপহারস্বরূপ দেয় টাকা।
ইসলামের দৃষ্টিতে এতে কোনও আপত্তি নেই। এটি একটি সুস্থ ও সুন্দর সামাজিক রীতি এবং চারিত্রিক সৌন্দর্য। কেননা এতে ছোটদের প্রতি স্নেহ, মমতা ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। ঈদ সেলামি পেলে ছোটরা আনন্দিত হয়। এতে তাদের ঈদের উৎসব আরও বেড়ে যায়।
ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষকে খুশি করা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ কাজ। তাছাড়া ইসলামে উপহার লেনদেন করার প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। কেননা এতে পারস্পারিক ভালোবাসার বন্ধন সুদৃঢ় হয়। বিশেষ করে ছোটরা বড়দের স্নেহ-মমতা ও ভালবাসা পাওয়ার বেশি হকদার।
তবে ঈদ সেলামি দেওয়ার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য রাখা দরকার। যথা:
আমাদের দেশে ঈদ সেলামি পাওয়ার জন্য ছোটরা বড়দের পা ছুয়ে সালাম করে। এটি সম্পূর্ণ অনৈসলামিক কালচার। এর সম্প্রসারণ রোধ করা জরুরি। কেউ এমনটি করলে তাকে নিষেধ করতে হবে।
সেলামি দেয়ার ক্ষেত্রে ছোট ভাই, বোন ও সন্তানদের কাউকে দেয়া দেওয়া হবে আর কাউকে বঞ্চিত করা হবে-এমনটি যেন না হয়। কেননা এতে পারস্পারিক হিংসা-বিদ্বেষ ও মনোমালিন্য সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সবাইকে সমানভাবে উপহার দেয়া জরুরি নয় বরং বয়স ও অবস্থা অনুযায়ী কম-বেশি করা যাবে। যেমন: বড়কে বেশি আর ছোটকে কম, বিবাহিতকে এক রকম অবিবাহিতকে অন্য রকম। এতে কোন আপত্তি নাই।
তারা কীভাবে তা খরচ করছে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখা জরুরি। কেননা অনেক সময় বাচ্চারা হাতে টাকা পেয়ে নানা আজেবাজে ও অনর্থক কাজে ব্যয় করে। অনেকে বিভিন্ন গুনাহের কাজে লিপ্ত হয়। তাই অভিভাবকদের এ বিষয়টি লক্ষ্য রাখা জরুরি।