পিতা মারা যাবার পরে সন্তান কি কোনো ভাবে পিতাকে জান্নাত এ নিয়ে যেতে পারবে

Question

সম্মানীত শায়েখ,
প্রশ্ন ১:   পিতা দুনিয়াতে থাকা কালিন হয়তো এমন কাজ করেছে যেটা বুঝা যায় যে জাহান্নাম এ যাবার আশঙ্কা বেশি ।এখন তার সন্তান জিবিত আছে তারা যদি তার জন্য দোয়া করে তাহলে তার কি জান্নাত এ যেতে পারবে।  এই মর্মে কি হাদিস আছে কোনো
প্রশ্ন 2: একই ভাবে বাপের কথা ছেলে শোনেনা। নামায পড়তে বলা হয় নামাপ পড়েনা।  সন্তান মারা গেলে পিতা কি এমন কোনো আমল বা দোয়া আছে যা সন্তান কে জান্নাত এ প্রবেশ করাতে পারবে
প্রশ্ন ৩: যদি ছেলে জান্নাত এ যায় কিয়ামত এর পরে আর বাবা জাহান্নাম এ গেলো ধরে নেন শায়েখ। তাহলে তখন ছেলে কি বাপের  জান্নাত  এ আনার উপায় আছে বা থাকবে।
প্রশ্ন গুলো জানার খুবই দরকার। আমার আব্বু করেছে এগুলো।  আমার দাদা মারা গেছে আগেই ভাইগুলোও আব্বুর কথা শুনেনা।

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

وَعَنْ مُعَاذٍ الْجُهَنِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " «مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ وَعَمِلَ بِمَا فِيهِ أُلْبِسَ وَالِدَاهُ تَاجًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ ضَوْؤُهُ أَحْسَنُ مِنْ ضَوْءِ الشَّمْسِ فِي بُيُوتِ الدُّنْيَا لَوْ كَانَتْ فِيكُمْ، فَمَا ظَنُّكُمْ بِالَّذِي عَمِلَ بِهَذَا؟» " رَوَاهُ أَحْمَدُ وَأَبُو دَاوُدَ.

মু‘আয আল জুহানী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে এবং এর মধ্যে তাঁর হুকুম-আহকামের উপর ‘আমল করে, তার মাতাপিতাকে কিয়ামতের দিন একটি মুকুট পরানো হবে। এ মুকুটের কিরণ দুনিয়ার সূর্যের কিরণ হতেও উজ্জ্বল হবে, যদি এ সূর্য তোমাদের মধ্যে থাকত (তবে উপলব্ধি করতে পারতে)। যে ব্যক্তি এ কুরআনের উপর ‘আমল করে তার ব্যাপারে এখন তোমাদের কী ধারণা? (আহমদ, আবূ দাঊদ)(মিশকাত-২১৩৯)

وَعَنْ عَلِيٍّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " «مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ فَاسْتَظْهَرَهُ فَأَحَلَّ حَلَالَهُ، وَحَرَّمَ حَرَامَهُ أَدْخَلَهُ اللَّهُ الْجَنَّةَ وَشَفَّعَهُ فِي عَشَرَةٍ مِنْ أَهْلِ بَيْتِهِ كُلِّهِمْ قَدْ وَجَبَتْ لَهُ النَّارُ» " رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِيُّ، وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ، وَحَفْصُ بْنُ سَلْمَانَ الرَّاوِي لَيْسَ هُوَ بِالْقَوِيِّ يَضْعُفُ فِي الْحَدِيثِ.

‘আলী ইবনু আবূ ত্বলিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কুরআন পড়ে ও একে মুখস্থ করে, এর হালালকে হালাল এবং হারামকে হারাম মেনে চলে, আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। তার পরিবারের এমন দশ ব্যক্তির জন্য তার সুপারিশ কবূল করবেন, যাদের প্রত্যেকেরই নিশ্চিত ছিল জাহান্নাম। (আহমদ, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ ও দারিমী। কিন্তু ইমাম তিরমিযী বলেছেন, এ হাদীসটি গরীব। এর একজন বর্ণনাকারী হাফস ইবনু সুলায়মান হাদীস বর্ণনায় দুর্বল।)(মিশকাত-২১৪১)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন! 

নিজে গোনাহ করলে এর জন্য অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। হ্যা, সন্তানের নেক আমলের কারণে অনেক পিতা এবং মাতাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। 

(২) প্রশ্নটি বুঝিনি, একটু বুঝিয়ে কমেন্টে লিখুন---

(৩) জ্বী, থাকবে। 

Comments

সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে। 

---

প্রশ্ন 2 : হলো অনেক সময় ছেলে বাপের কথা শুনেনা। ছেলে সিগারেট খায় নামায পড়েনা। মাঝে মাঝে পড়ে । এই সন্তান কখনও মারা গেলো কিন্তু তার পিতা বেচে আছেন ।তখন এমন কি আমল আছে যেটা সন্তানকে জান্নাত এ প্রবেশ করাবে।  

---

আল্লাহর কাছে দুআ করতে হবে।